প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আজ আমি আমার রান্না করা বাটার পনীরের রেসিপি শেয়ার করবো। যদিও আমি নিজে পনীর খাই না, কিন্তু আমার husband আর শ্বশুড় মশাই ভালো খান।তাই মাঝে মাঝে ওদের জন্য রান্না করা হয়, আসলে পনীর আনা হয়েছিল আমাদের anniversary দিন, সেদিন রান্না করার পর কিছুটা ফ্রীজে ছিলো সেটা দিয়েই কাল বাটার পনীর করলাম।
যেহেতু আমার শ্বশুড় মশাই পেঁয়াজ রসুন খান না, তাই আমি নিরামিষ পনীরই করেছিলাম। যদিও বিভিন্ন ভাবেই এই রেসিপি রান্না করা যায়, আমি আমার মতোই করেছি, আশাকরি দেখে ভালো লাগবে আপনাদের।
আমি পনীর গুলোকে ছোটো ছোটো করে টুকরো করে নিয়েছি, এবং পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ আর অল্প একটু গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখেছি ১০-১৫ মিনিটের জন্য।
অন্যদিকে আমি মাঝারি সাইজের ২ টো টমেটো পেস্ট করে নিয়েছি, আর একটুকরো আদা,২টো কাঁচা লঙ্কা, পরিমাণ মতো জীরে, ধনে, পোস্ত, আর কয়েকটা কাজুবাদাম একসাথে বেঁটে নিয়েছি।
আর নিয়েছি টক দই, আমূল বাটার, শুঁকনো লঙ্কা গুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো, আর অল্প কসৌরীমেথী।
প্রথমে আমি কড়াই গরম করে তাতে অল্প বাটার দিয়ে পনীর গুলোকে হালকা ভেজে নিয়েছি,এরপর পনীর গুলো তুলে নিয়ে, কয়েকটা গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে একে একে সকল মশলা দিয়ে দিয়েছি।
মশলা কষা হয়ে গেলে উষ্ণ গরম জল দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো লবণ, চিনি দিয়েছি।এরপর ভেঁজে রাখা পনীরর টুকরো গুলো দিয়ে নেড়ে নিয়েছি, শেষে কসৌরী মেথী ছড়িয়ে দিয়েছি, আর অল্প বাটার দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিয়েছি। নামিয়ে নিয়ে ওপর থেকে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়েছি।
আমি গরম গরম রুটির সাথে পরিবেশন করেছিলাম।
আমি পরিমাণ মতো আটা নিয়ে অল্প লবণ আর জল দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি। এরপর রুটি ভাজার তাওয়া গরম করে এক এক করে রুটি তৈরী করে নিয়েছি।
গরম গরম পরিবেশন করেছি husband এর জন্য।সাথে একটুকরো কাঁচা পেঁয়াজ নিয়েছে-
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।