আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
পৃথিবীতে ক্রিকেটার চেয়ে ফুটবলের জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি তাই ফুটবল কেন্দ্র করে যে খেলোয়াড় গুলো খেলা খেলে থাকে তাদের প্রতি একটা আলাদা টান থাকে সবার । একজন আর্জেন্টাইন সাপোর্টার হিসেবে আজকে কোপা আমেরিকার ফাইনাল দেখার জন্য অধীর আগ্রহ হয়ে বসে ছিলাম। সকালবেলা ৫:৩০ মিনিট থেকে মোবাইল অন করে বসে আছি খেলা দেখার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সময় করাতে করাতে সেই খেলা শুরু হলো সাতটা বিশ মিনিটে গিয়ে। সকাল থেকে আমি এবং আমার এক বন্ধু একসাথে বসে ছিলাম আমি খেলা দেখবো বলে কিছুক্ষণ পর আর এক বন্ধু ফোন করলো সবাই মিলে টিভিতে খেলা দেখবে তাই আমরা দেরি না করে ছুটে চলে গেলাম সেখানে। কারণ একজন দুজন দেখে খেলার অতটা আনন্দ পাওয়া যায় না যতটা আনন্দ একত্রিত হয়ে দলবদ্ধ হয়ে খেলা দেখাতে পাওয়া যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা সবাই ছয়টা বাজার ১০ মিনিট আগে থেকেই নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হয়ে বসে আছে। অপেক্ষা করতে করতে যখন প্রায় সাতটা অতিক্রম হয়ে গিয়েছে তখন সবার মন মানসিকতা খুবই খারাপ হয়ে গেল কারণ কারো কারো অফিস আছে কাউকে তার দোকান কিংবা ব্যবসায়ী চলে যেতে হবে এদিকে খেলা শুরু হওয়ার কোন নাম গন্ধ নেই।
অনেকক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে অবশেষে প্রায় ৭:৩০ মিনিটের দিকে যখন খেলা শুরু হলো তখন সবাই নিশ্চুপ হয়ে মনোযোগ দিয়ে টিভির দিকে চোখ রাখল। খেলার প্রায় ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে যখন একটা সুন্দর গোল হওয়ার সুযোগ আসলো সবাই তো খুশিতে লাফিয়ে উঠলো। ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে যদি একটা গোল দিয়ে দেওয়া যেত তাহলে সেটা যেমন একটা বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে তো তেমনিতে আমরা আর্জেন্টাইন ভক্তদের জন্য আলাদা একটা আনন্দের দিন হিসেবে আজকে চিহ্নিত হয়ে যেত। কিন্তু সেই সুযোগটা আর হয়ে উঠল না। এই যে ৪৫ সেকেন্ডে একটা গোল মিস হল সেই গোল মিস হয়ে একটি গোল দিতে আমাদের সময় লেগে গেল পুরো ১১২ মিনিট পর্যন্ত। এই ১১২ মিনিট পর্যন্ত কতটুকু বুক ধুব্ধ পানি নিয়ে আমরা খেলাটা উপভোগ করেছি সেটা একমাত্র ভক্তই জানে। কারণ এর আগেও ফাইনালে একদম শেষ মুহূর্তে গিয়ে স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ার মত দুঃখ আমাদের রয়েছে।
কিন্তু এইবারে আর সেই দুঃখ রইল না ১১২ মিনিটে সুন্দর একটি গোল উপহার দেওয়ার মাধ্যমে আর্জেন্টাইন ভক্তদের মন উৎফুল্ল হয়ে উঠলো। অনেকক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে খেলা দেখার পর সবাই যখন নিরাশ হয়ে যাচ্ছিল এই সময় এই গোলটা আমাদের মনে বৃষ্টির মত হয়ে ঝরে পড়ল। সবাই লাফালাফি নাচানাচি অনেক আনন্দ করতে লাগলো। অতঃপর আর মাত্র আটটা মিনিট ধৈর্য ধারণ করে খেলা শেষ করতে পারলেই আমরা পুনরায় কোপা আমেরিকা ফাইনাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাব। অবশেষে দশ পার হওয়ার পর জব কোন রেফারি ফাইনাল বাকিটা দিয়ে দিল তখন আমরা নিশ্চিত হয়ে গেলাম আমরা আবারও আমাদের নামটা বজায় রাখতে পারলাম। স্মৃতির পাতায় আরও একটি নতুন সুন্দর স্মৃতি যোগ হলো।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।