খতমে নবুয়ত সম্মেলন।

খতমে নবুয়ত সম্মেলন।

ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুসারে একজন মুমিনের প্রধান বিশ্বাস আনতে হবে আল্লাহ এক এবং হযরত মোহাম্মদ (স.) আল্লাহ প্রেরিত রাসূল এবং বান্দা। এবং তিনিই শেষ নবী তার পরে আর কোনো নবী আসবে নাহ। এটা যে অস্বীকার করবে সে বিনা হিসেবে কাফির বলে গণ্য হবে। কিন্তু আমাদের দেশে কিছু দল আছে, এমন যারা মুখে মুসলমান দাবি করে কিন্তু খতমে নবুয়তের ধারা অবিশ্বাস করে। যাদের ফাদে পা দিয়ে শতশত মুসলমান কাফির হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মুসলমান হিসেবে আমাদের ইমানি দায়িত্ব তাদেরকে বাধা দেওয়া, প্রতিহত করা৷ এবং দেশের জনগনকে জানানো তারা কাফির, তারা কখনও মুসলিম হতে পারে না।

এরকমই একটা দল হলো কাদিয়ানী দল। তারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করে, কিন্তু হযরত মোহাম্মদ (স.) শেষ নবী মানে না। তারা মনে করে কাদিয়ান নাম ব্যক্তিই শেষ নবী। (নাউজুবিল্লাহ)। কিন্তু আমরা তো মুসলিম আমরা তো নবীকল করীম (স.) শেষ নবী মানি এবং বিশ্বাস করি। কাদিয়ানিরা যাতে আমাদের দেশে আর কোথাও তাদের মসজিদের নামে যে উপাসনালয়, তৈরি করে সেটা করতে না পারে এজন্য গতকাল ৭ই ফেব্রুয়ারি ছিল, গাজিপুর জেলায় খতমে নবুয়ত কমিটির উদ্যোগে এক বিশাল খতমে নবুয়ত সম্মেলন। এখানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সব আলেমী দিন এবং সুদূর আরব থেকে মেহমান উপস্থিত ছিলাম।

আমি নিজেই এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলাম। আমরা মিছিল নিয়ে ডুয়েটের সামনে থেকে পায়ে হেঁটে চৌরাস্তা বড় জামে মসজিদ মাঠে উপস্থিত হই। সেখানেই দিনব্যাপি খতমে নবুয়তের নানা ধরেনের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গাজিপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে এউ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিল। আমাদের দাবি একটাই, সরকার যেন কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয় ভাবে কাফির ঘোষনা করে। তাহলেই আমাদের আর কোনো দাবি থাকবে না৷ তারা এই দেশে কাফির হিসেবে থাকবে, কিন্তু মুসলমান নাম ধারী হয়ে থাকতে পারবে না।

ইনশাআল্লাহ, আমরা আমাদের নবী করীম (স.) এর কোনো ধরনের অপমান সহ্য করব না। যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুত। আশা করি আপনারা যারা আমার আজকের পোষ্টটা পরবেন, তারাও কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে থাকবেন এবং সরকার যাতে তাদেরকে কাফির হিসেবে রাষ্টীয় ভাবে ঘোষণা করে সেই প্রতিবাদ করবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ।