ক্যালকুলেটর নিয়ে বিভ্রান্ত।

ক্যালকুলেটর নিয়ে বিভ্রান্ত।

বাংলাদের প্রায় প্রতিটা দ্রব্য, পণ্য নিয়েই সব সময় চলে সিন্ডিকেট। একটা দম করতে না করতেই অসাধু ব্যবসায়ীরা আর একটা পন্থা বের করে নেয়৷ যা সাধারণ মানুষের ধরাছোয়ার বাইরে। সবচেয়ে বড় বিপাকে পরে সাধারণ, মানুষগুলো। আসল নকল না চিনে পণ্য কেনায় পরতে হয় নানা ঝামেলায়। হারাতে হয় হাজারও অর্থ। দেশ থেকে যেনো এই ধরনের সিন্ডিকেট মুছে ফেলা দায় হয়ে গিয়েছে। কোনো মতেই সকল জিনিসের সিন্ডিকেটকে থামানো যাচ্ছে। শিক্ষা সামগ্রী থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিসে এখন খারাপ অবস্থা।

এই ধরুন কেসিও সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটরের কথায় বলা যাক। সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর নিয়ে কোনো সমস্যা নাই৷ যেগুলোর দাম কিনা ২০০/৩০০ টাকার মধ্যে। যত সমস্যা হলো ES/CW/ EX ক্যালকুলেটরগুলো নিয়ে৷ সাধারণ ভাবে দেখে বোঝার উপায় নাই, কোনটা আসল আর কোনটা নকল। এজন্য সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থী। যারা এডমিশন পরিক্ষা দেওয়ার জন্য একটু ভালো মানের ক্যালকুলেটর কিনতে যায়, তারা বেশির ভাগই এই প্রতারণায় শিকার হয়।

এই যে আমরা যারা ডুয়েটে এডমিশন পরিক্ষা দিতে এসেছি, তারা বেশির ভাগই এই সমস্যায় আছি। EX ক্যালকুলেটর নিয়ে চলছে, যত ধরনের সিন্ডিকেট। বর্তমানে এটা নাকি বাংলাদেশে বেশি পাওয়ায় যায় না। যাও পাওয়া যাচ্ছে, দাম আকাশ ছোয়া। ৫/৬ হাজার৷ যার দাম কিনা কিছু দিন আগেও ১৮০০/২০০০ টাকা ছিল। এই ক্যালকুলেটরের আবার দ্বিতীয় ভার্সণ এসেছে, সেটা মোটেও ভালো না। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী, নকল EX/ES ক্যালকুলেটর আসল বলে ৪/৫ হাজার টাকা করে বিক্রি করতেছে। যেগুলো কিছু দিন পরই স্লো কাজ করা শুরু করে না হয় নষ্ট হয়ে যায়।

বর্তমানে বাংলাদেশে ক্যালকুলেটর নিয়ে বড় ধরনের সিন্ডিকেট শুরু হয়েছে। কিছু লোক গুদামে, স্টক, রেখে দিয়ে দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। আমও নিজেও ক্যালকুলেটর কিনে বিপাকে পরে আছি। আমাদের সবার উচিত এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

ধন্যবাদ।।।।