বাংলাদেশের ঐতিহ্য পিরি বেলুন

in hive-157557 •  last year  (edited)

আজ শুক্রবার
তারিখঃ ২২-সেপ্টেম্বর-২০২৩
আসসালামুআলাইকুম,
আমি @afsanaety,
আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন।

IMG-20230922-WA0001.jpg

হাজার বছর থেকে বাঙালিরা কিছু খাবার সব সময় খেয়ে আসছে।ভাত বাঙালীর প্রধান খাবার তেমনি রুটি ছাড়াও বাঙালীর চলেই না।আর এ রুটি তৈরি করতে দরকার হয় পিরি বেলুন।যা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জিনিস।যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এ পিরি বেলুন।রুটি আমরা সকলেই খেয়ে থাকি।

IMG-20230922-WA0002.jpg

বাংলাদেশে কাঠের তৈরি পিরি বেলুন বেশি চলে।কাঠের তৈরি বেলুন ছাড়াও অনেক ধরনের পিরি বেলুন রয়েছে।গাছকে কেটে কাঠ তৈরি করে পিরি বেলুন আকার দেয়া হয় মেশিন দিয়ে।বিভিন্ন নকশার পিরি বেলুন হয়ে থাকে।আকারে বড়|মাঝারি|ছোট হয়ে থাকে।

IMG-20230922-WA0003.jpg

আমাদের বাসায় প্রতিদিন রুটি বানানো হয় তাই এ পিরি বেলুনের ব্যবহার আমাদের বাসায় প্রতিদিনি হয়ে থাকে।ছোট বেলায় আমাদের বাসায় যখন রুটি বানানো হতো সখ করে শেষের রুটি আমি বানাবো বলে বায়না ধরতাম।যদিও গোল হতো না কিন্তু সে রুটি বানাতে মনে অন্যরকম এক প্রশান্তি কাজ করতো।

IMG-20230922-WA0005.jpg

IMG-20230922-WA0000.jpg

পিরি বেলুনে শুধু রুটি বানানো যায় তা কিন্তু নয়।পিরি বেলুনে পরোটা বানানো যায়|নানা রকমের পিঠা তৈরি করা যায়|পুরি এবং লুচি বানানো যায়।বাঙালীরা ভোজনরসিক তাই বিভিন্ন ধরনের খাবার তাদের কাছে প্রিয়।পাশের দেশ ভারত,সেখানকার প্রধান খাবার রুটি।ভারতে অনেক জায়গায় দেখা যায় রুটি হাত দিয়ে তৈরি করে।

IMG-20230922-WA0006.jpg

কিন্তু আমার মনে হয় যুগের সাথে সাথে পিরি বেলুন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।এমন একদিন আসবে পিরি বেলুন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।কারণ আধুনিক যুগে নতুন নতুন জিনিস উৎপাদন হচ্ছে।যা দিয়ে আমাদের সময় এবং পরিশ্রম কম হচ্ছে।তাই মানুষ সে সব জিনিস কিনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে।

IMG-20230922-WA0004.jpg

ডিজিটাল যুগে এখন সব কিছু আধুনিক হয়ে গেছে।সময় যাতে কম লাগে এবং পরিশ্রম যাতে কম হয় সে জন্য এখন সব কিছু ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে তাই এখন বাজারে রুটি মেকার পাওয়া যায়।দুই ধরনের কাঠের এবং প্লাস্টিকের।আটা মোথে যে কোনো অবস্থায় দেয়া হলেও রুটি গোল তৈরি হবে।এছাড়াও আর এক প্রকার ইলেকট্রনিক রুটি মেকার পাওয়া যায় এখন,আটা যে কোনো ভাবে দিলে রুটি গোল তৈরি হবে এবং রুটি ভেজে একদম গরম গরম পরিবেশন করা যাবে।


তাই ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে অনেক।কাঠের তৈরি রুটি মেকার এর রিভিউ অনেক ভালো।কিন্তু ইলেকট্রনিক রুটি মেকারের রিভিউ কোথাও আমি ভালো পাইনি।রুটি গোল আকারে তৈরি হলেও রুটি ভাজার আগেই রুটি মেকারের যে জায়গায় রুটি ভাজা হয়,সে জায়গায় আটকে লেগে যায়।এতে করে আটার অপচয় এবং যে টাকা দিয়ে কিনা হয় সে টাকাও নষ্ট।আমাদের উচিত ঐতিহ্যকে ধরে রেখে পিরি বেলুন ব্যবহার করা।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iPDmA6r5d8eJvYvh5CgDDHr1WVNikSBVoFez5xz8Tg2Rcs7ezqxZzHWeYeHX2fKBAKXywnWsmNv.png

লিখায় কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন এবং আপনার মতামত জানাবেন।সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো থাকবেন আশা করি।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjo1RbvAcCQduMMwuHbDsRzVBx6AiL4yUe4c3jZrHTmXNfKgvnZvKjNgBNrnn9HXgQGoD3BF4CWs2mv1MiJ9.gif

Black & White Minimalist Business Logo.png


You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

গাছকে কেটে কাঠ তৈরি করে পিরি বেলুন আকার দেয়া হয় মেশিন দিয়ে।বিভিন্ন নকশার পিরি বেলুন হয়ে থাকে।

গাছ এর কাঠ ছাড়া এসব পিরি বেলুন তৈরি করা অসম্ভব।যারা এসব পিরি বেলুন তৈরি করে তারা খুব দক্ষতার সাথে কাঠ কেটে এসব তৈরি করে এবং এতে অনেক নকশা করা থাকে।এটি হলো আমাদের দেশের ঐতিহ্য।

আমাদের দেশে সাধারণত রুটি পিঠা বানানোর জন্য এসব পিরি বেলুন ব্যবহার করা হয়।এছাড়াও অন্যান্য পিঠা বানানোর ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস রুটি মেকার,যার সাহায্য খুব সহজে রুটি বানানো যায়। বর্তমানে মানুষ এটির প্রতি অনেক ঝুঁকে যাচ্ছে।যার কারণে এসব পিরি বেলুন এখন বিলুপ্তির পথে আমাদের দেশে। দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

ধন্যবাদ

ঐতিহ্যবাহী কাঠের তৈরি পিরি বেলুন নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু, গ্রাম কিংবা শহরের প্রতিটি বাড়িতে কাঠের তৈরি পিরি বেলুন রয়েছে, রুটি বানানোর জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে কাঠ দিয়ে এই পিরি বেলুন বানানো হয়। যুগ যুগ ধরে মানুষ রুটি বানানোর জন্য এগুলো ব্যবহার করে আরছে, আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন, ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।

  ·  last year (edited)

অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। রুটি বানানোর জন্য ব্যবহৃত এই কাঠের পিরি ও বেলুন অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমিও রুটি বানাতে পারিনা আপু। আর ভারতের প্রধান খাদ্য যে রুটি তা আমার জানা ছিল না। দেশি মুরগির মাংসের রস সাদা রুটির সাথে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। অনেক সুন্দর লিখেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

রুটি তৈরি করার জন্য এই রুটি বেলনা বেশ কাজে আসে। আমাদের বাড়িতে এগুলো আছে। আমরা বাড়িতে এখনও এটি দিয়ে রুটি তৈরি করে খাই।এগুলো কাঠের তৈরি হয়।এখন মানুষ আধুনিক যুগে প্রবেশ করে কারেন্ট এর মাধ্যমে রুটি তৈরি করে।মানুষ এখন অলস হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ।

ঐতিহ্যবাহী পিড়ি বেলুন নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু। ছোটবেলা থেকেই এই পিড়ি বেলুন দিয়ে আমার আম্মুকে পিঠা বানাতে দেখছি। এই ধরনের পিড়ি বেলুন গ্রামের সবার বাড়িতেই আছে। এগুলো আমাদের ঐতিহ্য। ঠিক বলেছেন আপু ডিজিটাল যুগে সব কিছুই আধুনিক হয়ে গেছে যার কারনে এখন এই ধরনের পিড়ি বেলুনের ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে।

ধন্যবাদ।

ভাতের মত রুটিও ‍কিন্তু বাঙালির প্রধান খাবার। রুটি ছাড়া তো শহরের মানুষগুলো চলতেই পারে না। তাই প্রতিদিন রুটি বেলার জন্য প্রত্যেকের ঘরে একটি হলেও বেলুন পিড়ি আছে। তবে অনেক ধরনের বেলুন পিড়ি থাকলেও কাঠের তৈরি বেলুন পিড়ির প্রচলন কিন্তু বেশী। আর কাঠের তৈরি বেলুন পিড়িতে কিন্ত রুটি বেলা বেশ ভালো হয়।

ধন্যবাদ।

রুটি বানানোর জন্য সবথেকে সহজ উপকরণ হলো পিড়ি বেললা। এটি এমন একটি ঐতিহ্য প্রাচীনকাল থেকে এখনো ব্যবহার হয়ে আসছে আমাদের দেশে। এটি শুধু গ্রামে নয় শহরেও সমান ভাবে ব্যবহার হয়। রুটি মেকারের কথা আমি শুনেছি কিন্তু এখনো কারো ব্যবহার করতে দেখিনি। প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে আমাদের চাহিদার পরিবর্তন ঘটতেছে।

ব্যবহার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

পিরি বেলুন সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। আসলে আমরা যদি বাসায় অথবা কোথাও পিঠা বানিয়ে থাকি তাহলে এই পিরি বেলুন সবার আগে প্রয়োজন হয়ে থাকে। এগুলোতে পিঠা বানালে অনেক সুন্দর হয় এবং পিঠাগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু কারণ রুটি পিঠা এগুলোতে বানানো হয় আর রুটি পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা সবচেয়ে পছন্দের একটি পিঠা আমার। এবং এই রুটি পিঠা গরুর মাংস দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা ঈদের সময় তো কোন কথা নেই আমি সামনের ঈদে একসঙ্গে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ টি রুটি পিঠা খেয়েছে গরুর মাংস দিয়ে এতটাই পছন্দ আমার এই দুটি পিঠা। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমাদের বাড়িতে যেটি রয়েছে সেটি চারকোনা আকৃতি পিরা। আগে যখন বাড়িতে থাকতাম প্রতিদিন সকালে মা আমাকে পিঠা বানিয়ে দিত কিন্তু এখন দেয় না। এগুলোর ব্যবহার বাড়িতে দিন দিন কমে আসতেছে। শুধুমাত্র কয়েকটা উৎসবে বাড়িতে পিঠা বানিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে ঢাকা শহরে রুটি পিঠা কিনতেও পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলেছে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আমরা মাছে ভাতে বাঙালি ঠিকই কিন্তু রুটি আমাদের প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচিত করা হয়।যুগ যুগ ধরে এই পিড়ি বা বেলুন ব্যবহার হয়ে আসছে।প্রাচীনকাল থেকেই পিড়িও বেলুন আমাদের দেশে প্রচলিত। কাঠ দিয়ে তৈরি এই পিরি ও বেলুন। পিরি ও বেলুন নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু।

ঐতিহ্যবাহী পিরি বেলুন সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। এই পিরি বেলুন গ্রাম অঞ্চলের প্রায় সকলের বাড়িতে রয়েছে। জ্বি আপু রুটি পিঠা বাদেও এই পিরি বেলুন দিয়ে অনেক অনেক ধরনের পিঠা তৈরি করা যায়। তবে আমরা গ্রাম অঞ্চলে মানুষেরা এই পিরি বেলুন দিয়ে বেশিরভাগ রুটি পিঠা তৈরি করে থাকি। রুটি পিটা আমাদের সকলেই অনেক পছন্দের একটি পিঠা। বিশেষ করে গরুর মাংসের ঝোল দিয়ে রুটি পিঠা খাওয়ার স্বাদ টাই আলাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ঐতিহ্যবাহী পিরি বেলুন নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।