আপনার ডিপ্রেশনের মুক্তি পেতে সৎ কাজে ব্যাস্ত হন।

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় লেখক এবং পাঠক আশাকরি আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো আছেন। স্টিম জার্নি সবার শুভ হউক। এখানে এগিয়ে যাওয়ার প্রধান রুলস হচ্ছে জানা এবং মানা। আপনি জানবেন,এরপর মেনে এগিয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক! আপনাদের আজ একটি নতুন বিষয়ে আমার সুক্ষ জ্ঞান থেকে একটি বিষয়ে আলাপ করতে ইচ্ছুক।
আজকের বিষয় ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে করণীয়।

ডিপ্রেশন...
খারাপ সময় যা জীবনে হতাশা আর দুর্বিষহ করে তুলে।আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কোননা কোন একসময় এই ডিপ্রেশনের ভুক্তভোগী হয়ে থাকি। এটা আজ বা কাল কোন একটা সময় করে সবার জীবনেই আসবেই আসবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে এরথেকে মুক্তির উপায়।

মুক্তির পথ...
আমাদের জীবনের এই দুঃসময় আসে আমাদের ভুল পথে পা বাড়ানো থেকে, অথচ আমরা একটু উপরে মাথা দিলে বুঝতে পারি,এই পথ অনেক আগে পাড়ি দিয়ে এসেছেন আমাদের শ্রদ্ধেয় বাবা-মা,ভাইবোন, সিনিয়র বড়ভাই,বড় আপু। আমরা অনেকে এই কষ্টের কথা বড়জনদের জানাতে পারি না।

জানাতে না পারার কারণ হচ্ছে,আমরা ভুল পথে যেটার জন্য লজ্জিত হতে হয়। কিন্তু কথা হচ্ছে তারপরও বড় কোন বিপদ এড়াতে বড়দের শরণাপন্ন হতেই হবে।এতে লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ দিনশেষে এক্সিডেন্ট হলে সবাইকে এর জন্য ভোগতে হবে।

কাকে জানাবেন...
হুম এটাই হচ্ছে মেইন সমস্যা। আমার পরামর্শ থাকবে প্রথমে নিজের সমবয়সী ভাই-বোন অথবা মা'কে জানানো উচিৎ, বিফলতার কারণ কী। এতে করে উনারা চিন্তাভাবনা করে সঠিক একটা সমাধান দিবেন। কিন্তু কোনভাবেই কাউকে না জানিয়ে নিজের সমস্যা, গোপন করা যাবে না।

লোকানো...
কোন সমস্যা লোকাবেন সেটা নিজে সমাধান করতে না পারলে আরো বড় রুপ নিবে। যেটা সামাল দেওয়া আপনার পক্ষে অথবা পরিবারের পক্ষে আরো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। এটা কোনভাবেই কাম্য নই। সমস্যা হবে এরজন্য সমাধান করার একটা পথ হয়েই যাবে।

নিজের করণীয়...
নিজের কাজ হচ্ছে বিপদে পড়ার মতো ভুল পথে না যাওয়া। চিন্তাভাবনা করে পা বাড়ানো। যদি কোন কারণে আপনি বিপদেরগন্ধ পান তাহলে,যথাসম্ভব দ্রুত ফিরে আসার চেষ্টা করা। নিজের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে ভালো মন্দ বুঝেশুঝে কাজ করা।

সর্বশেষ করণীয়...
দিনশেষে আপনি মানেন আর না মানেন সবকিছু মহান রাব্বুল আ'লামিনের কাছে হাজিরা দিতেই হবে। সুতরাং ডিপ্রেশন বা দুশ্চিন্তা অথবা দুঃসময়ের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি ইস্তেগফার ৫ ওয়াক্ত সালাত জামাতে আদায় করে প্রার্থনা করা।

সবার উচিৎ নিজেদের ধর্মীয় কাজে মনযোগী হওয়া,এবং নিজের সময়কে মূল্যায়ন করা।

আপনার যখন মনে অশান্তি চরম আকার ধারণ করবে আপনার উচিৎ মনকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য আপনার সাধ্যমতো সুন্দর প্রাকৃতিক জায়গাতে ভ্রমনের মাধ্যমে নিজেদের দুঃখ/কষ্ট বিসর্জন দেওয়া।

পৃথীবির এতো সব আমাদেরকে ঘিরেই। অথচ আমরা এটার সঠিক ব্যবহার না জেনে,হয় বিপদে পড়ি,না হয় ধ্বংস করি এটা কোনভাবেই উচিৎ না।

এতো সুন্দর পৃথীবির সব স্থানে আমাদের বিচরণ না হলেও সামর্থ্য অনুসারে ভ্রমণ চালিয়ে যাওয়া উচিৎ এতে করে নিজেদের যে,সময়টা সেটা অনেক ছোট মনে হবে,ইচ্ছা করবে ভালো কিছুতে আরো সময় দেওয়ার।