বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।
বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়ে আজ এই শীর্ষকটি নির্বাচন করেছি।
বেশির ভাগ সময় মানুষের সাথে মিশে আমরা তাদের আচরণ অনুধাবন করতে পারি না, যতক্ষণ কঠিন সময় বা পরিস্থিতি না আসে।
হিন্দি তে একটা প্রবাদ আছে, যার বাংলা অর্থ হলো:- জাহাজ যখন ডুবতে বসে, ইঁদুর সবার আগে জাহাজ ছেড়ে পালায়।😂
এটা একটি বাস্তব উদাহরণ যেটা ইঁদুর কে দিয়ে দিলেও প্রযোজ্য মানুষের ক্ষেত্রেই।
বেশ কিছুদিন আগে আমার প্রতিবেশীর থেকে একটা গল্প শুনেছিলাম, সেটাই আজ আপনাদের শোনাতে এখানে আসা।
গল্পটা কিন্তু কাল্পনিক নয় একটি সত্য ঘটনা।
আশাকরি, ঘটনাটি শোনার পর আমার শীর্ষক এর যথার্থতা বুঝতে পারবেন।
বাংলাদেশ এর অত্যন্ত গরীব ঘরের এক মেয়ের ভালোবাসা হয় ভারতের এক ধনী পরিবারের ছেলের সাথে।
পরিবারের অনেকেই এই বিবাহের বিরুদ্ধে ছিলেন; অনেক কারণ ছিল তার পিছনে।
কেউ ভয় দেখালো, অন্য দেশ কাজেই ছেলেটি তাকে ব্যাবহার করে ছেড়ে দিতে পারে, কেউ ভয় দেখালো ছেলেটির স্বভাব, চরিত্র ঠিক কিনা এত দুর থেকে জানা সম্ভব নয়!
এমন নানা বাধা বিপত্তি আসা সত্বেও তারা বিবাহিত জীবনে আবদ্ধ হলো।
মজার ব্যাপার হলো, মেয়েটির এক্ আত্মীয় ভারতে বেড়াতে আসছে শুনে, মেয়েটি তাকে আমন্ত্রণ জানায় নিজের নতুন সংসার দেখতে।
এই খানে বলে রাখি, এমন অনেক কাজ আছে যাদের সম্পর্কে এখনও অনেকেই ওয়াকিবহল নয়, সেটা যারা জানে না তাদের অজ্ঞানতা।
যাইহোক, মেয়েটির স্বামী এমন একটি কাজের সাথে যুক্ত যেটা অত্যাধুিক যুগের মানুষ কিছুটা বুঝতে পারলেও, একটু পিছিয়ে থাকা মানুষ এর বোঝা সম্ভব নয়, আর অজ্ঞদের কথাতো বাদই দিলাম।
সেই আত্মীয় কোনো ভাবে শুনেছিল মেয়েটির স্বামী সারাক্ষণ ঘরেই বসে থাকে, কাজেই সে ধরেই নিয়েছিল স্বামী বেকার।
তাই আত্মীয়র প্রথম প্রশ্ন মেয়েটিকে, তার অবস্থা কেমন এখন! খেতে পায় কিনা?
মেয়েটি নিজের স্বজন এর মন পরীক্ষা করতে জানায়, কোনো রকম এ দিন চলে যায়।
কথাটি শোনার পর আত্মীয় যথারীতি অজুহাত খোঁজেন কি করে নিমন্ত্রণ এড়ানো যায়;
এবং তিনি সফলতার সাথে এড়িয়ে যেতে সমর্থ হন।
এরপর সেই আত্মীয়, মহা আনন্দের সাথে দীঘা ঘুরে নিজের গন্তব্যে ফিরে যান।
এদিকে সে তার আত্মীয়া কে জানিয়েছিলেন, তার ভারতে যাওয়া হচ্ছে না।
কিন্তু ওই যে বলে সত্যি কোনোদিন লুকিয়ে থাকে না, একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়।
মহাশয় দীঘা ঘোরার অভিজ্ঞতা ফেসবুক এ ফলাও করে ছবি সহ প্রকাশ করেন, এবং সেটা সেই আত্মীয়া দেখে নেন।
তারপর ও দুবার ভারতে ঘুরে এসে ও সেই ব্যক্তি , আত্মীয়ার বাড়িতে আসার প্রয়োজন বোধ করেন নি।
সারাদিন ঘরে বসে রোজগার করা যায় এই জ্ঞান যার বা যাদের নেই, তিনি বা তারা তো তাদের সীমিত বুদ্ধি দিয়ে একটি মানুষ কে বিচার করেছেন।
এদিকে যিনি কোনো রকমে চলে যায় বলে দাবি করেছিলেন, তিনি আসলে এখন কোটিপতির স্ত্রী।
তাহলে কি দাঁড়ালো, মানুষ চিনতে হলে পরীক্ষা করে নিন, নিজের বুদ্ধি দিয়ে।
মেয়েটি নিজের বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছিল বলেই সেই আত্মীয়র আসল চেহারাটা ধরতে পেরেছিলেন।
যারা কেবলমাত্র , অর্থ, স্বার্থ, নিয়ে সম্পর্ক তৈরি করে, তাদের থেকে শতহস্থ দূরে থাকাই শ্রেয়।
নিজের স্বার্থ ফুরোলেই বা নিজের স্বার্থ চরিতার্থ না হলেই এরা কেটে পড়বে।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এইসব মানুষের উন্নতি চিরদিন একটা সীমায় আবদ্ধ থাকে, কখনোই খুব বেশি উপরে এরা উঠতে পারে না, নিজেদের এই স্বভাবের জন্য।
কথায় বলে লেগে থাকলেই, মেগে খাওয়া যায়।
এই ধরনের মানুষেরা কোনোদিন কারোর আপন হয় না, কারণ এরা বিশ্বাস অর্জন করতে অসমর্থ।
ভালো থাকবেন সবাই, কখনো নিঃস্বার্থ হয়ে কারোর জন্য কিছু করে দেখবেন, কিছু না হোক শান্তি পাবেন।
নমস্কার।
@sonu98 গল্পটা শেয়ার করে ভালো করলেন,প্রয়োজনে এমন বুদ্ধি আমারও কাজে লাগতে পারে।কারণ মানুষ চেনায় আমি বড্ড কাঁচা। আর সত্যিই অনেকে জানে না ঘরে বসেও কাজ হয়, তবে এই lockdown এর কারণে অনেকে work from home কথাটার সাথে পরিচিত হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
করোনার আগের ঘটনা এটা, তাছাড়া করোনা তেও ঘরে বসে কাজ তারাই করে যারা বেশির ভাগ IT sector এ কাজ করেন,এখনও অনেকের কাছেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম অজানা। তারপর যদি কেউ ৩৬৫দিন ঘরে কাটায়।@sampabiswas
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@sonu98 আপনি যেটা বলেছেন ঠিকই বলেছেন। আমি শুধু বলতে চাইছি করোনার সময়েই বেশী মানুষ জানে work from home বলেও কিছু হয়। তবে এখনও অনেকেই জানেনা এটাও ঠিক। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখন সবসময় চোখ, কান খোলা রেখে কাজ করা উচিত, ভয় চেনা শত্রুকে নিয়ে নয়, সচেতন থাকতে হয় বন্ধু নামের শত্রুদের জন্য @sampabiswas
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Universal truth bole mone apnar kotha guli amar kache. Many thanks .
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Aapna keo dhonnobad aamar lekha samay niye porbar jonno.@simaroy
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কঠিন সময় মানুষ চিনতে সাহায্য করে, সবচাইতে বড় কথা তেলা মাথায় সবাই তেল দিতেই অভ্যস্থ @sonu98
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Sathik katha bolechen @pulook
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit