♪♪Egg Fried Rice♪♪

এগ ফ্রাইড রাইস একটি চাইনিজ খাবার। আমরা বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গিয়ে এই খাবারটি খেয়ে থাকি। এই এগ ফ্রাইড রাইচ খাবারটি খুবই মজাদার। আমার কাছেতো এই
খাবারটি খুব প্রিয়।

এটি চাইনিজ খাবার হলেও আমাদের বাঙালিদের কাছে এখন খুবই পছন্দের খাবার হয়ে উঠেছে। অনেকে মনে করেন এটি তৈরি করা কঠিন বা ঝামেলার কাজ তাই বাসায় তৈরি করে খান না। কিন্তু এটি বাসায় তৈরি করা যায়। বাসায় বানিয়ে নিলে আপনাকে আর বাহিরে যেয়ে খেতে হবেনা। আপনার যখন ইচ্ছে হবে আপনি তখনি খেতে পারবেন এই মজার এগ ফ্রাইড রাইচ খাবারটি।

আর এটা বানানো একেবারেই সহজ। আর সাথে সাথে বানিয়ে বিভিন্ন রকম ফ্রাই করে দিতে পারেন যেমন, মাছ বা মাংসের ফ্রাই,আবার চাইনিজ ভাজি ব্যবহার করতে পারেন,ডিম ।তাহলেই খাবারটি আরো অনেক অনেক মজার হবে।

আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার এগ ফ্রাইড রাইচ করার সহজ রেসেপি। আশা করি আমার রেসেপিটা আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। এবং আবশ্যই এটা দেখার পরে আপনারা বাসায় চেস্টা করবেন। বাসায় যদি এতটা সহজ ভাবে বানানো যায় তাহলে আপনি যে কোন সময় ইচ্ছে হলেই করে নিতে পারে এই এগ ফ্রাইড রাইচ। এই রেসেপিটা জানা থাকলে আপনার বাসায় মেহমান আসলেও আপনাকে বাহির থেকে এসব খাবার এনে খাওয়াতে হবেনা, আপনি নিজেই তৈরি করে খাওয়াতে পারবেন।

আর এখন বাচ্চাদের এসব চাইনিজ খাবার খুব পছন্দের তাই তাদের সাস্থ সচেতনতার কথা চিন্তা করে বাহিরের খাবার না খাইয়ে বাসায় বানিয়ে খাওয়া খুবেই ভালো। বাসায় বানানো খাবার হয় ১০০ ভাগ নির্ভেজাল ও সুস্বাদু। তাই আমাদের উচিত সব খাবার বাসায় বানিয়ে খাওয়া।

আমি বলে দিচ্ছি কিভাবে তৈরি করতে হবে এই এগ ফ্রাইড রাইচ।এবং এগ ফ্রাইড রাইচ তৈরি করতে কি কি উপাদান লাগবে। আমি যেই অনুপাতে করিছি তাই বলে দিচ্ছি আপনারা অনুপাত অনুযায়ী বারিয়ে কমিয়ে নিবেন।

উপাদানঃ
১। পোলাওয়ের চাল ২৫০ ( আমি ২৫০ গ্রাম নিয়েছি, আপনারা আপনাদের প্র‍য়োজন অনুযায়ী বারিয়ে নিবেন। এবং অন্যান্য উপাদান তাহলে অবশ্যই বাড়িয়ে নিবেন।

২। আমি সবজি নিয়েছি গাজর,আলু, পেপে,পটল ( এই সবজি গুলা ভালো ভাবে ধুয়ে টুকরো করে নিতে হবে, আর তারপর সবজি গুলা আপনি হালকা নর্মাল লবন দিয়ে সিদ্ধ করে নিবেন। তারপর একটা জালিতে ছেকে রেখে দিবেন। সবজির পানিগুলা ঝড়ে যাবে।আপনি চাইলে আরো অনেক সবজি দিতে পারেন। কালার ফুল হবে তাতে। আপনি লাল ও সবুজ ক্যাপশিকাম দিতে পারেন, সবুজ মটর দিতে পারেন। আমার বাসায় তেমন সবজি ছিলনা তাই এই অল্প সব্জি দিয়েই রান্না করেছি।

৩। ২ টা বড় পেয়াজ কুচি করে নিতে হবে
৪। চিংড়ি মাছ আপনি আপনার ইচ্ছে মতো নিতে পারেন ( একটা দারুণ ফ্লেবার আসে আর মজাও লাগে)

৫। একটা ডিম
৬।লবন
৭। সয়াবিন তেল ৫/৬ চায়ের চামচ
৭। পরিমাণ মতো পানি

প্রস্তুত প্রনালীঃযেভাবে তৈরি করবেন,
পোলাওয়ের চাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিবেন জ্বালিতে করে।তারপর একটা পাত্রে সয়াবিন তেল দিয়ে দিয়ে দিবেন। তেলটা গরম হয়ে আসলে তাতে দিয়ে দিবেন চিংড়ি মাছ। আগে একটু চিংড়ি মাছটা ভেজে নিতে হবে, কারন চিংড়ি মাছ আর পেয়াজ একসাথে ভাজতে গেলে পেয়াজ পুরে যাবে চিংড়ি মাছ ভাজা হবেনা। চিংড়ি মাছটা লাল হয়ে আসলে তাতে কুচি করা রাখা পেয়াজ দিয়ে দিন, পেয়াজটা হালকা ভাজা হলে তাতে ডিমটা দিয়ে নেরে চেরে নিন ভালো ভাবে।

ডিমটা যেন ভালো ভাবে গুড়া গুড়া হয়। সব মোটামুটি ভাজা হয়ে যাবে। তারপর তাতে চালটা ঢেলে দিন। চাল দিয়ে হালকা আচে চালটা ৪/৫ মিনিট ভেজে নিন।ভাজা হয়ে গেলে পরিমান মতো পানি দিন। ২৫০ গ্রাম চালে ৩২৫ গ্রামের মতো পানি দিয়েছি।

তারপর পরিমাণ মতো লবন দিয়ে দিন। তারপর ভাপে রাখা সেই সবজি গুলা দিয়ে জ্বাল বারিয়ে ৫ মিনিট রাখুন। পানি ফুটে গেলে জ্বাল কমিয়ে দিন। আস্তে আস্তে পানি কমে আসলে নারা চারা দিবেন না। যখন দেখবেন পানি প্রায় শুকিয়ে গেছে নামিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১০/১৫ মিনিট ভাপে রেখে দিন। তারপর ঢাকনা খুলে নেরে চেরে দিয়ে সব মিশিয়ে দিন। হয়ে গেল মজাদার এগ ফ্রাইড রাইচ।

এরপর আপনি পরিবেশন করতে পারেন বিভিন্ন কিছুর সাথে। আমি এই এগ ফ্রাইড রাইচ পরিবেশন করার জন্য ডিম পোচ রেখেছি, চিকেন ফ্রাই রেখেছি,নুডুলস রেখেছি, সসলেক রেখেছি ও চাইনিজ সবজি রেখেছি আর আছে কোমল পানিও আপনিও আপনার ইচ্ছে মতোই পরিবেশন করতে পারেন।

আশা করি আমার আজকে রেসেপিটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। এবং অবশ্যই এটি বাসায় বানাবেন।

ধন্যবাদ সবাইক। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকেন, নিরাপদে থাকুন।

---