কেমন আছেন আমার বিউটি অফ ক্রিটিভিটি ব্লগ এর বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
১.একটি দেশি মোরগ।
২.পেঁয়াজ।
৩.রসুন।
৪.আদা।
৫.কাঁচা মরিচ।
৬.লবণ।
৭.হলুদের গুড়া।
৮.মরিচের গুড়া।
৯.ধনিয়ার গুড়া।
১০.গরম মসলা।
১১.তেজপাতা।
১২.সরিষার তেল।
১৩.আলু।
১৪.জির।
১৫.পানি ।
প্রথমে মোরগের মাংস ছোট টুকরো করে কেটে নেব। তারপর এটিকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেব।
তারপর চারটি পেয়াজ কুচি করে কেটে নেব আরছয় সাতটি কাঁচামরিচ মাঝখান থেকে ফালি করে কেটে নেব।
এরপর রসুন আদা এবং জিরে বেটে পেস্ট করে নেব।
এরপর আমরা মোরগের গোশত মেরিনেট করে রাখবো আধা ঘন্টার জন্য।মাংস মেরিনেট করার জন্য একটি পাত্রে মোরগের মাংস নিয়ে তার মধ্যে হাফ চা চামচ আদা বাটা, হাফ চা চামচ রসুন বাটা, হাফ চা চামচ জিরা বাটা, হাফ চা চামচ হলুদের গুড়া, হাফ চা চামচ মরিচের গুঁড়া, হাফ চা চামচ ধনিয়ার গুড়া, এক চা চামচ মরিচের গুড়া, পরিমাণ মতো লবণ, ১ টেবিল চামচ সরিষার তেল এবং আলু দিয়ে সুন্দর করে মেখে মেরিনেট করে রাখবো আধা ঘন্টার জন্য।
তারপর চুলার উপর একটি কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল গরম করে নেব। তেল গরম হয়ে আসলে কেটে রাখা পেঁয়াজ এবং কাঁচামরিচ দিয়ে দেব।
পেঁয়াজ এবং কাঁচামরিচ একটু নরম হয়ে আসলে এর মধ্যে তেজপাতা, গরম মশল এবং অল্প কিছু গোটা জিরা দিয়ে দেব। গরম মসলার মধ্যে থাকছে তিন টুকরো দারচিনি চারটি সাদা এলাচ এবং দুটি কালো এলাচ।
পেঁয়াজ বাদামী কালার হয়ে আসলে এর মধ্যে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে দেব এবং নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব।
মাংসের মধ্যে অল্প অল্প করে গরম পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নেব।
এবার কষানো মাংসের তেল উঠে গেলে এর মধ্যে গরম পানি দিয়ে ঝোল দিয়ে দেব।
এবার অন্য একটি কড়াইয়ে মাংসের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ভাজনা উঠিয়ে নেব এবং এটিকে বেটে নিতে হবে। আমাদের গ্রামে রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য এই ভাজনা বাটার প্রচলন অনেক বেশি। বাজনা উঠানোর নিয়ম হলো একটি কড়াই এর মধ্যে সামান্য তেল গরম করে তার মধ্যে একটি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেব। পেঁয়াজের কালার বাদামী হয়ে আসলে এর মধ্যে এক টুকরো দারচিনি,২ টি সাদা এলাচ, একটি কালো এলাচ,একটি তেজপাতা এবং অল্প কিছু গোটা জিরা দিয়ে সামান্য ভেজে উঠিয়ে নেব।এবার এটিকে পাটায় বেটে নেব অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নেব । ব্যাস তৈরি হয়ে গেলভাজনা বাটা
এরপর তরকারিতে বলক চলে আসলে এর মধ্যে ভাজনা বাটা দিয়ে দেবো এবং সুন্দর করে মিশিয়ে নেব। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে প্রয়োজন মত ঝোল শুকিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করে নেব ।ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আমাদের দেশি মোরগের ঝোল । এবার গরম গরম পরিবেশন করার পালা।
সুন্দর করে পরিবেশন করে নিলাম।
এভাবে মোরগের ঝোল রান্না করায় রান্নাটি দারুন সুস্বাদু হয়েছিল। বন্ধুরা তোমরা একবার হলেও এই রেসিপিটি বাড়িতে ট্রাই করবে। আশা করি তোমাদের অনেক ভালো লাগবে। আজকে এ পর্যন্তই পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন বিষয় নিয়ে হাজির হব ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ সবাইকে।