প্রিয়,
বন্ধুরা,
Good evening.
কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশাকরছি সবাই ভালো আছন, সুস্থ আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার রান্না করা খিচুড়ির রেসিপি শেয়ার করবো। আসলে শীতকাল আর বর্ষাকাল বছরের এই দুই সময়ে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই খিচুড়ি খেতে ভালোবাসি। আর যদি খিচুড়ি ঠাকুরের ভোগের হয় তাহলে যেন তার স্বাদ জিভে লেগে থাকে, বাড়িতে হাজার চেস্টা করেও সেই স্বাদ আনা সম্ভব নয়।
শীতকালের খিচুড়ির অন্য মজা কারন,এই সময়ের যে সকল সব্জি পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগ দিয়েই আমরা খিচুড়ি করতে পারি। যার স্বাদও অসাধারণ হয়। আর তার সাথে যদি নতুন আলুর দম হয় তাহলে তো পুরো ব্যাপারটাই জমে যায়।
যাইহোক, রান্না করা যে আমার খুব পছন্দের নয় এটা হয়তো আমার আগের লেখা পড়েই আপনাদের অনেকেই জানেন, তবে মাঝে মাঝে আমিও ভালোবেসে কিছু রান্না করে থাকি।
সেদিন বাড়িতে আমার শ্বশুর মশাই আর শাশুড়ি মা ছিলেন না।তাই আমি আর আমার হাজব্যান্ড দুজন মিলে রাতে খিচুড়ি খাবো ঠিক করলাম। তাই অল্প করে খিচুড়ি করলাম, সেই রেসিপিই আজ শেয়ার করবো, আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
খিচুড়ি রান্না করতে আমি এক কাপ গোবিন্দ ভোগ চাল আর এক কাপ সোনা মুগ ডাল নিয়েছি-
ঘরে খিচুড়ির মধ্যে দেওয়ার জন্য শুধু ফুলকপি,
মটরশুটি, টমেটো আর আলুই ছিলো। তাই দিয়েই করলাম।আমি আলু আর ফুলকপি গুলো অল্প সেদ্ধ করে ভেজে নিয়েছি-
সাথে আদা, জিরে বাটা নিয়েছি,২ টো কাঁচা লংকা চিরে নিয়েছি। টমেটো স্লাইস করে নিয়েছি।
মটরশুটি গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি-
এরপর আমি ডাল অল্প করে ভেজে নিয়েছি, তারপর জল গরম করে তার মধ্যে ডাল দিয়েছি, অন্য দিকে চাল গুলো হালকা ধুয়ে জল ঝড়িয়ে রেখেছি। ডাল অর্ধেক সেদ্ধ হলে আমি চালটা দিয়ে দিয়েছি। এরপর যখন চাল প্রায় সেদ্ধ হয়ে গেছে আমি ভেঁজে রাখা ফুলকপি, আলু, মটরশুটি, আর টমেটো গুলো দিয়ে দিয়েছি, সাথে চেরা কাঁচালঙ্কা ২ টো ও দিয়েছি। এরপর অল্প লবণ আর হলুদ দিয়েছি।এটা নিজেদের আন্দাজ মতন দিতে হয়।
এরপর অন্য একটি পাত্রে আমি সরষের তেল গরম করে তার মধ্যে শুঁকনো লংকা,তেজপাতা, আর পাঁচফোড়ন দিয়ে অল্প নাড়াচাড়া করে নিয়েছি, এবার এক এক করে আদা বাটা ও জিরে বাটা দিয়ে দিলাম।
একটু ভাজা ভাজা হলে ফোরনটি খুব সাবধানে খিচুড়ির মধ্যে ঢেলে দিয়ে খিচুড়িটা ভালোকরে নেড়ে নেবো। নামানোর অল্প আগে এর মধ্যে গরম মশলা গুঁড়া, অল্প একটু চিনি আর একটু ঘী ছড়িয়ে দিয়েছি। ব্যাস রেডী হয়ে গেছে আমার খিচুড়ি।
খিচুড়ি তৈরী-
এই রান্নাটা অনেকে অনেক ভাবে করে থাকে, আমি আমার মতন করে করলাম, জানিনা কেমন লাগবে আপনাদের।
আপনারা ভালো থাকবেন, শুভরাত্রি।