আমি নওশাদারা খানম কলি। বাংলাদেশের খুলনা জেলায় আমার জন্ম ও বসবাস । এস এস সি পাস করি পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ।তারপর খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করি । সেখান থেকেই বাংলা সাহিত্যে অনার্স এবং মাস্টার্স পাস করি।একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করি ।
চাকুরিকালীন সি- ইনএড , বি-এড , এম - এড কোর্স সম্পন্ন করি ।আমার কর্মস্থলকে ভীষণ ভালোবাসি ।
ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির অভ্যাস ছিলো ।টুকিটাকি লিখতাম। বই পড়া আমার নেশা ।প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন ভূতের গল্প দিয়ে পাঠ্যবইয়ের বাইরের বই পড়া শুরু । গোগ্রাসে সব বইই পড়তাম ।মাঝে বেশ কবছর পড়ালেখা থেকে কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিলো কাজের জন্যে । কিছুদিন আগে ইউটিউবের মাধ্যমে জানতে পারলাম স্টিমিটের কথা , আমার বাংলা ব্লগের কথা। তাই এখানে সদস্য হলাম ।
আমার পিতা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন নিবেদিতপ্রাণ প্রধান শিক্ষক । মা ও ছিলেন একজন প্রাথমিক শিক্ষক । আমার এলাকাটি তখনকার সময়ে লেখাপড়ায় এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ছিলো । যথেষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব ছিলো ।আমার শ্রম আর পিতামাতার চেষ্টায় গ্রাম থেকে ৫ কি মি দূরে আতাই নদী পার হয়ে পথের বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাস করি । তারপর শহরের কলেজে ভর্তি হই । সেখান থেকেই লেখাপড়া শেষ করি । আমরা পাঁচ ভাইবোন এভাবেই লেখাপড়া করেছি ।
আমি ভালোবাসি প্রকৃতিকে ,মুক্তি খুঁজি এখানে ।
আমার পোষাপ্রাণী কবুতর । এদের সান্নিধ্য আমাকে মুগ্ধ করে ।
ভালোবাসি বাগান করতে । ছোটবেলায় শুনেছিলাম নিজের রক্ত দিয়ে জবা ফুলের গাছ লাগালে রক্তরাঙ্গা বেশি বেশি ফুল ফোটে । আমি তাই করেছিলাম । একটা জবার ডাল মাটিতে পুঁতে তার গোড়ায় আমার ডান হাতের মধ্যমা থেকে রক্ত দিয়েছিলাম । একেই বলে ছেলেবেলা ।তবে আমার সেই গাছে অনেক বছর ধরে অসংখ্য অসংখ্য রক্ত জবা ফুটেছিলো ! এখন জানি সেটা আমার রক্ত দেওয়ার জন্য নয় ।গাছটি আজ আর নেই । নিচের ছবিটি আমার গোলাপ গাছের সাথে।
চলার পথের ভালোলাগা , মন্দলাগা এখানে শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের সান্নিধ্য পেতে চাই ।সবাইকে শুভেচ্ছা এবং আমার পোস্টে স্বাগতম ।