বিরক্তিকর অবস্থা।

বিরক্তিকর অবস্থা।

ছবির উৎস

মাঝে মাঝে মনে হয়, বিপদগুলো আমাকে ডেকে নেয়, না আমি বিপদগুলোকে ডেকে আনি৷ কোনো কিছু বোঝার আগেই যেন আমি ঝামেলায় পরি। আমার সাথে কিছু ঘটনা প্রতিনিয়তই যেন ঘটে যায়। মানে আমি যেদিন কোনো কাজে ব্যস্ত বা তারাহুরর মধ্যে থাকি, সেদিন যেন আমার কাজ বা বিপদ চলে আসে। এই আজকের কথাই বলি,৷ সারা দিন একটু ইমানি কাজে ব্যস্ততম সময় পার করে রুমে এসে খুবই ক্লান্ত ছিলাম। এজন্য আসরের নামাজ পড়ে এসেই একটু ঘুমিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে আসরের সালাত আদায় করে মাত্র পরতে বসছি। হঠাৎ দেখি আমাদের আবাসিকের পরিচালক ভাই এসে হাজির৷

ভাইকে দেখেই মনে পরল, আমি রুম ভাড়া এখনও পরিশোধ করি নাই, গতকালকে টাকার কথা বলে গিয়েছিল। আজকে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আজকে ব্যস্ত থাকায় বুথ থেকে টাকা তোলা হয় নাই৷ যাই হোক ভাইয়া, একটা কথা বলল, যেটা শুনে আরকি খারাপ লাগল।।এজন্য এশার নামাজ পরে ভাবলাম টাকাটা বুথ থেকে তুলে এনে ভাড়াটা দিয়ে দেয়। নামাজটা শেষ করে টাকার তোলার উদ্দেশ্যে ডুয়েটের পাশে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের বুথে গেলাম। গিয়ে বুথের অবস্থা দেখে তো আমি অবাক। লোকে যেন পা দেওয়ার জায়গা নাই৷ একজনকে জিগাতেই জানতে পারলাম, আজকে গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন দিয়েছে। সবাই বেতন তুলতে ব্যস্ত।

কি করা যায়৷ এভাবে লাইন দিয়ে টাকা তুলতে হলে অনেক সময় লাগবে৷ যদিও অনেকগুলো এটিএম মেশিন ছিল৷ একটা লাইনের শেষে গিয়ে দাড়ালাম। যখনই আমার সিরিয়াল আসবে, তার আগেই দেখি মেশিনের টাকা শেষ। কি একটা অবস্থা আমার সময় এসেই এমন হতে হলো।এতো সময় ধরে লাইনে দাড়িয়ে থেকে পরে দেখি মেশিনের টাকা শেষ। যেহেতু টাকা লাগবেই এজন্য অন্য মেশিনের লাইনে গিয়ে দাড়ালাম। এবারও একই বিষয় আমি যেতেই মেশিনের সমস্যা দেখা দিল। বুঝলাম না আমার সমস্যা না মেশিনের। পরে কর্মরত অফিসার এসে আমাকে বলল কার্ড আবার ডুকিয়ে দেখেন। পরে যখন দিলাম আর কি টাকা তুলতে পারলাম।

মাত্র এক হাজার টাকা তোলার জন্য আমাকে প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে বুথের লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে। আমি বুঝতে পারি না যেদিন একটু নিজে অসুস্থ বা কাজে ব্যস্ত থাকি। সেদিন জরুরি ভাবে কোনো কিছু করতে গেলে আরও দেরি বেশি হয়। আমার কাছে এটা যেন সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর বিষয়। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

ধন্যবাদ।