হ্যালো বন্ধুরা,
আপনার আমার অতি পরিচিত গাছ, তাল গাছ। হয়তো অনেকেই জানেন তালগাছ সরকার থেকে কাটা নিষিদ্ধ। সরকার সারাদেশে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে রাস্তার পাশে অথবা আপনার জমির যেকোনো স্থানে তাল গাছ রোপন করুন। যত পারা যায় তাল গাছ রোপন করে বাংলাদেশের তালগাছ বৃদ্ধি করুন। সরকারের এই আহবান এর পিছনে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। হয়ত আপনারা এ বিষয়ে অবগত খুব কম। তবে আমি যতটুকু জানি সে বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আমরা জানি তাল গাছ অনেক উঁচু লম্বা হয়ে থাকে। তাল গাছ সহজে নষ্ট হয় না। এটা একটি ফলের গাছ। সারাবছর কমবেশি তাল শাঁস অথবা তালের রস অথবা পাকা তাল পেয়ে থাকি। তবে সরকারের এগুলো মেন উদ্দেশ্য নয়। বর্ষার সময় যখন দেশে ঘূর্ণিঝড়ের মতো নানান দুর্যোগ সৃষ্টি হয় ঠিক তখনই আমাদের গ্রামবাংলাকে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে থেকে রক্ষা করতে তালগাছ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উদ্দেশ্যে সরকার আমাদের আহ্বান করেছেন যেন রাস্তার দু'পাশ দিয়ে; বাড়ির পাশে পড়ে থাকা জমিতে যার যেখানে যেভাবে সম্ভব তাল গাছ লাগিয়ে যত্ন নিয়ে একটি তালগাছের বেড়ে ওঠার সহায়তা প্রদান করা। আপনি চাইলে তালগাছ রোপন করে তা রক্ষণাবেক্ষণ করে দেশের কাজে অংশ নিতে পারে।
আমরা অনেকেই জানি যখন বিদ্যুৎ চমকায়; ঠাটা পড়া/ডাক পড়ে, তখন লক্ষ্য করছি যে গাছের উপরে পড়েলে গাছগুলো মারা যায় কিন্তু তাল গাছের উপরে ঠাটা পড়লে তালগাছ কখনো নষ্ট হয় না। এমনকি ঘূর্ণিঝড়ের সময় অনেক গাছ ভেঙে পড়ে, কিন্তু তাল গাছ ভেঙে পড়ে না বরঞ্চ তার পার্শ্ববর্তী জনসম্পদকে সেভ করে। তাই সরকারের নিয়ম নীতি অনুসারে কোন খাস জমিতে অথবা কোন ব্যক্তি মালিকানা জমিতে তালগাছ থাকলে তা কাটা যাবে না আরো বেশি লাগিয়ে তালগাছ বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে না কাটলে নয়, তখন সরকার কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তাল গাছ কাটতে হয়। সরকারি নিয়ম নীতি অমান্য করলে জেল-জরিমানা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমিও সরকারের পাশাপাশি আপনাদেরকে আহবান জানাবো যে আসুন আমরা আমাদের বাড়ির পাশে, রাস্তার পাশে যেখানে ফাঁকা জায়গা পাবো সেখানে একটি তালের বীজ রোপন করে একটি তাল গাছ বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়ে জনস্বার্থে অংশগ্রহণ করব। তালগাছ আমাদের জীবনে বড় বন্ধু হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু ছায়া প্রদান করে না সকল প্রকার উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। ছোট থেকে লক্ষ্য করে আসছি আমাদের গাংনী থানার গ্রামগঞ্জে অনেক বেশি তালগাছ দেখতে পাওয়া যায়। তবে তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ পরিচর্যা নেই। আমার বাসা থেকে গাংনী বাজারে যাওয়ার পথে অনেক জায়গাতে রাস্তার পাশের খাসজমিতে তাল গাছ রয়েছে। স্থানীয় সরকার সহায়তায় তাল গাছ রোপন করা হয়েছে। এছাড়াও অনেক দেশ প্রেমী মানুষ স্বেচ্ছায় তালের বীজ রোপন করে তালগাছ তৈরির সুযোগ করে দিয়েছে, তাই আমি আপনাদেরকে দেখানোর জন্য এবং উৎসাহ প্রদান করার উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশে কিছু তালগাছের ফটোগ্রাফি করেছি। আশা করি এ থেকে আপনারা অনেকটা উৎসাহ পাবেন এবং এই শুভ কাজে মন স্থির করবেন।
তালগাছ অনেক উঁচু হয়ে থাকে তাই আশপাশের গাছগুলোকে বৃদ্ধি হতে সমস্যা করে না। তালগাছ যেকোনো স্থানে জন্মাতে পারে এবং বৃদ্ধি হতে পারে। সামান্য রক্ষণাবেক্ষণ করলে অল্প পরিসরে জায়গাতেই একটি তাল গাছ রোপন করে উৎপাদন করা সম্ভব। তাল গাছ থেকে ফল,খোড়ি, অক্সিজেন, ছায়া সহ নানান প্রকার উপকার পেয়ে থাকবেন আরও পেয়ে থাকবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দৃশ্য।
তাই দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করতে সরকারের এই আহবানে আপনি আমি সকলের অংশগ্রহণ করে দেশ উন্নয়ন কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি। দেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারি, দুর্যোগ মোকাবেলায় অংশগ্রহণ করতে পারি। আর আমাদের আশেপাশের মানুষকে সচেতন সজাগ করতে পারি এ বিষয়ে। আশা করি, আপনারা আমার এই আহ্বান সম্মান জানিয়ে এ বিশেষ কাজে অংশগ্রহণ করার বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন।
💖আমার পরিচয়💖
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)@sumon09
বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করে,চাকরি প্রত্যাশায় বেকার-স্টাডিতে! নিয়োজিত। ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা।
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।
পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
💖💞💞💖
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | itel vision 1 |
ক্যামেরা | vivo 12a -13pm |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর'beautyofcreativity'তে ব্লগিং করা |
thanks for the information Brother..
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
I like seeing your photography, Thank you for sharing with us all who are here.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit