বাঙালির কাছে খিচুড়ি মানে এক অনুভুতির নাম। বৃষ্টি হোক বা হিম শীত খিচুড়িতো লাগবেই। প্রায় সকল বয়সের মানুষ খিচড়ি খেতে ভালোবাসে। বাংলাদেশে ২ প্রকার খিচড়ির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। একটি হলো সাদা খিচুড়ি এবং আপরটি হলো হলুদ খিচড়ি। আমার কাছে হলুদ খিচড়ি বেশি ভালো লাগে। কিন্তু অনেক ব্যস্ততার কারনে অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও উপায় হয়না। অনেক সময় মাংস রান্না হলে মনে হয় যদি এর সাথে খিচুড়ি থাকতো। তাই এই ঝটপট খিচুড়ি রেসেপি। তৈরি করা সহজ আর খেতে সুস্বাদু।
কিভাবে তৈরি করা যায় এই ঝটপট খিচুড়ি আর কি কি উপাদান লাগবে তা বলে দিচ্ছি আমি নিচে।
আমি ৩০০ গ্রামের উপাদান যা লাগবে দেখিয়ে দিচ্ছি। আপনারা পরিমান বাড়িয়ে নিবেন প্রয়োজন মতো।
১: চাল ২৫০ গ্রাম আলু ২ টা টুকরা করা
২: মুসর ডাল ৫০ গ্রাম
৩: হাফ কাপ পিয়াজ কুচি ২ চামচ রসুন কুচি
৪:কাচা মরিচ কুচি আপনি যেমন ঝাল খান সেই হিসাব করে
৫: আদা বাটা এক চা চামচ
৬: ধনে বাটা ও জিরা বাটা ১ চা চামচ
৭: তেল সয়াবিন / শরিষা ৪ চা চামচ
৮: হলুদ হাপ চা চামচ
১০: এলাচ ২ টি,লবঙ্গ ১ টি, তেজপাত ২ টি, দারুচিনি ১ টুকরা
১১: লবন পরিমান অনুযায়ী
প্রস্তুত প্রণালী :
চাল, ডাল,আলু রান্নার ১০ মিনিট আগেই ধুয়ে ছেকে রাখবেন। তারপর করাইতে তেল দিয়ে তাতে পেয়াজকুচি,রশুন কুচি, মরিচ কুচি,দারুচিনি, এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে দিন। পেয়াজ হালকা ভাজা হলে তাতে ধুয়ে রাখা চাল, ডাল, আলু দিয়ে দিন।
তার সাথে বাটা মসলা দিয়ে দিন ও হলুদ গুড়া দিয়ে ৩/৪ মিনিট চাল তেলে ভেজে নিন। তারপর ৬০০ গ্রাম পানি দিয়ে দিন( পানির পরিমানটা সবসময় চাল ডালের দ্বিগুণ দিবেন তাহলেই পারফেক্ট রান্না হবে)।
মাঝারি আচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। তাতেই রান্না হয়ে যাবে।
তারপর করাই নামিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন ভাপে। তাতেই হয়ে যাবে ঝড়ঝড়ে খিচুড়ি তৈরি। সবকিছু পরিমান মতো দিলো খিচড়ির কালার হবে অসাধারন। তারপর মাংশ হোক বা ডিম বা নানান স্বাদের ভর্তা দিয়ে খেয়ে নিন মজাদার খিচুড়ি।
খিচুড়ি নিয়ে বাঙালির আবেগ:
তুমুল বৃষ্টিতে সুউচ্চ কোনো ভবনে ব্যাটম্যান দাঁড়িয়ে আছে। সেখান থেকেই সে আলফ্রেডের প্রতি হুংকার ছেড়ে বলছে, ‘আলফ্রেড, খিচুড়ি চড়া।’ কিন্তু ঘটনাটি সিনেমা বা কমিক বুকসের নয়। বাঙালির ফেসবুক নিউজফিডে ঘুরে বেড়ানো একটি ট্রল। বৃষ্টি হলেই আলফ্রেডদের উদ্দেশে বাঙালি ব্যাটম্যানরা এ বাণী ছাড়ে।
কতজন বাঙালি ব্যাটম্যানের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁদের আলফ্রেডরা খিচুড়ি চড়িয়েছিল জানা যায় না। তবে খিচুড়ির জন্য হাপিত্যেশ করা বাঙালিকে এখন নানা স্বাদের খিচুড়ি পরিবেশন করছে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁ।
রাস্তায় বা বাসার বাইরে যে যেখানেই থাকুক, বৃষ্টির দেখলেই বাঙালির চোখে আপনা-আপনি খিচুড়ি ভেসে ওঠে। আর এ ভরা বর্ষায় বৃষ্টির ঠিক-ঠিকানা নেই; যখন-তখন নামে। রাজধানীর রেস্তোরাঁগুলোও এখন খিচুড়ি পরিবেশনে প্রস্তুত থাকে।
পরিবেশনে বিশেষ নজর:
রান্নার পর কোন খাবার কোন পাত্রে পরিবেশন করবেন সেটা আগেই ঠিক করে নিন।
কাবাব জাতীয় খাবার হলে চার কোনা পাত্রে রাখতে পারেন। পাশে লেটুসপাতা, গাজর, শসা, টমেটো ইত্যাদি প্রয়োজনমতো দিয়ে সাজাতে পারেন ।গোলাকার বাটিতে খাবার বাড়লে তার নিচে একটা বড় গোল প্লেট রাখতে পারেন।খাবার পাত্রে ঢালার পর সস বা অন্য কিছু দিলে সেটা একটু শৈল্পিকভাবে রাখুন।
খিচুড়ি রান্নার পর আমি সেগুলো সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছি। ভালো পরিবেশন করতে পারলে খাবারের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যায় ।আমি প্রথমে খিচুড়ি ভাত একটি প্লেটে নিয়ে আসি এবং সেই প্লেটের উপর কিছু পিয়াজ চূর্ণ ছিটিয়ে দিয়েছি। এরপর খিচুড়ির উপরে একটি ডিমের কাটা তিনটি অংশ রেখে দিয়েছি। খাবারটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনারা এভাবে পরিবেশন করতে পারেন ।ভালো থাকবেন সবাই ।আশাকরি আরেকদিন নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পোস্টটি সম্পর্কে কোনও শব্দ লেখার আগে প্রথমে আমি আপনাকে আপনার ছবির কাজটির জন্য খুব প্রশংসা করব, হ্যাঁ, আমি আপনার ফোটোফোটোগ্রাফির আদর্শ ধারণাটি পছন্দ করেছি, উদাহরণস্বরূপ, চা কাপ, সমস্ত কিছু ছবির মান বাড়িয়েছি, তাই খিচুড়িও আমার প্রিয়, এটি যারা মশলাদার পুলাও বা বারিণী পছন্দ করেন না তাদের পক্ষে খুব স্বাস্থ্যকর এবং ভাল, তাই আমি এই মানুষগুলিকে এই খিচুড়ি পছন্দ করি, আপনার প্রতিটি উপাদান খুব ভাল লেগেছে, তাই আপনার এই ভাল পোস্টটি দেখে ভাল লাগল, এই ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে পুরো সহজ এবং সুস্বাদু রেসিপিটি অবাক করে নিন এবং আবার আপনার সমস্ত ফটোগুলি অনেক ভাল এবং এই ক্ষেত্রে আপনার পেশাদার অভিজ্ঞতা দেখান
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খাবার পরিবেশন করলে ,খাবারের সুন্দর্য্য বেড়ে যায়। সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit