রুম্মেটের যখন রাত ১২ টায় খিদে পায়!...

রুম্মেটের যখন রাত ১২ টায় খিদে পায়!...

মাঝে মাঝে দেখা যায়, আমাদের খাবার খাওয়ার পরিমাণ বা খিদে লাগার পরিমাণটা বেড়ে যায়৷ স্বাভাবিকভাবে বলে থাকি, মানুষের নাকি ১৫ দিন খুদা কম লাগে আর ১৫ দিন বেশি লাগে। এটা কতটা বিজ্ঞান সম্মত তা আমি জানি না৷ তবে এটা অনেকটায় মিলে যায়৷ এমনও সময় হয়, কোচিং থেকে এসেই খাবার খেয়েছি, তবুও যেন রাত ১০/১১ টার দিকে আবারও খুদা লেগে যায়৷ তখন কিছু না কিছু যেন খাওয়ায় লাগে। আমি মূলত আমার রুমে সব সময়ই কিছু না কিছু খাবার থাকে সেটা খেয়ে থাকি। তবে এমনিতেও আমি পড়তে পড়তে বিভিন্ন কিছু খায়৷ এটা আমার একটা বদ অভ্যাস বা অভ্যাস বলতে পারেন। তবে সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।

গত পরশু দিনের কথা বলি। আমার রুমমেট ২/৩ দিন ধরে বলতেছিল আটা কিনে এমন তেল দিয়ে চাপড়া বানিয়ে খাওয়ার জন্য। আমিই নিজেই অলসতায় বানাতাম না। হঠাৎ গত পরশু দিন রাতে আবারও যখন বললো তখন বললাম যাও আটা কিনে আনো, আজকেই বানাবো। এরপর আধা কেজি আটা কিনে আনা হলো। এরপর রাত ১১:৩০ টার পর আমরা রান্না ঘরে গেলাম। সেখানে গিয়ে পেয়াজ এবং কয়েকটা কাচামরিচ কেটে লবণ দিয়ে আটাটাকে গুলিয়ে নিলাম। এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে পাতলা করে কিছু সংখ্যক চাপড়া বানিয়ে নিলাম। আমার রুমমেট তো রান্না ঘড়ে বসেই খাওয়া শুরু করে দিল। যাই হোক বেশ কিছুটা সময় লেগেছি, আমাদের চাপড়াগুলো বানাতে।

বানানো শেষ করে আমরা রুমে চলে আসলাম৷ এরপর দুই রুমমেট গরম গরন চাপড়া খেলাম। আসলে যখন রাতে খুদা লেগে যায় তখন কিছু যেন পেটে না দিলে আর সহ্য হয় না। তবে এভাবে মাঝে মাঝে চাপড়া বানিয়ে আমি ডিপ্লোমাতে থাকার সময়ও খেতাম। আমার কাছে এটা অনেক ভালো এবং সুস্বাদু লাগে। আপনারাও যারা খেয়েছেন, তারা এর স্বাদ সম্পর্কে জানেন৷ যাই হোক রুমমেটের বদৌলতে আমারও অনেক দিন চাপড়া খাওয়া হয়ে গেল৷

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

ধন্যবাদ।