ছোট খালাদের বাসায় বিভিন্ন পিঠা তৈরির মুহূর্ত।

in hive-163291 •  last year 

সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি৷ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম, আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ছোট খালাদের বাসায় গিয়ে পিঠা বানানোর মুহূর্তটা শেয়ার করব৷ আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। চলুন শুরু করি-

আমার ছোট ভাই আবারও অসুস্থ হয়েছে। গত কয়েক দিন আগে ওর জ্বর ঠান্ডাতে অবস্থা করুন ছিল। সেটা সেরে উঠতেই আবার দাতের সমস্যা বাড়ছে। একটা সাইডের কর্ণারে আক্কেল দাঁত উঠতেছিল। যার জন্য খুবই ব্যাথা ছিল। ঠিক মতো খাবার খেতে পারতেছিল না। এজন্য গতকালকে কুষ্টিয়া থেকে চলে এসে কুমারখালি দাঁতের ডাক্তার দেখাল। ডাক্তার বললো দাঁতটা তুলে ফেলতে হবে। কি করার, ডাক্তারের পরামর্শে দাতটা তুলে গতকালকে বাসায় আসছে। প্রচন্ড ব্যাথা ছিল। এন্টিবায়োটিক ঔষুধ আর ডাক্তারের বলে দেওয়া নিয়ম মানার জন্য কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দাঁতের ব্যাথা কমে গিয়েছিল। হঠাৎ ভাই বললো, আপু চলেন ছোট খালাদের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি।

IMG_20230819_203204.jpg

আজকে সকালে আমি, ভাই, এবং আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে আমার ছোট খালাদের বাসায় বেড়াতে চলে আসলাম। আসার পরই আগে ভাইকে পানি গরম করে দিলাম কুলকুচি করার জন্য। দিনে ২০ বার ভাইকে গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করা লাগে। এরপর খালাদের সাথে কথা বললাম। দুপুরের পর আমার খালা চাউল গুড়া করে আমল, এরপর সেটা দিয়ে আমি এবং খালা কয়েক রকম পিঠা বানালাম। প্রথমে ভাই, কয়েকটা নারকেল ছিলে নারকেলের মালইগুলো বের করে দিল। এরপর আমি সেগুলো থেকে নারকেলগুলো কুড়ে নিলাম। আজকে নারকেল দিয়ে কুলি পিঠা বানাবো। আমার ছোট ভাই এটা খুব পছন্দ করে।
IMG_20230819_203024.jpg

IMG_20230819_190516.jpg

IMG_20230819_173206.jpg

IMG_20230819_173155.jpg

IMG_20230819_173148.jpg

আমি এক দিকে কুলি পিঠা বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। অন্য দিকে খালা রুটি পিঠা এবং মাংস রান্না করতে লাগল। আসলে আমার খালার কোনো সন্তান নেই, এজন্য আমার ছোট ভাইকে নিজের ছেলের মতো ভালোবাসে। আমি কুলি পিঠাগুলো বানিয়ে সেগুলো তেল দিয়ে হালকা করে ভেজে নিলাম। ভাজার পরই সেগুলো খাবার উপযোগী। ভাই তেলে ভাজা কুলিই খাবে এজন্য, আর আলাদা করে রস তৈরি করে ভিজিয়ে রাখি নাই। এরপর আমার খালাও তার বাকি রান্না গুলো শেষ করলেন। রাতে আমরা সবাই মিলে আনন্দের মাঝে খাবারগুলো খেলাম।

এভাবে পরিবারের সাথে আনন্দে কাটানো মুহুর্ত গুলো ভোলার মতো না। আসলে আমার ছোট ভাই, ডুয়েটে এডমিশন দেওয়ার জন্য ৩১ তারিখে গাজিপুর চলে যাবে। যেহেতু ওর আসতে দেরি হবে। হয়ত এভাবে আর কারুর বাড়ী যেতে পারবে নাহ।এজন্য আমার খালা ওকে এভাবে পছন্দের খাবারগুলো রান্না করে খাওয়াচ্ছে। আসলে সন্তানের প্রতি মায়েদের ভালোবাসা সব সময় একটু বেশিই হয়। আশা করি আমার আজকের পোষ্টটা আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!