আসসালামু আলাইকুম
আরো একটি নতুন বিষয় নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
ফেব্রুয়ারি মাসে অনেকগুলো দিবস উদযাপন করা হয়। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারির 6 তারিখ থেকে শুরু করে একদম ১৪ তারিখ পর্যন্ত একটানা বিভিন্ন রকমের দিবস পালন করে। এই দিবসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো বসন্ত উৎসব। বসন্ত এমন একটি ঋতু যে ঋতুতে প্রকৃতি খুবই সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। চমৎকার সব ফুল ফুটে এই ঋতুতে। এবং বসন্তে গাছে নতুন পাতা আসে।এছাড়াও চৌদ্দ ফেব্রুয়ারিতে আরো একটি বিশেষ দিবস উদযাপন করা হয় সেটা হল ভালোবাসা দিবস। সব মিলিয়ে কক্সবাজার রে বিভিন্ন রকমের উৎসব আয়োজন করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পর্যটক সহবাস স্থানীয় মানুষেরা সমুদ্রের আশেপাশে ভ্রমণ করার জন্য চলে আসে। আমরা বন্ধুরা মিলে পরিকল্পনা করলাম এই বারে ১৪ ফেব্রুয়ারি কিংবা বসন্ত উৎসব হিসাবে আমরা কোন জায়গাতে যেতে পারি সেটা নিয়ে। ১৪ ফেব্রুয়ারিতে সকালের দিকে চলে গেছিলাম দোকানে কারণ আমার তেমন কোন পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু যখন প্রায় বারোটা বাজে তখন আমার এক ফ্রেন্ড কল দিয়ে বলল তাদের বাসায় বিশেষ একটা আয়োজন করা হয়েছে। এবং এটা হঠাৎ পরিকল্পনা করার কারণে আমাকে হঠাৎ করে ডাক দিল। আমি যেহেতু দোকানে চলে এসেছিলাম তাই সাথে সাথে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই কিছুক্ষণ পর এই দোকানের কিছু কাজ গুছিয়ে নিয়ে রওনা দিলাম বন্ধুদের সাথে ভালো একটা মুহূর্ত কাটাবো বলে।
আমার যে কয়েকজন ভালো বন্ধু কিংবা বান্ধবী রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একজন রুমি। ওর পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষের সাথে আমার খুব ভালো একটা বোঝাপড়া রয়েছে। তাই ওদের পরিবারে যেতে আমার খুবই ভালো লাগে কারণ তারা কখনোই আমাকে তাদের পরিবার থেকে আলাদা মনে করে না। ওদের বাসাতে যাওয়ার সাথে সাথেই ওর চাকরি আমাকে বলল সরাসরি দুই তালায় চলে যাও। দোতালায় গিয়ে দেখি আমাদের আরো দুইজন ফ্রেন্ড আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত রয়েছে। আমাদের এক ফ্রেন্ড চট্টগ্রাম থেকে আসার কারণে এবং সবাই বন্ধের দিনে একটা ভালো সুযোগ পেয়ে গেলাম। আমাদের জন্য খুব ভালো আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা বন্ধুরা যখন একত্রিত হই তখন আমরা পরিকল্পনা করে বিভিন্ন রকমের আয়োজন করি। আপায় সময় পরিকল্পনা করি হাঁসের মাংস খাওয়ার জন্য। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আর নতুন করে করতে হয়নি আমরা যখন সেখানে গেলাম তখন আমাদের জন্য আগে থেকেই হাঁসের মাংস রান্না করা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের আয়োজন তো রয়েছেই। আমরা সবাই একত্রে বসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বেরিয়ে পড়লাম কক্সবাজারের বিখ্যাত জায়গা সার্কিট হাউস। পাহাড়ের উপরে অবস্থান খাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সার্কিট হাউজের উপর থেকে ভিউটা খুবই সুন্দর লাগে।
আমরা আমাদের সেই কলেজ লাইফ থেকে সব সময় আড্ডা দেওয়ার জন্য সার্কিট হাউজের স্থানটাই বেছে নিতাম। কারণ আমাদের সবার বাসার কাছাকাছি ভবন করার জন্য সবচাইতে গ্রহণযোগ্য এবং সুন্দর জায়গা ছিল এটি। অনেকদিন পর সব ফ্রেন্ডরা একত্রিত হয়ে খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। অবশেষে আমার যেহেতু ব্যস্ততা ছিল দোকানে তাই আমি ফ্রেন্ডদেরকে রেখে চারটার দিকে পুনরায় আমার গন্তব্য স্থানের দিকে চলে এলাম। স্বপ্নিলে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আসার পর ভালো একটা সময় কাটাতে পেরেছি।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য আরও একটি নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।