আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
গ্রামের বাড়িতে সবার সাথে আরও একটি ঈদ উদযাপন হয়ে গেল। ২০২২ সাল থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত মোট তিনটা এর গ্রামের বাড়িতে এবারের মত কাটিয়ে ফেললাম। দীর্ঘ অনেক বছর পর্যন্ত কক্সবাজার যখন আমরা ছিলাম তখন বেশিরভাগ সময় রমজানের ইফতার কক্সবাজারে কাটানো হত। তবে মাঝেমধ্যে কোরবানির ঈদে গ্রামের বাড়িতে আসতাম যতদিন পর্যন্ত দাদু বেঁচে ছিল। এটা আমার বাড়ির ঈদে কাটানোটা একটা আলাদা মজা কাছে করে কারণ এখানে সব আত্মীয়-স্বজনকে ঈদের সময় একসাথে পাওয়া যায়। শহরে যখন ঈদ উদযাপন করতাম তখন কাছের বন্ধু এবং পরিচিত কিছু মানুষজন ছাড়া কাউকে তেমন পাওয়া যেত না। কিন্তু ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষ গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে সেই সুবাদে অনেক পুরাতন আত্মীয়-স্বজনদের দেখতে পাওয়া যায় যাদের সঙ্গে অনেক বছর পর্যন্ত দেখা হয়নি। তাই গ্রামে ঈদ কাটানো টা খুব ভালো একটা অনুভূতির ব্যাপার। এই বছর ঈদের সময় আমরা আমাদের গ্রামের বাড়ির চাচা এবং ভাতিজা সহ প্রায় 40 জন মিলে একই রকমের পাঞ্জাবি সেলাই করেছি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের অনেক দিন সময় লেগেছে।
40 জনের মতামত গ্রহণ করা এবং সবাইকে একই রকম কালার পছন্দ করা ও সবার কাছ থেকে পাঞ্জাবির মাপ সংগ্রহ করাটা খুব জটিল একটা প্রক্রিয়া ছিল। পুরো রমজান মাসের প্রায় ১০ থেকে ১২ টা রোজা পর্যন্ত আমাদের দুই একটা ভাই যত্ন নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটা সম্পন্ন করেছে। তাদের মধ্যে এক গ্রুপের কাজ ছিল পাঞ্জাবির কাপড় সংগ্রহ করে নিয়ে আসা শহরের বাজার থেকে। পাঞ্জাবির কাপড় সংগ্রহ করে নিয়ে আসার পর তারা সবাই মিলে একটা নির্ধারিত দিন নির্ধারণ করল যায় দিন সবাই এসে তাদের পাঞ্জাবির মাপ দিয়ে যাবে। যদিও বা ৪০ জন সবাইকে একই সময়ে একত্রে করা সম্ভব নয় তাই করেছে তারা পরবর্তী সময়ে এসে তাদের শরীরের মাপের পাঞ্জাবি রেখে গিয়েছিল। সবমিলে আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম আমরা যে পরিকল্পনা কর তা করেছি এই পরিকল্পনাটা হয়তোবা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না কারণ এতগুলো মানুষকে একত্রিত করে একই রকমের কালার কম্বিনেশন চুজ করে একটা পাঞ্জাবি তৈরি করাটা অনেক জটিল একটা ব্যাপার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই জটিল কাজটা দায়িত্ব নিয়ে করার ফলে এটা খুবই সহজ ভাবে হয়ে গিয়েছে।
ঈদের দিন সকাল বেলা আমরা সবাই প্রস্তুতি নিয়ে একই রকমের পাঞ্জাবি পরে বেড়িয়ে পড়েছি ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। যেহেতু গ্রামের বাড়িতে ঈদগার জন্য আলাদা কোন ময়দান তৈরি করা হয় নাই তাই আমাদের বাড়ির পাশে যে জামে মসজিদটা রয়েছে ওই জামে মসজিদটাতে ঈদের নামাজের আয়োজন করা হয়েছে এবং আমরা সেখানেই ঈদের জামাত শেষ করলাম। ৪০ জন সবাইকে হয়তোবা আমরা একত্রিত করে একটা ফটো ফ্রেমে নিয়ে আসতে পারেনি তবে আমরা যারা কাছের এবং একে অপরের সঙ্গে ভালো ভাবে সব জায়গায় ঘোরাফেরা করি সবাই মিলে একটি প্রেমের মধ্যে বন্দী হওয়ার কথা ভুলে যায়নি। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি ঈদ কেটে গেছে এভাবেই কাছের মানুষ এবং আপনজনদেরকে নিয়ে একত্রিতভাবে যখন আমরা সময় কাটাবো তখনই আমাদের ভাতৃত্বের বন্ধন থাকবে। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সে আশা কামনা করছি ঈদ মোবারক
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hello dear, I wish to you to be in peace and living their best moments of life.
If you want to enjoy the festival to its fullest, then you should celebrate it with your family and relatives. When we are alone, then there are only one or two friends to celebrate the festival, so it is not fun. And if the relatives are from the village, then it is more enjoyable. I saw in your post that you have a lot of relatives😆.
Best of luck , may you achieve wealth , health , success and prosperity in your life Greetings from my side . Have a nice day .
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit