প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই সুস্থ আছেন,সাবধানে আছেন।
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের
পিকলুর ঘুরতে যাওয়ার গল্প।
অনেকদিন কোথাও বেরোনো হয় না আমাদের।যদিও আমি একা একটু বোনের বাড়ি গিয়েছিলাম।আসলে বর্তমান পরিস্থিতি আমাদেরকে ঘরে থাকতে বাধ্য করছে। তবুও প্রয়োজনে বেরোতেই হচ্ছে,সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন করে।
আমাকে আর শুভকে ও একটু বেরোতে হয়েছিল।তাই আমাদের সাথে আমরা পিকলু কেও নিয়ে গিয়েছিলাম।অনেক দিন হয়ে গেল পিকলু কোথাও যায়না। যদিও বাইক এ ওকে নিয়ে বসাটা ভীষণ কঠিন কাজ। তবুও বাইক/ গাড়ি ছাড়া ওকে নিয়ে যাওয়াটা সম্ভব নয়।কারণ ট্রেন/বাস কিছুতেই ওদের নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই।
বলতে পারেন ভীষণ কষ্ট করে ওকে নিয়ে যাওয়া হলো। বাইক ছাড়ার পর থেকেই সে এতো নড়াচড়া করে যে আমার বেশ ভয়ই লাগে।যাইহোক তবুও শেষমেশ গিয়ে মামাবাড়ি পৌছালাম।
যেতে আসতে আমার কষ্ট হয়েছিল ঠিকই তবে গিয়ে পিকলু ভীষণ মজা করেছে।অনেকটা জায়গা নিয়ে বাড়ি যেখানে মামীরা ভাড়া থাকে, সারা বাড়ি খুব দৌড়েছে,খেলেছে। মাঝে বাইরে থেকে একটা অন্য কুকুর বাড়িতে ঢুকেছিল, তাকে দেখেই পিকলু বাইরে বেরোতে গিয়েছিল, সাথে সাথে আমি ধরে নিয়েছিলাম নাহলে হয়তো একটা বিপদ হয়ে যেতে পারত।
ওই বাড়ীতে আর ও দুটো ফ্যামিলি ভাড়া থাকে। সেখানে একজনের একটা বাচ্চা ছেলে আছে, ওর নাম piyush. আর মামীদের যিনি মালিক তার নাতনি ওর নাম pakhi. সারাদিন দুজন মিলে পিকলুর পিছন পিছন ঘুরে বেরিয়েছে।খুব মজা করেছে তিন জন।
তবে গরমে অনেক কষ্ট পেয়েছে। আসলে আজ ভীষণ রোদ্দুর ছিলো, তার উপর কারেন্ট ছিলো না কিছুক্ষন। তখন একটু ঠাণ্ডা পাওয়ার জন্য পিকলু মামীদের খাটের নিচে শুয়েছিল অনেকক্ষণ। বোধহয় একটু আরাম পাচ্ছিল ওখানে।
বাচ্চা দুটো প্রথমে একটু ভয় পাচ্ছিল, তবে যেই বুঝে গেল পিকলু কামড়াবে না, সেই ওকে আদর করা,ওর লেজ ধরা এইসব শুরু করলো। সারা দুপুর এই করলো। শেষপর্যন্ত পিকলু ও ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। শুভর পাশে শুয়ে পড়লো, মাথায় একটু হাত বোলাতেই টানা ঘুম।
সারাদিন অনেক মজা করেই কাটলো। ফেরার পথে ভেবেছিলাম বাইক এ ওকে নিয়ে একটা ছবি তুলবো।বিশ্বাস করুন চেষ্টা ও করেছিলাম। তবে তা বৃথা হলো।তাই সারাদিনের কিছু ছবি শেয়ার করলাম দেখে ভালো লাগবে আশাকরি।
যাইহোক,সময় যদিও খুব কঠিন তবুও চেষ্টা করবেন মনকে যতটা ভালো রাখা যায়।সাবধানে থাকবেন।সকলের সুস্থতা কামনা করি 🙏।
tomar piklu kuboi misty ai rkm akta posa pet dhakle amnitei mon valo hoye jabe .
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Ami bissas kori tomar piklu tomar songe thakle tomar mon amnitei valo thakbe.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit