##Travel

আসসালামুওয়ালাইকুম, সর্বপ্রথম সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তালার অশেষ কৃপা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।আমি আশা করি আপনারাও মহান আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও মহান আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে এখন ভালোই আছি।আমি অনেক দিন যাবত অসুস্থ থাকার কারনে, তেমন কোন কমিউনিটিতে অংশ গ্রহণ করতে পারি নি।মাঝেমধ্যে ১/২ টা পোস্ট করে এক্টিভ থাকবার ট্রাই করেছি।কিন্তু তা সম্পূর্ণ করে উঠতে পারি নি।অনেক দিনের গ্যাপ রয়েছে আমার।আশা করি আপনারা আমাকে আগের মতোই সাপোর্ট করে আমার সাথেই থাকবেন।☺️

আজ আমি এসেছি আমার নানু বাড়ি ভ্রমণের আনন্দ আর অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে।

আমি যখন খুব বেশি অসুস্থ। তখন সন্দেশ পেলাম আমার নানা খুব অসুস্থ। বৃদ্ধ হয়েছে এখন এর অসুস্থতা একটু বেশিই হবে।এটাই স্বাভাবিক। সিদ্ধান্ত নিলাম একটু সুস্থ হলে নানাকে দেখতে যাবো।সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ রমনা দিলাম।মন খুবই খারাপ। কারন আমার হাসবেন্ড কে ছাড়া আমার একেবারেই যেতে ইচ্চা করছে না।আর তার ও সময় নেই আমার সাথে যাবার।তার স্টুডেন্ট এর পরিক্ষা চলছে।যাইহোক সকাল ৭:১৫ মিনিট এ গাড়ি।এই প্রথম দেখলাম নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে।

খান জাহান আলী সেতু রুপসা নদীর উপরে নির্মিত একটি সেতু।এই সেতুটি রুপসা নদীর উপরে নির্মিত বলে, রুপসা সেতু বলেই এর পরিচিতি লাভ করেছে।সেতুটি চালু হয় ২১ শে মে ২০০৫ সালে।এই সেতুটিতে দুই পাড়ে দুটি করে মোট চারটি সিড়ি রয়েছে।এতে করে এই সেতুটিতে খুব সহজেই দর্শনার্থীরা উঠতে পারে।প্রতিদিন এই সেতুটি ভ্রমনে খুলনা জেলা সহ বিভিন্ন জেলা হতে দর্শনার্থীদের অনেক ভীর লক্ষ্য করা যায়। এই সেতুটির দৈঘ্য ১.৬০ কিলোমিটার আর প্রস্থ ১৬.৪৮ মিটার।
আমি এখন এই সেতুতে। বাহিরের পরিবেশটা অনেক সুন্দর।এই সুন্দর্যের ভাগাভাগি আপনাদের সাথে করবো বলে একটি ছবি তুলে নিয়েছি।আর একটি কথা শেয়ার করি আপনাদের সাথে সেটি হলো আমি কিন্তু প্রায় সময়ই এখানে ঘুরতে আসি।খুবই সুন্দর একটি জায়গা এটা।আপনারা চাইলেও এখানে ঘুরতে আসতে পারেন।

এখানে যে পিলারটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এটি খুলনা ও বাগেরহাট জেলার মাঝামাঝি অবস্থান। এর এক পাশে খুলনা আর অন্য পাশে বাগেরহাট জেলা।এই পিলারটির অবস্থান খুলনার রুপসা নদী পাড় হয়ে বটতলা মন্দিরের পাশেই এই পিলারটি অবস্থিত।

এটি বাগেরহাটের দরাটানা সেতু।তবে সবার কাছে এটি বাগেরহাট ব্রিজ নামেই পরিচিত। এই সেতুটি বাগেরহাট ভৈরব নদীর উপরে নির্মিত। এই সেতুটির মাধ্যমে পিরোজপুর, বরিশাল, মোরেলগঞ্জ,শরনখোলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।

অনেক পথ অতিক্রম করে অবশেষে মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাটে এসে পৌছালাম।এখানে আসা মাত্রই আকাশে ঘন কালো মেঘ এর ছবি চোখে পড়লো। কিছু সময়ের মধ্যেই অনেক ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল।এখন শুধু অপেক্ষা ফেরি পাবার। কখন ফেরি পাবো জানি না।বাহিরে বৃষ্টিও হচ্ছে। বৃষ্টি সব সময় প্রিয় মানুষকে মনে করিয়ে দেয়। আমিও ভাবছিলাম সে এখন কি করছে?,,,,,,,,,, ,

অবশেষে,,, প্রায় ২/২.৫০ মিনিট পরে ফেরি পেলাম।নানুর বাড়ির কাছেই প্রায় এই ফেরি।এতো কাছে এসে অপেক্ষা করতে খুব খারাপ লাগছিলো। কখন যাবো,, কখন নানা নানিকে দেখবো। এ যেন অপেক্ষার পরিক্ষা চলছে।।
ফেরির ওই পাড়ে আমাকে রিসিভ করার জন্য কেউ অপেক্ষা করছে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।পরবর্তী ঘটনা পরবর্তী পোস্ট গুলোতে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।