গ্রামে বশত বাড়িতে মুরগি পালনের জন্য ঘর

in hive-157557 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছো আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছো। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।

IMG-20230918-WA0006.jpgIMG-20230918-WA0002.jpg

গ্রামে বশত বাড়িতে কম বেশি সবাই মুরগি পালন করে মুরগি একটি গৃহপালিত প্রাণী। মুরগি পালন করা খুবই সহজ আমরা মুরগি বাজার থেকে কিনে এনে সেটাকে কয়দিন একটু বেঁধে রাখলে মুরগি টা যখন বাড়ির জায়গা টা চিনে জায় তখন মুরগি টাকে ছেরে দিলে সেই মুরগি বাড়ি থাকি কোথাও যায়না। বশত বাড়িতে পোষা মুরগীকে খাবার দেওয়ার তেমন কোনো ঝামেলা নাই কারণ বশত বাড়ির অঙ্গীনায় পরে থাকে অনেক ধরণের খাবার আবার অঙ্গীনায় একটু ভাত অথবা একটু চাল সিটিয়ে দিলেও হয়।
বাড়িতে পালন করা মুরগির গুলোকে আমরা দেশি মুরগি বলেই চিনি আর দেশি জিনিসের স্বাদ টাই আলাদা।আর বাড়িতে মুরগি এজন্যই লাগানো হয় যে হটাৎ কোনো আত্মীয় স্বজন আসলো তখন মুরগির ঘর থেকে একটা মুরগি ধরে জবাই করে অথিতি আপ্পায়ন করা যায় অথবা বাড়িতে মাংস খাওয়ার ইচ্ছা হলো একটা মুরগি ধরে জবাই করে রান্না করে খাওয়া যায়।আর বাড়িতে মুরগি পালনের জন্য ছোটো একটা ঘড়েই যথেষ্ট। আর এই ঘর বানাতে লাগে কাঠ, টিন, তারকাটা, অনেকে আবার বাঁশ দিয়েও বানায় তবে বাঁশের তৈরী মুরগির ঘর বেশি দিন টিকেনা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়েযায় আর টিন কাঠ দিয়ে তৈরী মুরগির ঘর অনেক দিন টিকশই দেয়। কাঠ আর টিন দিয়ে ঘর বানাতে লাগবে একজন কাঠ মিস্ত্রি। মিস্ত্রি প্রথমে কাঠ দিয়ে একটা সুন্দর করে ফ্রেম তৈরী করবে তারপর টিন দিয়ে চার পার্শে তারকাটা দিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে। তারপর মুরগির ঘর এর উপরে টিন দিয়ে চালা দিতে হবে এর সুন্দর করে দুই টা দরজা বানাতে হবে এই দরজা দিয়েই মুরগি ভিতরে ঢুকবে।

IMG-20230918-WA0001.jpgIMG-20230918-WA0003.jpg

এই রকম একটা মুরগির ঘরে ৩০ থেকে ৪০ টা মুরগি পালন করাযাবে আর ৩০/৪০ টা মুরগি পালন করতে পারলে আমাদের মাংসর চাহিদা আর ডিম এর চাহিদা মোটামুটি ভাবে পূরণ করা সম্ভব। আবার বশত বাড়িতে মুরগি পালন করে অনেকে আর্থিক ভাবে অনেক লাভবান হয় কারণ দেশি মুরগি দাম এখন অনেক বেশি দেশি মুরগির ডিমের চাহিদা ও অনেক বেশি দামও অনেক ভালো পাওয়া যায়। তাই এখন গ্রামে বশত বাড়িতে মুরগি পালনের চাহিদা দিন দিন বাড়তেছে কারণ অল্প টাকা খরচ করে নিজের চাহিদা ও পূরণ হচ্ছে আবার বাজারেও বেচা কিনা করা যাচ্ছে।

IMG-20230918-WA0005.jpgIMG-20230918-WA0004.jpg


Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ
@mazadul

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেকেই নিজ বাসায় মুরগি পালন করে,মুরগি একটি গৃহপালিত প্রাণী।আপনি সুন্দর করে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন যেভাবে মুরগি তার বাসায় থাকতে অভ্যস্ত হয়।খুব সুন্দর করে আপনি বিস্তারিত উপস্থাপন করেছেন মুরগির বাসা তৈরি যেভাবে করতে হয়।গ্রামে কিংবা শহরে অনেকেই মুরগি লালন পালন করে থাকে।মানুষ নিজ ইচ্ছা মতো তাদের বাসা তৈরি করে থাকে।আমাদেরও অনেক বছর আগে মুরগির বাসা ছিল,মানুষ বাসা যেমন ইটের দেয়ালের তৈরি প্লাস্টটার করা,রং করা দরজা কাঠের তেমনি আমাদের বাসার মুরগির বাসা তেমন ছিলো।অনেকে বুঝতেই পারতোনা যে সেটা মুরগির বাসা।আপনার পোস্ট দেখে অনেক স্মৃতি মনে পরে গেলো।অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনার পোস্টটি।ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

গ্রামের কমবেশি সবার বাড়িতেই হাঁস মুরগী পালন করার জন্য মুরগীর এমন ঘর রয়েছে। এই ঘর গুলো থেকে অনেক সহজেই মুরগীর দেখা শুনা করা যায় এবং এইখানে রোগের জন্য ভ্যাক্সিন দেওয়ার সুবিধা হয়। আমাদের বাসায় এমন একটা আছে যেখানে প্রায় ৩০-৪০ টা মুরগী পালন করা যায়। আপনি সুন্দর লিখেছেন ভাই।

ধন্যবাদ

মুরগি পালনের ঘর সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে মানুষের একটা শখ হয়েছে সেটি হল মুরগি পালন করা এবং এটি অনেক সহজ পদ্ধতিতে পালন করা যায়। এর জন্য কোন আলাদাভাবে অর্থ ব্যয় করতে হয় না এবং দেশি মুরগি অনেক সুন্দর পদ্ধতিতে সহজ উপায়ে অনেক সুন্দর ভাবে পালন করা যায়। এবং এই মুরগি রাখার জন্য গ্রাম অঞ্চলে এরকম ছোট ছোট ঘর এর মধ্যে মুরগি রাখা হয়। এবং এগুলো কেউ কেউ মাটির অথবা দালান অথবা কেউ এরকম টিন দিয়ে বানিয়ে থাকে যার যেরকম সুবিধা ঠিক সেরকম ভাবে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

ধন্যবাদ

গ্রামীণ সমাজের সবথেকে বেশি এসব মুরগি পালনের জন্য ঘর গুলো দেখা যায়।এই ঘরগুলো সাধারণত মাটির তৈরি অথবা টিনের তৈরি হয়ে থাকে। হাঁস মুরগি রাখার জন্য একটি আদর্শ ঘর হল এগুলো।আমাদের এদিকে এই ঘর গুলোর নাম বলা হয় খুপরি আপনি ঠিক বলেছেন বাশের তৈরি মুরগি রাখার ঘর গুলো বেশিদিন টেকে না তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।তাই মানুষ টিনের তৈরি অথবা মাটি দিয়ে তৈরি করে থাকে। দারুন লিখেছেন আপনি ভাই ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

ধন্যবাদ

বাড়িতে মুরগি পালনের জন্য এমন ঘর তৈরি করা হয়। এই ঘর গুলোতে মুরগি বেশ আরামে থাকতে পারে। এই ঘরগুলো কাঠমিস্ত্রিদের দাঁড়ায় বানিয়ে নেওয়া হয়। এই ঘরগুলোতে মুরগি থাকলে কোন দুর্যোগে এদের ক্ষতি হয় না। আমাদের বাড়িতে মুরগির ঘর রয়েছে তবে সেটি ইটের তৈরি করা হয়েছে। আমি আবার সেই ঘরের উপরে কংক্রিটের ছাদ দিয়ে দিয়েছি। আপনি বেশ চমৎকার একটি মুরগির ঘর আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন। তবে ঘরটি মনে হচ্ছে অনেক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় পড়ে যেতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

গ্রামের একটি ঐতিহ্য নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। গ্রামের কম বেশি প্রতিটি বাড়িতে হাঁস মুরগি পালন করা হয়। হাঁস মুরগি রাখার জন্য এই ঘরগুলো বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা হয়। তবে আমাদের এলাকায় বেশিরভাগ বাড়িতেই মুরগি রাখার এই ঘরগুলো ইট ও মাটি দিয়ে প্রাচীর গাঁথা। আমাদের এলাকায় মুরগি রাখার এই ঘরকে "খোপড়া" বলা হয়। চমৎকার লিখেছেন।এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

image.png

গ্রামের বসত বাড়িতে মুরগী পালনের জন্য ঘর নিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। গ্রামের মানুষ হাঁস-মুরগী পালন করে থাকে। সেই হাঁস-মুরগীর থাকার জন্য ছোট ছোট ঘর বানানো হয় যেগুলোকে আনাদের গ্রামের ভাষায় খুপরি বলা হয়ে থাকে। বেশীরভাগ খুপরিই মাটির তৈরি হয়। আমাদের বাড়িতে হাঁস ও মুরগীর জন্য আলাদা আলাদা দুইটি ঘর আছে।

ধন্যবাদ।

সাধারণত আমরা মুরগি বা কবুতর এর ঘর এই রকম করে বানাই। তবে আপমি ঠিক তেমনি ভাবে মুরগি পালনের জন্য অনেক সুন্দর ভাবে একটি ঘর তৈরি করেছেন। সুন্দর ভাবে তৈরি করার পাশাপাশি সুন্দর ভাবে বর্ণনাও করেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

লালন-পালন করা হাঁস মুরগির ঘর সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। গ্রামের বসত বাড়ি গুলোতে এরকম হাঁস মুরগির ঘর প্রায় দেখা যায়। এই হাঁস মুরগির ঘরগুলো আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। কারণ এরকম হাঁস মুরগির ঘর এখন খুবই কম দেখা যায়। আগের সময়ে প্রতিটি বাড়িতে এরকম হাঁস মুরগির ঘর ছিল। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই মুরগির ঘরটি কাঠ এবং টিন দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। আর এই মাপের ঘর গুলোতে ৩০ থেকে ৪০টি মুরগি রাখা যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

গ্রামগঞ্জের বসতবাড়িতে দেখা হাঁস-মুরগি পালনের ঘর। তবে আমাদের এলাকায় হাঁস-মুরগি রাখার ঘরকে খোপড়া বা খুপড়ি বলা হয়। এই ঘরে মুলত হাঁস-মুরগি রাখার হয় যাতে বৃষ্টির পানি ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।হাঁস-মুরগি রাখার ঘর নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।

গ্রামের মানুষ বহু আগে থেকেই হাঁস মুরগি পালন করে, হাঁস মুরগীর ঘর গ্রামের ঐতিহ্য, গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে হাঁস মুরগী রয়েছে। আমাদের গ্রামের বাড়িতেও হাঁস মুরগি পালন করে থাকে। টিনের তৈরি হাঁস মুরগির ঘর নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন, ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

বসতবাড়িতে মুরগি পালনের ঘর নিয়ে আপনি দারুন একটি শেয়ার করেছেন। এগুলো গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই দেখা যায়। তবে শহরে এগুলো সচরাচর দেখা যায় না। কারণ শহরে হাঁস মুরগি প্রতিপালন করা হয় না। তবে গ্রামাঞ্চলে রাতে এগুলোতে মুরগি রাখা হয়। এগুলোতেও হাঁস মুরগি রাখলে কোন ক্ষতিকর প্রাণী এসে ক্ষতি করতে পারে না। আপনি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

গ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এরকম মুরগির ঘর রয়েছে। যেখানে গ্রামে সাধারণ মানুষ মুরগি লালন পালন করে থাকে। তবে এরকম টিনের ঘরের পাশাপাশি কাঠের ঘর দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের বাড়িতেও এরকম একটি মুরগির ঘর রয়েছে যেখানে আমার মা মুরগি পালন করে থাকে।

ইস্ দিলেন তো সেই ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে। ছেলেবেলায় দেখতাম এমন ঘরগুলোতে মুরগী পালন করা হতো। এখন অবশ্য এগুলো শহরে তেমন চোখে পড়ে না। আজ আপনার পোস্ট দেখে আবার মনে পড়ে গেল মুরগীর এই ধরনের ঘরগুলোর কথা।গ্রাম গঞ্জে আজও মুরগী পালনের ক্ষেত্রে এমন ঘর ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে এই ধরনের ঘর গুলোতে প্রায় অনেক মুরগী এক সাথে পালন করা যায়।