আমার নিজের সম্পর্কে বলার পূর্বে আমার Steemit আসার গল্পটা সম্পর্কে একটু বলতে চাই. একটা সময় ছিল যখন আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ফালতু সময় নষ্ট করতাম. একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে আমার সামনে একটা ভিডিও আসে. ভিডিওটি ছিল Steemit সম্পর্কে.ভিডিওটি দেখার পর, Steemit সম্পর্কে আমার মনে কৌতুহল জাগে. তখন আমি Steemit -এ আসি. এবং দেখি অন্যরা কিভাবে পোস্ট করেছে, অনেক সময় ধরে জানার চেষ্টা করি, অন্যের পোস্ট দেখি, তারপর সাহস করে নিজের পোস্টটি করে ফেলি. এবার সময় হয়েছে আমার সম্পর্কে আপনাদের অল্প পরিসরে একটু ধারণা দেয়ার.
কে আমি?
আসলেই অনেক কঠিন একটা প্রশ্ন “কে আমি?” প্রশ্নটা কঠিন হলেও সহজ করে এর উত্তরটা দেয়ার চেষ্টা করব. আমি কোন সেলিব্রেটি নই, নই কোন গল্পের নায়ক. আমি শুভ্র রায় চৌধুরী, ২৭ বছর বয়সি গ্রামের এক সাধারণ যুবক. আমার জন্মস্থান:- বাগেরহাট -খুলনা -বাংলাদেশ. আমি অতি সাধারণ আশাবাদী এক যুবক. যার কাছে পৃথিবীটা ছোট হলেও ,স্বপ্নটা অনেক বড়.
আমার ছেলেবেলা এবং পড়াশোনা:-
ছেলেবেলা আমার পরিবারের সাথে গ্রামেই কাটে. ছোটবেলায় আমি অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের, নম্র ভদ্র এবং বেশ খানিকটা লাজুক প্রকৃতির ছিলাম. যেমনটা ৯০ দশকের সিনেমাতে দেখা যায়. আমার প্রথম বিদ্যাপীঠ ছিল আমাদের গ্রামের স্কুল:- অংক কিন্ডার গার্ডেন. থেকে আমি অনেক মেধাবী ছিলাম, এক কথায় ক্লাসের ফার্স্ট বয় ছিলাম. তারপর কিন্ডারগার্টেন শেষ করে আমাদের গ্রামের এই হাইস্কুলে ভর্তি হই. স্কুলটার নাম ছিল:- তেকাটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়. ছোটবেলা থেকে আমার বন্ধু অনেক কম ছিল, কিন্তু হাই স্কুল আসার পর থেকেই আমার অনেক এবং অনেক বন্ধু হয়.
বন্ধুদের সাথে স্কুলের লাইফটা আমার জীবনের সেরা সময় ছিল. ক্লাস শেষে অন্যের গাছের আম চুরি করে খাওয়া, ডাব চুরি করে খাওয়া ইত্যাদি ছিল আমাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ড. দেখতে দেখতে, জীবনের স্বর্ণালী দিনগুলো হারিয়ে ফেলা অতীত হয়ে যায়. এরপর চলে আসে আমার কলেজ লাইফ. আমার কলেজ ছিল আমাদের এই ইউনিয়নেই. কলেজ লাইফটা ছিল অনেকটা চিরচারিত সাধারণ স্টুডেন্টদের মতোই. ওটা নিয়ে আমরা অন্য একদিন কথা বলব. এরপর আমার পরবর্তী পড়াশোনার জন্য, আমি চলে আসি নোয়াখালী. সেই ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমি নোয়াখালীতেই আছি. নোয়াখালী এসে আমার লাইফে অনেকগুলি পরিবর্তন এসেছে. যেগুলো সত্যি নোয়াখালী না আসলে বুঝতে পারতাম না. এখানে এমন কিছু মানুষ পেয়েছি, যাদের আজীবন মনে থাকবে.
পরিবার:-
আমার পরিবারটা অনেক ছোটখাটো কিন্তু অনেকটা গোছানো. অন্যদের মতো জয়েন্ট ফ্যামিলি আমার না. আমার পরিবারের মা বাবা আর আমি. আমার বড় দুই বোন বিবাহিতা. তারা সবাই চাকরিজীবী. আমার বাবা গ্রাম্য ডাক্তার এবং মা গৃহিণী. পরিবারের সাথে আমি সেভাবে সময় কাটাতে পারিনি, কারণ যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই বাড়ির বাইরে আমি. তবুও, পরিবারের সবার সাথে সম্পর্কটা আমার বন্ধুর মত. এত সেদিনের কথা, আমার ছোট দিদি এবং আমি মিলে আমার বাবা ৬৫ তম জন্মদিন পালন করি. ছোট্ট একটা কেক ছিল, আর ছিল বাবা-মা, ছোট দিদি এবং আমি. আয়োজন টা ছিল খুব অল্প পরিসরে, কিন্তু সেই দিনের স্মৃতির কথা আজ আমার চোখের সামনে ভাসে.
এবার আমার সম্পর্কে কিছু বলা যায়:-
আমার উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, গায়ের রং উজ্জ্বল কালো, কিছুটা সেকালের রুচিসম্পন্ন একজন ব্যক্তি. হ্যাঁ এটাই সত্যি. ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি আমার অসীম আগ্রহ ছিল. মাঠে বাইরে খেলার জন্য যে কত মার খেয়েছে বাবার কাছে, তার গুনে বলা সম্ভব. ক্রিকেট ছিল আমার সবথেকে পছন্দের খেলা. তবে আমি ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন খেলতেও পছন্দ করতাম. ইনডোর স্পোর্টস বলতে, আমার তেমন কিছুতে পারদর্শিতা ছিল না. তবে দাবা, তাস, ক্যারাম বোর্ড, লুডো একটু একটু খেলতাম. এখনো বাড়ি গেলে মাঝে মাঝে তাস বা কেরাম বোর্ড খেলা হয়.
সেই ছেলেবেলা থেকে আমার ছবি আঁকার হাতটা ছিল, অনেকটা পরিষ্কার. আমি বেশ ভালো ছবি আঁকতে পারতাম. অবসর সময়ে পেন্সিলের কাউন্স পেলেই হল. কিছু না কিছু আঁখি বকি করতাম. ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে চারুকলা নিয়ে পড়ার, কিন্তু সময়ের ফেরে সেটা আর হলো না. সে পেন্সিল ছেড়ে এখন আমার হাতে থাকে ধারালো ব্লেড. হ্যাঁ পেশায় আমি একজন ডাক্তার. আমার লেখালেখির স্বভাবটা চিরদিনই কম, কিন্তু ইচ্ছা ছিল আমি মন খুলে লিখব. আমি আমার কথা লিখব, আমি মানুষের কথা লিখব. আমার কোন গোধূলি লগ্নে, খালি পায়ে সবুজ ঘাসের উপর হাঁটতে খুব ভালো লাগে. ভালো লাগে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি আর ডিম ভাজি খেতে. ভালো লাগে, স্রোথিন কোন জলরাশিতে নৌকা বাইতে. আমার ভালো লাগে সবুজ, ভালো লাগে আমার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য. আমার ইচ্ছা করে প্রকৃতির সৌন্দর্যে, নিজের মনকে হারিয়ে ফেলতে.
আমার সবথেকে কুকুর বেশি পছন্দের. যদিও আমার একটা বিড়াল আছে, তবে সেটি কাছে আসে না. আমার একটা শালিক পাখি ছিল, পাখিটা অনেক সুন্দর কথা বলতো. তাকে বোনের পাখি, খাচায় কিভাবে পোষ মানে? কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নিবে খাঁচার ভিতর? তাইতো পাখিটি মরে যাওয়ার পর, নতুন করে আর কোন পাখি আনি নাই.
আমার লাইফটাকে উপভোগ করতে খুব ভালো লাগে, ভালো বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে. দূর-দূরান্তে ঘুরে বেড়াতে আমার বেশ লাগে. ছবি তুলতে সেগুলো পোস্ট করতে আমি একটা অন্যরকম আনন্দ খুঁজে পাই.
আমার স্বপ্ন:-
টাকা ছাড়া জীবনে কোন মূল্য নাই. আপনি যতই বলেন না কেন টাকায় সবকিছু না, আমি বলব ভালো থাকার জন্য টাকার বিকল্প নাই. তাই তো আমার ইচ্ছা, জীবনে অনেক টাকা রোজগার করার. কিন্তু অবশ্যই সেটা সৎ পথে থেকে.
আমার স্বপ্ন নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার. একজন ভালো সন্তান হবার, একজন ভালো বন্ধু হবার.
যাইহোক, আপনাদের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করলাম. আমার পোস্টটা কষ্ট করে পড়ে দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ. একদিন সময় করে, আমার জীবনের আরো অনেক জমে থাকা কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব. আমার পোস্টটা ভাল লাগলে, অবশ্যই রিপ্লের মাধ্যমে জানাবেন. ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন. ধন্যবাদ.
আরেকটা কথা, আজ আমি অনেকটা খুশি. কারণ Steemit এ এর আগে আমি একটা পোস্ট করি, যেটা ভেরিফাইড হয়েছিল. পোস্টার লিংক:-https://steemit.com/hive-172186/@shuvra/5pusij-achievement-1-my-first-introduction-post-shuvra
আবারো ধন্যবাদ.
Hi, @shuvra
Follow these steps to get yourself verified in the community.
Make sure you add a verification picture in your introduction post
What is Verification Picture:
Take a selfie while holding a page written Beauty of Creativity with the date and your Steemit username
for more information join us on Discord
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for Joining our BOC community.
Keep sharing creative and quality content. You can share creative content like Art, Photography, Traveling, Music, Poetry, Lifestyle, etc without any limits. I would like to request you join our discord server by just clicking on the above BoC poster.
Some Rules and Regulations that you must have to follow. Community Rules.
Join us on Discord
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit