বাংলাদেশে অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর গ্রাম রয়েছে এবং প্রত্যেকটি গ্রামের নামই খুবই সুন্দর। ঠিক তেমনি আমার গ্রামের নামটা আমার খুবই পছন্দ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য আমার গ্রামে দেখতে পাওয়া যায়। গ্রামের চারপাশে প্রচুর পুকুর রয়েছে এবং সেই পুকুর গুলোতে স্থানীয় মানুষেরা মাছ চাষ করে। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো গ্রামেই দেখতে সুন্দর কারণ গ্রাম মানেই প্রশান্তির একটি স্থান ।মানুষ যতই শহরে জীবন অতিক্রম করুক না কেন। প্রশান্তি খোঁজার জন্য ঠিকই গ্রামে ফিরে আসে।
শহর ছেড়ে গ্রামে এসে প্রথম দিকে একটু অস্বস্তি কর মনে হলেও বর্তমানে গ্রামের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশের অন্যান্য গ্রামের মতো আমাদের গ্রামও কৃষি নির্ভর এখানের বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজের মাধ্যমে তাদের জীবন অতিবাহিত করে । আমি যেহেতু শহরের জীবনে বড় হয়েছি তাই কিছুই কাজ সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারনা নেই সুযোগ থাকলে আমি নিজেও কিছু কাজ শুরু করে দিতাম ।গ্রামের বাড়িতে এসে কর্মজীবন নিয়ে একটু সমস্যায় পড়লেও তবে ধীরে ধীরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার জন্য চেষ্টা করছি ।আমাদের গ্রামের পাশেই তিনটি বড় বড় ফ্যাক্টরি রয়েছে। চট্টগ্রামের বৃহত্তম সার ফ্যাক্টরি সিইউএফএল আমাদের গ্রামের পাশেই অবস্থিত ।এছাড়াও বর্তমানে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্ট কর্ণফুলী টানেল যা আমাদের গ্রামের পাশ দিয়েই তৈরি হচ্ছে । এই টানেলটি উদ্বোধন হলেই বাংলাদেশ সরকারের মেগা প্রজেক্ট ওয়ান সিটি টু টাউন চালু হয়ে যাবে। কানের সোলে যাতায়াত ব্যবস্থা যেমন অন্যভাবে ঠিক তেমনি গ্রামের পরিবেশ ও উন্নতি লাভ করবে।
|
(https://what3words.com/zaps.lushly.mankind) |
---|
বাংলাদেশের যতগুলো পর্যটন স্থান রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর্শনীয় স্থান রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে । চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার সমুদ্র সৈকত অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে একটি ।দুধকুমড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সমুদ্র সৈকত। সাধারণ মানুষের কাছে যেটি পারকি সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত। সমুদ্র সৈকতে আসলেই আপনারা দেখতে পাবেন প্রচুর ঝাও গাছের সারি । কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মত বড় বড় ঢেউ দেখতে না পেলেও এই সমুদ্র সৈকত কিন্তু দেখতে খুবই সুন্দর ।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো এখানেও আপনারা দেখতে পাবেন সমুদ্রের ঢেউয়ের খেলা এ দৃশ্য দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবেন। এই সমুদ্র সৈকত এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে পার্থক্য হল আপনি এখানে বিশাল বিশাল জাহাজ দেখতে পারবেন। তবে এই সমুদ্র সৈকতে এখনো পর্যন্ত রাত্রি যাপন করার কোন ব্যবস্থা তৈরি করা হয়নি ।খুব শিগগিরই এখানে এসে রাত্রি যাপন করা যাবে বেশ কিছু রিসোর্ট তৈরি করা হচ্ছে বর্তমানে। কিন্তু একদিনের ভ্রমণের পরিকল্পনা বা পিকনিকের জন্য চাইলে আপনারা এসে এই এলাকা ভ্রমণ করে যেতে পারবেন আপনার প্রয়োজনীয় সকলের সুবিধা এখানে রয়েছে ।। সপ্তাহে শুক্রবারে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো চট্টগ্রাম শহর থেকে বিভিন্ন ধরনের মানুষ এই সমুদ্র সৈকতে এসে ভিড় জমায়। কখনো যদি সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই একবার এই সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করে যাবেন আশা করি।
দুধকুমড়া গ্রামকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দুধকুমড়া বাজার বাজারের মাঝখানে রয়েছে বিশাল একটি বটগাছ ।একসময় এখানে সাপ্তাহে দুই দিন বিশাল হাট বসত । কিন্তু বর্তমানে মানুষ শহর মুখি হওয়ায় এখনো বাজার চলমান রয়েছে কিন্তু বিশাল হাট এখন আর বসে না। এই বাজারে গ্রামের মানুষের চাষ করা মাছ এবং টাটকা সবজি পাওয়া যায়। শহরের ভেজাল খাবার কে মানুষ দুর্বলতার দিকে যাচ্ছে সেই তুলনায় এখানে নির্ভেজ াল খাদ্য খেয়ে মানুষ অনেক শক্তিশালী বলে আমার মনে হচ্ছে। দুধকুমড়া বাজারে রয়েছে আমার বন্ধু ভাই নাঈম ভাইয়ের দোকান ।নাঈম ভাই আমার চেয়ে বয়সে ১ বছর বড় হলেও সে আমার বন্ধুর মত ।আমার যে কোন বিপদে আপদে আমি তাকে পাশে পাই ।যে কোন পারিবারিক অনুষ্ঠানে সে আমাকে নিয়ে অবশ্যই যাবে সে সব সময় সাপোর্টিং ছিল সেই ছোটবেলা থেকেই।আমার অবসর সময়ে আমি এখানে এসে সময় পার করি।
প্রায় 36 বছর শহর এলাকায় চাকরি জীবনে অতিক্রম করে আমার বাবা ফিরে এসেছে গ্রামের বাড়িতে তার পৈত্রিক জায়গায় বাড়ি বানানোর উদ্দেশ্যে। কষ্টে অর্জিত অর্থের মাধ্যমে আল্লাহর রহমতে গ্রামের দাদুর বাড়িতে আমরা একটি বাড়ি নির্মাণ করতে পেরেছি। গ্রামের বাড়িতে আমরা আশায় আমাদের আশেপাশের যারা আত্মীয়-স্বজন রয়েছে তারা খুবই খুশি এবং আমরা তাদের প্রচুর সাপোর্ট পাচ্ছি। মানুষ যতই শহরে জীবন অতিক্রম করুক না কেন। শেষ পর্যন্ত মানুষকে গ্রামের বাড়িতেই ফিরে আসতে হয় পত্রিক অবস্থা নিয়ে মানুষের একমাত্র ভরসারস্থল।
জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে এসেছি শহরে। যখন শহরে থাকতাম তখন গ্রামে আসতে মন চাইতো ।কিন্তু হঠাৎ করে গ্রামে আসার পর এখানের পরিবেশের সাথে এখনো পর্যন্ত ঠিকমতো খাপ খেয়ে নিতে পারেনি ।গ্রামের বাড়িতে তেমন ব্যস্ত সময় পার করি না কারণ আমি এখনো কর্মজীবনের পদার্পণ করতে পারেনি বেকার বললেই চলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দাদুর বাড়ির পুকুরে এবং চাচাতো ভাই-বোনদের সাথে সময় কাটিয়ে সকলের সময়টা পার করি। এবং বিকালে সময়ে দুধকুমড়া বাজারে এসে বন্ধুর দোকানে আড্ডা দেই ।এভাবেই মোটামুটি দৈনন্দিন জীবন পার হচ্ছে ।সন্ধ্যার সময় গ্রামের যারা অন্য বন্ধু-বান্ধব আছে যারা বর্তমানে কর্মজীবনের সাথে জড়িত তারা সবাই একসাথে মিলে মিশে বাড়ির বসে একে অপরের খোজ খবর নিয়ে সময় কাটিয়ে দি ।এভাবেই বর্তমানে সময় অতিক্রম হচ্ছে ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই কর্ম জীবনে পদার্পণ করবো আপনাদের সকলের দোয়া কামনা করছি।
ধন্যবাদ
Nice post keep it up buddy.
Hope you got the 100 STEEM & 1000 TAKI Airdrop, if not get it quickly before the campaign ends.
go to this official taki announcement how to get the airdrop CLICK HERE
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামের অপূর্ব সুন্দর্য দিয়ে পোস্টি সাজিয়েছেন। আপনার প্রতিটি ফোটগ্রাফি দুর্দান্ত ছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for sharing posts, improve the quality of your posts and stay original.
Determination of Club Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর লিখেছেন এবং ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার পোস্ট এ টেক্সট জাস্টিফাই ইউজ করা জরুরি মনে হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit