আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন।
দীর্ঘ তিন দিন পর নতুন করে আবার আজকে ব্লগ লিখতে বসলাম
এ তিন দিন খুবই ঝামেলার মধ্যে ছিলাম।
নতুন একটা কিছু যে চিন্তাভাবনা করে লিখব বা একটা কথা গুছিয়ে লিখব সে সময়টুকু হয়ে ওঠেনি ।
কারণ চাইলেই হঠাৎ করে একটা লেখা লিখা যায় না ।একটা লেখা লেখার পিছনে অনেক চিন্তাভাবনার প্রয়োজন।
কিছু কথা গুছিয়ে লিখতে গেলে যেমন সময়ের প্রয়োজন ঠিক তেমনি একটা ভালো মন-মানসিকতার প্রয়োজন।
আপনার মন মানসিকতা যদি ভালো না থাকে কিংবা আপনি যদি প্রয়োজনীয় সময় না পান তাহলে একটি সুন্দরও গোছানো লেখা লেখা সম্ভব নয় । মানসম্মত একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার মন মানসিকতা ভালো রাখতে হবে ।
সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময়ও থাকতে হবে।
তবে একটি গোছালো ব্লগ কিংবা লেখা সম্ভব। আপনার মন মানসিকতা ফ্রেশ না থাকলে আপনি কখনো একটি সুন্দর ওগোছালো লেখা লিখতে পারবেন না।
গত ৩-৪ দিন ধরে বাড়ির কাজের প্রচুর ব্যস্ত ছিলাম ।
কারণ আমরা আমাদের ঘর পরিবর্তন করেছি এবং মালামাল গুলো শিপমেন্ট করতে সময় লেগেছে অনেক।
বাসা পরিবর্তন করা যে কতটা কষ্টকর এবং ঝামেলার কাজ সেটা যারা বাসা পরিবর্তন করে তারাই বুঝতে পারবে।
এ ছাড়া কখনো সম্ভব নয় ।
আর আমরা তো বাসা পরিবর্তন করছি প্রায় ২৫ বছর পরে। কারণ আব্বু যেহেতু সরকারি চাকরিজীবী ছিল। আমরা সেই ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত একটানা কক্সবাজার এই অবস্থান করেছি। রিটায়ারমেন্টের পর আমরা আমাদের সেই স্থানীয়ভাবে যে এলাকায় বসবাস করতাম সে এলাকায় ছেড়ে পার্মানেন্টলি বর্তমানে চলে এসেছি আমাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে।
গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে গ্রামের বাড়িতে আমাদের যে পুরাতন বাড়িটা ছিল সেটা ভেঙ্গে আমরা নতুন করে বাড়ি বানানোর কাজে হাত দিয়েছিলাম। আমাদের পুরাতন মাটির তৈরি একটা খুব সুন্দর বাড়ি ছিল যেটা আমার বাবা তা চোরা মিলে তৈরি করেছিল ১৯৯১ সালের দিকে। কিসে বাড়িটা ভেঙ্গে আমরা এখন নতুন একটি বাড়ি নির্মাণ করেছি। আল্লাহর ইচ্ছায় প্রায় ৬-৭ মাস পরে আমরা একটি নতুন বাড়ি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি এবং অবশেষে আমরা কক্সবাজার থেকে সমস্ত মালামাল নিয়ে গত দুই তিন দিন আগে গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছি।
তাই পুরাতন একটা বাড়ি ছেড়ে দেওয়া এবং সেখান থেকে সব মাল গুছিয়ে এত দূরে নিয়ে আসাটা খুবই ঝামেলার একটা ব্যাপার ।
প্রথমে যত মালামাল ছিল সবগুলো বাড়ি থেকে বের করে সেগুলোকে ট্রাকে লোড করতে সময় লেগেছে অনেক।
প্রায় বিকেল চারটা থেকে ট্রাকে মালামাল লোড করা শুরু করেছিলাম এবং রাত সাড়ে দশটার মধ্যে ।
আমরা মালামাল সব গুছিয়ে ট্রাকের লোড করতে সক্ষম হয়ে আবার তারপর দিন সকাল আটটায় রওনা দিয়েছি ।
কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে উদ্দেশ্যে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা জার্নি অতিক্রম করে ট্রাক সহকারে যখন আমাদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়।
গ্রামের বাড়ির রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে বাসা থেকে অনেকটা দূরে আমাদের ট্রাকটা দাঁড় করাতে হয়।
যেহেতু ট্রাকটা বাড়ির সামনে পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারেনি তাই সবগুলো মালামাল মাঝপথে আনলোড করতে হলো এবং সেখান থেকে আবার ভ্যান গাড়িযোগে বাড়ি পর্যন্ত সব মালামাল নিয়ে আসতে হলো ।
কক্সবাজার থেকে আমরা যখন রওনা দিয়েছিলাম তখন থেকে প্রায় তিন-চার ঘন্টা পর্যন্ত প্রচন্ড রোদের মধ্যে খোলা ট্রাকে করে পছন্দ রোদের তাপ সহ্য করে আমরা প্রায় দুইটার দিকে এসে পৌঁছায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে ।
এদিকে শরীর প্রচুর ক্লান্ত হয়ে পড়েছে কিন্তু তবু মালামালগুলো আনলোড করে বাসা পর্যন্ত নিয়ে আসতে সময় লেগেছে প্রায় রাত আটটা ।
আমাদের প্রতিবেশী অনেকেই আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে ।গ্রামের বাড়িতে আসলে যথেষ্ট পরিমাণ প্রতিবেশীদের সহযোগিতা পেয়েছি। এই জিনিসটা খুবই ভালো লাগে যখনই কোন একটা প্রয়োজন পড়ে তখন আমাদের প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজন যারা আছে তারা আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায় ।আসলে গ্রামের বাড়িতে একে অপরকে সহযোগিতা করার মন মানসিকতাটা রয়েছে ।শহরে জীবনে সবাই ব্যস্ত সময় অতিক্রম করার কারণে এই জিনিসটা খুব একটা চোখে পড়ে না কিংবা মানুষ সহযোগিতা করার মত সুযোগ করতে পারে না। রাত আটটার মধ্যে মালামাল গুলো নিয়ে আসার পর প্রত্যেকটা মালামাল রুমের মধ্যে সেটিং করতে সময় লাগছে অনেক। কারণ কোন জিনিসটা কোন জায়গায় বসালে সুন্দর লাগবে সেটা জন্য ভাবতে হচ্ছে এবং বারবার এক স্থান থেকে অন্য আস্থা নিয়ে সরাতে হচ্ছে জিনিস ।এখনো পর্যন্ত অনেক জিনিস
অগোছালোভাবে রয়ে গিয়েছে।
কিন্তু যেহেতু দুই তিন দিন পর্যন্ত কোন লেখালেখি হয়নি তাই গত দুইদিন আমি কিভাবে আমার সময়টা অতিক্রম করেছি সেটা নিয়েই আজকে আপনাদের সামনে লিখতে বসলাম।
বাড়ির ঝামেলাটা পরিপূর্ণভাবে চুকিয়ে নিতে পারলে পুনরায় আপনাদের সামনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দেবো ইনশাল্লাহ।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমার জন্য দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে ব্লগটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ
কক্সবাজারের অনেক গল্প শুনি কখনও যাওয়া হয়নি। মাঝেমধ্যে ইচ্ছে জাগে কক্সবাজার যাওয়ার কিন্তু হয়ে ওঠে না। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুযোগ করে একদিন ঘুরে আসেন ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for sharing the post, improve the quality of your post and stay original and avoid plagiarism. Please up vote and comment each other increase engagement.
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit