বন্ধুরা, আশা করছি সবাই ভালো আছো। আজ শনিবার। যদিও শনিবারে আমাদের অফিস বন্ধ থাকে কিন্তু অফিসের জরুরী প্রয়োজনে আমরা ছয়জন অফিসিয়াল ষ্টাফ অফিস করেছি। যেহেতু ছুটির দিনে অফিস করছি তাই পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী আজকের লাঞ্চ অফিস কর্তৃক হবে। তবে সাধারনত আমরা সবাই বাড়ীতে থেকে প্রতিদিন লাঞ্চ নিয়ে আসি।
কিন্তু অফিস কর্তৃক একটি নিয়ম জারি রয়েছে আর সেটা হলো, ছুটির দিনে অফিসের প্রয়োজনে কেউ অফিস করলে, সেদিনের লাঞ্চ এবং যাতায়াত ভাড়া অফিস কর্তৃক বহন করবে। তাই আজ আমরা ছয়জন মিলে পরামর্শ করে কাচ্চি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বলে রাখা ভালো যে, আমাদের দেশে তিন ধরনের কাচ্চি পাওয়া যায়, গরুর মাংসের কাচ্চি, মুরগির মাংসের কাচ্চি এবং খাসির মাংসের কাচ্চি। তবে এগুলোর মাঝে খাসির মাংসের কাচ্চি সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়।
আমার অফিস থেকে একটু দূরে পুরানা পল্টনে একটি নতুন কাচ্চির দোকান উদ্বোধন করা হয়েছে। তাই সবাই মিলে সেখান থেকে কাচ্চি খাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করি। তবে কাচ্চির সাথে আরো একটি আইটেম ছিলো, আর সেটা হলো বোরহানি। আসলে খাবারের পর বোরহানি খেলে খাবারটা ভালোভাবে হজম হয়। যার কারনে আমাদের দেশে নানা অনুষ্ঠানে খাবারের পর বোরহানির ব্যবস্থা রাখা হয়। যাতে কারো হজমের সমস্যা না হয়।
আরেকটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আর সেটা অফিসে কাজ থাকলে আমরা সবাই খাবার অফিসে নিয়ে আসি এবং তারপর অফিসে বসে সেই খাবার খাই। কারন সবাই মিলে বাহিরে খেতে গেলে অফিস বন্ধ রাখতে হবে। তাই আমরা খাবারগুলো দোকান থেকে অফিসে নিয়ে আসি এবং অফিসে বসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে খাবারগুলোর স্বাদ গ্রহন করি।
এটা হলো দোকানটির বাহিরের দৃশ্য। যদিও আমি অনেকটা দূর থেকে ছবিটি ক্যাপচার করেছি যাতে পুরো দোকানের নাম দেখা যায়। আসলে এই এলাকায় এই রকম কাচ্চির অনেকগুলো খাবারের দোকান রয়েছে। যেহেতু সেগুলোর খাবারের স্বাদ আগে গ্রহন করেছি। তাই আজ এই দোকানের কাচ্চির স্বাদ গ্রহন করছি।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার ছবিটির পিছনে কাচ্চির হাড়ি দেখা যাচ্ছে। আসলে আমাদের দেশে কাচ্চি রান্নার ক্ষেত্রে নানা ধরনের উপকরন ব্যবহার করা হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য উপকরনগুলো হলো- খাসির মাংস, পোলাওয়ের চাল, পেঁয়াজ, লেবু, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা, পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতা , টক দই, ঘি, তেল, লবন, কেওরা জল, টমেটো, আলু, লবঙ্গ গুঁড়া, জয়ফল, জয়ত্রী, জিরা এবং আলু বোখারা। যদিও বিভিন্ন জায়গায় আরো বেশী উপকরন ব্যবহার করা হয়, কাচ্চির স্বাদ বৃদ্ধির জন্য।
দোকানের ভিতরের কিছু দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আসলে আমাদের দেশে জনসংখ্যা অনুপাতে জমির পরিমান খুবই কম। যার কারনে দোকানগুলোর সাইজ খুব বেশী বড় না। স্বল্প পরিসর জায়গা নিয়ে দোকানগুলো চালু করা হয় এবং খাবারের রান্নাগুলো ভিন্ন জায়গা থেকে করে আনা হয়।যার কারনে আমাদের দেশের দোকানগুলোতে সব সময় মানুষের ভিড় বেশী লক্ষ্য করা যায়। কারন দোকানের সাইজ ছোট কিন্তু কাষ্টমারের সংখ্যা বেশী।
খাবারগুলো অর্ডার করার পর বেশ কিছুক্ষন সময় আমি দোকানের ভিতর অপেক্ষা করি। কারন আমি দেড় লিটার বোরহানি এবং ৬ প্যাকেট স্পেশাল কাচ্চির অর্ডার প্রদান করি। খাবারগুলো প্যাকেট করার জন্য তাদের কিছুটা সময় লাগে। কারন তখনও দোকানে বেশ কিছু কাস্টমার উপস্থিত ছিলেন, তাই তাদের খাবার আগে দিয়ে পরে আমাদেরগুলো প্যাকেট করা হয়েছে।
তবে আমাদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন জায়গার কাচ্চির মূল্য ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য করা যায়। কারন এটা নির্ভর করে দোকানটির অবস্থান এবং খাবারের মানের উপর। তবে পুরানা পল্টন এলাকায় প্রায় দোকানের খাবারের দাম মোটামোটি একই রকম। বিশেষ করে এগুলোর প্যাকেট ১৮০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাম হতে পারে। তবে একটা কথা বলে রাখি, কিছু কিছু দোকানে খাবারের বিলের সাথে ভ্যাটের মূল্যও সংযুক্ত করা হয়। যার কারনে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
তবে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে খাবারের মানটি, যার কারনে আমি আশা পোষন করছি ভবিষ্যতে আমার এই দোকানের খাবার খেতে যাবো। আসলে যে দোকানের খাবার ভালো লাগে, আমরা সর্বদা চেষ্টা করি, সেই দোকানের খাবার বার বার খেতে।
আমরা আমাদের জন্য যে আইটেমের খাবারটির অর্ডার করেছিলাম। তার সর্বমোট বিল হয়েছিলো ১৩২০ টাকা বোরহানির দাম সহ। সুতরাং যেহেতু আমরা ছয়জন মিলে খাবারগুলো খেয়েছি, তার আমাদের জনপ্রতি খরচ হয়েছে- ২২০/- খাবারের মান অনুযায়ী এটা খুব বেশী ছিলো না, আমার দৃষ্টিতে।
Declaration: This is original content of mine with own photography.
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
delicious and amazing food journey my dear brother , hafizullah, really , your favourite baryani brought water to my mouth, because i love very much baryani, and your post brought hunger to my stomach, if i visit bangladesh, i will must visit to this shop with you to eat it, every photo is superb,, dear bhi, Aslam mu Alakum
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Yes brother it is really very delicious food items for all of us. I really enjoy the time when eating it. he he he he sure brother if you ever come to my country it will be very happy moments for me to take the chance eat this kacchi together. Walai kumussalam!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
InshahAllah
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit