নিয়মের বেড়াজালে বন্দি।

নিয়মের বেড়াজালে বন্দি।

কিছু কিছু জায়গা আছে, যেখানে আমরা নিয়মের বেড়াজালে আটকে যায়। নিজের ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় কিছু করা যায় না। আমি যত চেষ্টটা করি হিসাব করে মেস জীবনে চলার তত বেশি যেন খরচ হয়ে যাচ্ছে। আমি যে আবাসিকে থাকি, সেই আবাসিকে প্রতি মাসে দুইবার করে ম্যানেজার পরিবর্তন হয়। মাসের দুইবার ম্যানেজার পরিবর্তন হওয়ায়, দুইবার ফিক্সড মিলের আয়োজন করা হয়। বেশির ভাগ সময় শুক্রবার দুপুরে, ফিক্সড মিলের আয়োজন করে থাকে ম্যানেজার৷ মেনু হিসেবে থাকে, পোলাও, গরু, সালাত, ডাউল সহ ম্যানেজারের পছন্দ মতো আরও আউটেম৷ কিন্তু এই একবেলা খাবারের জন্য সবাই দিতে হয় কয়েকটা মিলের সম্মিলিত দাম।

অনেক সময় দেখা যায় পুরো দের দিনের খাবারের দাম একদিন দুপুরে খেয়েই শেষ হয়ে যায়। এটা আমার সবচেয়ে অপছন্দের একটা বিষয়। কারণ, অন্যদের জানি না কিন্তু, আমার টাকার খুব সমস্যা এজন্য একটু হিসাব করে চলার চেষ্টটা করি। কিন্তু আবাসিকের থাকলে গেলে অনেক সময় নিজের ইচ্ছার বাইরেও কিছু করতে হয়। সবাই যেহেতু ফিক্সড মিল খেয়ে থাকে, সেখানে আমি যদি আমার মিল অফ করি তাহলে বিষয়টা খারাপ দেখায়৷ এজন্য, আমি মিল চালু রাখি। শুধু খাবারের বিষয় নয়, আরও বিভিন্ন বিষয় এবং জায়গা আছে, যেখানে গিয়ে আমি আটকে যায়।

আজকে শুক্রবার, আমাদের আবাসিকের ম্যানেজার ফিক্সড মিলের আয়োজন করেছিল৷ শুধুমাত্র দুপুরের খাবারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ১২০ টাকার বেশি।যা দিয়ে হয়ত আমার দের দিন খাওয়া চলে যেত। আজকের মেনু ছিল, পোলাও ভাত, মুরগির রোস্ট, টমেটোর চাটনি, এবং বুটের ডাউল। খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। নামাজ শেষ করে এসেই, আমি আমার রুমমেটের সাথে বসে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। সমস্যা হলো খাওয়ার পরেই চেপে যায় ঘুম।

যাই হোক, জীবন যেখানে যেমন চলে সেখানে তেমনি ভাবে মানায়ে নিতে হবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

ধন্যবাদ।