বাঙালির জাতীয় পাখি by@tishasultana

💐'' বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম''💐
আসসালামুয়ালাইকুম
🐥গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পাখি দোয়েল পাখি 🐥

pixabay
আমাদের অতি পরিচিত একটি পাখি হল দোয়েল, যা বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। আমরা ঘুঘুর সুন্দর সকালের গান শুনতে অভ্যস্ত। গ্রাম বাংলার সর্বত্রই রয়েছে দোয়েল পাখি। সকালে পাখিদের কিচিরমিচির শুনে আমরা মুগ্ধ হয়েছিলাম। আসুন জেনে নেই আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েলকে।বাংলাদেশের জাতীয় পাখি ইংরেজিতে Oriental Magpie Robin নামে পরিচিত। ডয়েল এমন একটি পাখি যা প্রাণীজগতের আদেশ Cordata, Paseriformes-এ পাওয়া যায়। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় ঘুঘু পাখির নাম Copsychus saularis। দোয়েল হল ডাচ ভাষায় শামা দয়াল এবং দয়ালিজস্টার শব্দের সংমিশ্রণ।এগুলি লম্বা লেজ সহ অনন্য কালো এবং সাদা পাখি যা মাটিতে বা একটি বিশিষ্ট পার্চে থাকাকালীন খাড়া থাকে। এই পাখির ফরাসি এবং ডাচ নামগুলি এর বাংলা নামের কাছাকাছি। এটি ফরাসি ভাষায় শামা দোয়েল এবং ডাচ ভাষায় দয়ালিজস্টার নামে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে দ্বৈরথ একটি সাধারণ দৃশ্য।
বাংলাদেশ ও ভারতের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় দেখা যায় এমন অসংখ্য ছোট পাখির মধ্যে দোয়েল অন্যতম। এই উন্মত্ত পাখিরা খাবারের সন্ধানে ক্রমাগত মাটিতে বা গাছের ডালে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গ্রামাঞ্চলে ভোরবেলা তাদের কিচিরমিচির শোনা যায়। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চেয়েও অপূর্ব।

pixabay
🍁দোয়েল গঠন🍁
ডোয়েলের দৈর্ঘ্য 18-21 সেমি এবং ওজন 31-82 গ্রাম। গাঢ় বাদামী ডানাগুলিতে লম্বা, লক্ষণীয় সাদা প্যাটার্ন রয়েছে। পাখি উড়ে যাওয়ার সময় ডানায় সাদা দাগ দেখা যায়। যখন তারা ভিজে যায়, ডানা কালো বলে মনে হয়। লেজটি সাদা টিপস সহ কালো এবং নীচে লালচে বাদামী। এদের লম্বা লেজ সাধারণত পিঠে খাড়া থাকে। বুক, গলা, কপাল সবই চকচকে কালো। পেট এবং উপরের পা দুটোই সাদা। চোখের দুপাশে একটি খাঁটি কালো রঙ রয়েছে। চোখের রঙ গোলাপী চোখের বল দ্বারা দেখানো হয়। ঠোঁটের আভা|পুরুষ, মহিলা এবং অল্প বয়স্ক ককাটুর শারীরিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়। পুরুষ ঘুঘুর একটি সাদা পেট এবং গলার নিচে একটি কালো পেট থাকে। স্ত্রী ডোয়েলের গলা এবং উপরের অংশের ছাই রঙের অংশগুলি দৃশ্যমান। পেট পুরুষ ঘুঘুর চেয়ে সাদা রঙের। কিন্তু এটা সত্যিই বেশ
pixabay
🍁দোয়েল পাখির খাদ্য🍁
দোয়েল কেঁচো এবং খেজুরের রস ছাড়াও বিস্তৃত পোকামাকড় খায়। এটি ফুল থেকে অমৃতও গ্রহণ করবে। ক্ষয়প্রাপ্ত শাখা এবং পাতা অপসারণ করে, তারা খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ছোট পোকামাকড়, মাকড়সা এবং শামুক খুঁজে পেতে পারে। এমনকি টিকটিকি খায়। তারা সাধারণত সকালে খাবার শিকারে যায়, তবে মাঝে মাঝে তারা ভোরে শিকারে যায়।

pixabay
🍁গানের পাখি দোয়েল🍁
বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি প্রাণবন্ত দ্বৈত ঐতিহ্য রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক কবি ও লেখক তাদের রচনায় দোয়েল পাখি ব্যবহার করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের এলাকাকে দোয়েল চত্বর বলা হয় কারণ সেখানে দোয়েল পাখির অভয়ারণ্য রয়েছে। অসংখ্য বাংলা গানেও দোয়েল পাখির গানের উল্লেখ রয়েছে।পুরো মৌসুম জুড়ে, পুরুষ দোয়েল সকালে এবং দিনের শেষের দিকে উচ্চস্বরে এবং সুরেলা গান গেয়ে স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করে। মহিলা দোয়েলরা অবশ্য ফোন করে পুরুষ দোয়েলের উপস্থিতিও সংকেত দিতে পারে। ভোরে আলো ফোটার আগেই দোয়াল গান গাইতে শুরু করে। লেজটাও সময়ের সাথে সাথে গানের ছন্দে মাঝখানের দিকে উঠে। ডয়েলস সাত থেকে ত্রিশ মিনিটের মধ্যে যেকোন কিছু গান গাইতে পারে। দোয়েল খুব কমই একক ফ্লাইটে অনেক দূরত্ব ভ্রমণ করে, যদি না একেবারে প্রয়োজন হয়। খাবারের সন্ধানে মাটিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধান বা ধান খাওয়ার জন্য, এই পাখি ঘরে বা রান্নাঘরে আসে। বাড়ি এবং বাগান জুড়ে তাদের অবাধ চলাচল।
কারণ ডুয়েলিং পাখিরা শীতকালে গান করে না, আমরা বছরের এই সময়ে তাদের দেখতে পাই না।
ঘুঘুরা খাঁচায় তাদের অস্তিত্ব অপছন্দ করে, তবে তাদের সুন্দর কণ্ঠের কারণে অনেকেই তাদের রাখতে পছন্দ করে।
My Achievement Verified Link
Achievement 1
🌷আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ🌷