Betterlife // The Diarygame 07-02-2025 // A very nice day

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আমি @alomgir121 আজ আপনাদের মাঝে নতুন আরো একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। এবং শেষ পর্যন্ত সবাই সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ। প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি সকালবেলা একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠি, কারণ গতকালকে আমার ফ্রেন্ডের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিলাম সেজন্য। এরপর আমি প্রায় দশটা সাড়ে দশটার দিকে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে এসে সকালের নাস্তা সেরে ফেলি। তারপর বাহিরে বের হোই এবং বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই।তারপরে আমরা আজ চলনে যাবো সেজন্য আমি এবং আমার ওয়াইফ কিছু কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে চলে যাই। এরপরে আমার ওয়াইফের জন্য বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করলাম এবং আমার ছেলের জন্য কিছু কেনাকাটা করলাম তারপরে আমরা আবার বাড়িতে ফিরে আসি।এরপরে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে ফেলি। তারপর একটু বিশ্রাম নেওয়ার পরে আমরা গুছিয়ে ফেলি। রাতে যেহেতু চলনে যাব তাই আমি তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ি।এরপরে আমরা আমার ফ্রেন্ডকে গুছিয়ে বাহিরে বেড় করি।

তারপরে আমরা বাইকে করে চলে যাই মেয়েদের বাড়িতে অনুষ্ঠানের স্থানে। আমরা বাইকে করে যাওয়ার সময় খুবই মজা করি, আমরা যখন সেই অনুষ্ঠানের সেন্টারে পৌঁছালাম, তখন আমাদেরকে বরণ করে নিলো মেয়ে পক্ষ। তারপর আমরা স্টেজে গিয়ে আমাদের আসন গ্রহণ করি। এবং আমার বন্ধুকে নিয়ে স্টেজে বসাই।

এরপরে আমাদের সাথে যারা এসেছিল বরযাত্রী, তারা সবাই খাওয়া-দাওয়া করতে টেবিলে আসন গ্রহণ করেন এবং তারা খাওয়া দাওয়া শুরু করে। আমি এবং আমার একজন ফ্রেন্ড আমরা তখন খেতে বসি না। কারণ আমরা আমাদের ফ্রেন্ডের সাথে সময় দিচ্ছিলাম সেজন্য। ওইদিকে খাওয়া-দাওয়া চলছিলো এবং এদিক দিয়ে জামাইয়ের ফটো সেশন চলছিলো।

তো তখন ওর বেশ কিছু ছবি তোলে ক্যামেরা ম্যান।
এর মধ্য দিয়ে আমরা খুব মজা করছিলাম মেয়ে পক্ষদের সাথে। এবং মেয়ের দাদি এসে খুব মজা করলো এবং সে কিছু গান ও পরিবেশন করলো, তখন কিছু ছবি তুলেছিলাম আমি।

তো এরপরে সবার খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে, বিয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। তখন কাজি আসে এবং দুই পক্ষের গার্ডিয়ানরা একসাথে বসে মেয়ে ও ছেলেকে কুবুল পরান।এরপরে আনুষ্ঠানিকভাবে মালা বদল হয়।

মালাবদলে পরে মেয়ের পক্ষ থেকে মেয়ের মা আমার বন্ধুকে মানে তার মেয়ের জামাইকে আংটি পরিয়ে দেয়। অনুষ্ঠান টা শেষ পর্যায়ে আমি এবং আমার ফ্রেন্ডরা মিলে যারা খাইনি তারা একসাথে খাওয়া-দাওয়া করতে বসলাম। এবং খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবেগ ঘন মুহুর্তে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়িতে চলে আসি। প্রিয় বন্ধুরা আজকের ব্লগটি এ পর্যন্তই ছিলো।আশা করি সবার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দেখা হবে আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।