প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি সকলে ভালো আছেন।
আজ যেহেতু শনিবার(যদিও এখন রবিবার হয়ে গেছে),কাল অফিস ছুটি,সেই কারনে শুভর আবদার রাতে চিকেন কষা আর রুটি খাবে। অতএব,আর কিছু করার নেই, তিনি যখন বলেছেন সেটাই শেষ কথা, যদিও বাড়ি এসে রান্না করতে বারণ করেছিল, আমার শরীরটা খারাপ দেখে, কিন্তু আমারই ভালো লাগছিল না, অফিস থেকে বেরোনোর সময় ফোন করে বলেছিল, আশা করে এসেছে তাই কষ্ট হলেও রান্না করলাম।
শুভ চিকেন থেকেও মাটনটাই বেশী ভালো খায়, কিন্তু আমি মাটন একদমই খাই না। তাই বেশিরভাগ দিন চিকেনই হয় বাড়িতে। মাঝে মাঝে ও মাটন বিরিয়ানী কিনে এনে খায়। আর মাসে একবার শুধু ওর জন্য মাটন রান্না করি।
যাইহোক, আমি খুব সিম্পল ভাবে চিকেন কষা করি যেভাবে আমরা ভালো খাই, অনেকে অনেক রকম ভাবেই করে। আমি প্রথমে চিকেন গুলো ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি। তারপর জিরে,ধনে,আদা,রসুন, কাঁচালঙ্কা একসাথে বেঁটে নিয়েছি। বেঁটে নেওয়া মশলা আর লবন,হলুদ, অল্প সর্ষের তেল দিয়ে চিকেন গুলো ম্যারিনেট করে রেখেছি বেশ কিছুক্ষন।
২টো মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ আর একটা ছোট টমেটো কুচিয়ে নিয়েছি, ২টো আলু টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
এরপর কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে আলু গুলোকে অল্প লবণ আর হলুদ দিয়ে ভেজে নিয়েছি। সেই তেলেই ১টা তেজপাতা, অল্প জিরে ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ আর টমেটো গুলোও দিয়ে ভালো করে ভেজে নিয়েছি। পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে, তাতে ম্যারিনেট করা চিকেন দিয়ে ভালো করে কষে নিয়েছি।বেশ কিছুক্ষন কষে নিয়ে পরিমাণ মতো উষ্ণ গরম জল দিয়ে দিয়েছি, ঝোলটা কমে এলে গরম মশলা গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। ব্যাস তৈরী হয়ে গেছে আমার চিকেন কষা।
গরম গরম রুটির সাথে শুভকে পরিবেশন করেছি, ও আবার একটু কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করে রুটি আর মাংসের সাথে।
বেশ ভালোই লেগেছে বললো, আমারও খারাপ লাগেনি যদিও নিজের রান্নার প্রশংসা নিজেই করলাম।
যাইহোক আপনারা সবাই ভালো ভালো রান্না করুন,প্রিয়জনদের খাওয়ান, নিজেরাও খান। সুস্থ থাকুন আনন্দে থাকুন এই কামনা করি।
শুভরাত্রি।
My husband also loves chicken very much sister.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit