মন চাইলেও উপায় ছিল না।

মন চাইলেও উপায় ছিল না।

জীবনে কিছু পেতে গেলে কিছু ত্যাগ শিকার করতে হয়।এটায় নাকি বাস্তব৷ তবে হয়ত এতো দিনে অনেকটায় সেটা বুঝতে শিখেছি। আরও হয়ত সামনে বেশি বেশি বুঝতে পারব। বর্তমানে আমি ডুয়েটে এডমিশন দেওয়ার জন্য গাজিপুরে কোচিং করতেছি। স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার জন্য কত শতই না ত্যাগ কষ্ট করতেছি৷ জানি না আল্লাহ তায়ালা আমার স্বপ্নটাকে বাস্তবে রূপায়িত করবেন কিনা। এডমুশনে আসার পর বাড়ী আশে পাশে কত পরিচিত মানুষ মারা গেল কিন্তু আমি দেখতে যেতে পারলাম না। এই তো গত ৩ দিন আগে আমার বোনের শাশুড়ী মারা গেল, তবুও যেতে পারলাম না শুধু কোচিং এ ক্লাস ছিল বলে।

আমার ডিপ্লোমা শেষ হয়েছে। কলেজে থেকে প্রতিবারের মতো এবারও প্রবীন বিদায় বা যাদের ডিপ্লোমা শেষ হয়েছে তাদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটা ডিপার্টমেন্ট আলাদা আলাদা দিনে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছি। সেই অনুযায়ী আজকের দিনটা ছিল আমাদের ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান। কিন্তু আমরা যারা গাজিপুরে এডমিশনে আছি, তারা শুধু এখানে অংশ গ্রহণ করতে পারলাম। আমার তো খুব ইচ্ছা করতেছিল, কিন্তু যেতে পারলাম না। হয়ত এটাই থাকত পলিটেকনিক জীবনে আমার শেষ স্মৃতি৷ কিন্তু কিছু করার নাই, একটা স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে গিয়ে এরকম ছোট খাটো ইচ্ছাগুলো ত্যাগ করলে সমস্যা হবে না।

আল্লাহ তায়ালা স্বপ্নটা পূরণ করে দিলে তখন, কষ্টটা ভুলে যাবনে। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা আামকে হতাশ করবেন না। কারণ, তিনি জানেন আমার জীবনে কোনটা দরকার। অবশ্যই সেটা যেকোনো উপায়ে তিনি আমাকে দান করবেন। তবে অনুষ্ঠানে যেতে পারি নাউ, আমার ক্রেসটা আমার এক ছোট ভাই তারকাছে নিয়ে রেখে দিয়েছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

ধন্যবাদ।