তিস্তা ব্যারাজ ভ্রমণ, লালমনিরহাট, ( স্টিমিটে আমার দ্বিতীয় পোষ্ট)

in hive-170554 •  13 hours ago 

আসসালামু আলাইকুম ।

IMG20241216141125.jpg

হাই বন্ধুরা তোমরা সবাই কেমন আছো...?আশা করি ভালো আছো। শীতের কুয়াশা আসন্ন দিনে,মাঠে-ঘাটে ফোটা ফোটা শিশিরবিন্দু উপভোগ ক্ষণে, ক্ষণে, প্রতিনিয়ত উত্তরের মানুষের প্রতিটা দিন এভাবেই কেটে যায় আপন মনে। শীতকালে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ে উত্তর অঞ্চলের জেলাগুলোতে। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর এই জেলাগুলোতে তুলনামূলক শীতের প্রকট একটু বেশি থাকে।শীতকালে এই জেলাগুলোতে ঠান্ডার তীব্রতার কারণে কাজ করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে উত্তরের মানুষ এই ঠান্ডা কে মানিয়ে নিয়ে সকল কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে করে যাচ্ছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে যে বাংলাদেশের উত্তরের এসব জেলাগুলোতে এই শিশির ভেজা শীতকালে অন্যান্য জেলার চেয়ে ভ্রমণ করতে সবচেয়ে বেশি মজা পাওয়া যায়। এসব জেলাতে শীতকালে প্রকৃতির পূর্ণাঙ্গ সৌন্দর্য যেন ফুটে ওঠে।তাইতো শীতকালের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমণ প্রিয় লোকেরা উত্তর অঞ্চলে ভ্রমনে আসে।

শীতকালে আমাদের এই অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করতে খুব ভালোই লাগে। ঘোরাঘুরির এই সময়ে যদি আরো ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু পাওয়া যায় তাহলে ঘোরাঘুরির পূর্ণাঙ্গ ভালো লাগা কাজ করে।
দীর্ঘ দেড় বছর পর পড়াশোনার ক্লান্তি দূর করার জন্য বাড়িতে আছি। পড়াশুনা করতে করতে খুব বোরিং ফিল হচ্ছিল, তাই চিন্তা করলাম এই ক্লান্তি দূর করার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে একটু ভ্রমণ করে আসি, কিন্তু একা একাই ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেছিল না বারবার মনে হচ্ছিল কোন একজন ঘনিষ্ঠ ফ্রেন্ড থাকলে ঘোরাফেরা টা খুব ভালো হতো ক্লান্তীয় দূর হত।
যেই ভাবনা সেই কাজ, হুট করে মনে পড়ল আমার বন্ধু রাসেলের কথা,রাসেলের বাসা কুষ্টিয়া শহরে, আমরা একসাথে ঢাকায় পড়াশোনা করি,আমি ১০ তারিখের দিকে রাসেলকে ফোন দিয়ে আমাদের বাসায় আসতে বলি, সে আসতে রাজি হয় না, তারপরও অনেক অনুরোধের পর আসতে রাজি হল, অবশেষে ১৫ তারিখ সকাল বেলা আমাদের বাসায় এসে পৌছালো।
সে দিনটা কিছু সময় শেষ একটু রেস্ট নিল, তারপর খাওয়া দাওয়া এলাকায় ঘোরাফেরা করে ঐদিন পার করলাম। ১৫ তারিখ রাত্রে চিন্তা করলাম যে ১৬ তারিখে আমরা ঘুরতে যাব কোন জায়গায় যাব সেটা দুজনে ঠিক করলাম।

১৬ তারিখ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে প্রথমে সকালের নাস্তা করলাম,আমাদের উত্তর অঞ্চলের খাওয়া দাওয়া দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। খাদ্যভাস ব্যতিক্রম থাকলেও আশা করা যায় উত্তরের এই খাদ্যভাস সবার পছন্দ হয়।

যাইহোক নাস্তা শেষে দুজনে ফ্রেশ হলাম, তারপর আবারো খাওয়া-দাওয়া করলাম, খাওয়া শেষে মোটরসাইকেল করে দুইজনে সকাল দশটার দিকে সেইকাঙ্ক্ষিত বাড়ি থেকে বের হইলাম।

বাড়ি থেকে বের হয়ে এলাকার আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুসহ মোট তিনজন মোটরসাইকেলে করে ভ্রমণে রওনা দিলাম।
IMG20241216142803.jpg

IMG20241216142737.jpg

IMG20241216142723.jpg

IMG20241216142256.jpg

IMG20241216141858.jpg

আমরা গতরাতে দুজনে সবকিছু ঠিক করে রেখেছিলাম যে কোথায় যাব । সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সর্বপ্রথম উত্তরের সেই বিখ্যাত তিস্তা ব্যারেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। নীলফামারী থেকে তিস্তা ব্যারেজের দূরত্ব ৪৪ কিলোমিটার। প্রায় এক ঘন্টা জার্নি শেষে আমরা কাঙ্খিত সেই তিস্তা ব্যারেজে এসে পৌঁছাইলাম। বেশ কিছুটা সময় ঘুরাঘুরি করে আমরা আবার আমাদের বাড়ীর দিকে চলে আসলাম।

এভাবেই ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালোই সময়টা কেটেছিল। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order: