Contest: my plan for celebrating Eid ul fitor..

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল ও সুস্থ আছে। আমি আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি। আজকে আমি একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছি। যে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছেন @enamul ভাই। প্রতিযোগিতা একটি হচ্ছে আমি এই ঈদুল ফিতর কিভাবে উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছি। সময়ের সাথে খুব সুন্দর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সেজন্য এনামুল ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। রমজানের শেষের দিকে এমনি ঈদের একটা আনন্দ সবার মনের মধ্যে কাজ করে। আর আমরা যারা এই প্লাটফর্মে কাজ করি তাদের খুব সহজ একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

আমি আমার পরিবারের একমাত্র ছেলে সন্তান। এজন্য আমার উপরে লিভারের সকল দায়িত্ব পড়ে থাকে। সেজন্য আমার পরিবারের লোকজন এবং আমার ভাগিনা ভাগিনিদের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে হচ্ছে। সেগুলো আমার দায়িত্ব থেকেই করতে হয়।

আমি যাদের সাথে এবং যেখানে ঈদুল ফিতর উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং কেন?

আমি আমার পরিবারের সাথে এবং আমাদের বাড়িতেই ঈদুল ফিতর কাটানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার বাড়িতে আমার বাবা মা কাকা কাকি এবং আমার বড় বোন এবং ছোট বোন তাদের সবাইকে দাওয়াত করেছি। তাই প্রত্যেক বছরই আমাদের বাড়িতে আমরা ঈদ পালন করে থাকি। ঈদের মধ্যে আমার ফুফু এবং বোনেরা আসলে বাড়ির আবহাওয়া টাই অন্যরকম হয়ে যায়। সবাই একসাথে অনেক রকমের গল্প করা যায়। আর নিজের বাড়িতে ঈদুল ফিতর উদযাপন করাটা অনেক মজার হয়ে থাকে। সেজন্য এবারও আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন আমাদের বাড়িতেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকবো।

আমি আমার পরিবারের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনেছি কি?

আমি আমার পরিবারের জন্য হালকা কিছু জিনিস বা কাপড় ক্রয় করেছি। পরিবারের মধ্যে অনেক রকমের সমস্যা থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ছোট বাজনা বাদ নেই এবং বাবা মার জন্য অনেক কিছুই ক্রয় করতে হয়। বিশেষ করে আমার বোনের ছেলেমেয়েদের জন্য আপু এবং জুতা এবং অন্যান্য প্রসাধনের সামগ্রী কয়েক করতেই হয়। তাদের ঈদের মধ্যে যে খুশি থাকে সেটা দেখে আমার অন্তরে খুব প্রশান্তি অনুভূত হয়। তাদেরকে আনন্দমাখা মুখ সেটা দেখে খুবই ভালো লাগে।

ঈদের দিনটি যেভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছি।

ঈদের দিনের সকালে ঘুম থেকে উঠার আল্লাহতালার কাছে নিয়ত করেছি। খুব ভোরে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করব। তারপর সকালে হালকা কিছু মিষ্টি জনিত খাবার খাব। তারপর সকাল সাতটার দিকে গোসল করব। গোসল করে নতুন জামা কাপড় পড়ে ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদর করতে যাব। ঈদের নামাজের পর আমি আমার বাড়িতে চলে আসবো। বাড়িতে এসে আবারো কিছু খাবার খেয়ে নিব। তারপর আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বেশ কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করবো। দুপুরে আমি যুহরের নামাজ আদায় করবো। তারপর আমি দুপুরের খাবার খাব। তারপর এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় বাড়িতে সবার সাথে কথাবার্তা বা গল্প করবো। আসরের নামাজ আদায় করে তারপর আমি ঘুরতে বের হবো। আমি আমাদের জামালপুর জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় কিছু স্থানে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা করেছি। যার মধ্যে হচ্ছে জামালপুর শহরে ফৌজদারি মোরে ঘুরতে যাওয়া। দ্বিতীয়ত হচ্ছে মেলান্দহ উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ব্রিজে ঘুরতে যাওয়া। বিকেলের দিক থেকে প্রচুর পরিমাণ লোক এসব জায়গায় ঘুরতে যায়। তৃতীয়ত হচ্ছে মাদারগঞ্জ উপজেলা আর একটা ব্রিজে ঘুরতে যাওয়া। আমি যাদের সাথে ঘুরতে যাব তারা আমার খুব সমবয়সী। তাদের সাথে এদের ছুটিতে অনেক সময় কাটিয়ে থাকি। একজনের নাম মোহাম্মদ আবুল কাশেম। সে আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামে থাকে। সে ঢাকায় একটা পোশাক কারখানায় চাকরি করে থাকে। সে বাড়িতে আসলে আমার সাথে সময় কাটায়। দ্বিতীয়ত হচেছ মনির হোসেন। যে সম্পর্কে আমার ফুফাতো ভাই হয়। তারপর আমার কিছু চাচাতো ভাই এবং ভাতিজাদের সাথেও ঘোরাঘুরি করে থাকি। ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় অনেকেই বাড়িতে এসেছে। সবাই মিলে একসাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক।

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ও দেখার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।