ঝামেলার শেষ নেই

ঝামেলার শেষ নেই

ছাত্র জীবনে একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। এই ক্লাস টেস্ট, পর্ব মধ্য পরিক্ষা, সমাপনী পরিক্ষা, জব লেখা রিপোর্ট দেওয়া আরও কত কি। পলিটেকনিক জীবনে জব লিখতে লিখতে যেনো জীবনটা শেষ হয়ে গেল। তবুও যেনো এই রিপোর্ট লেখা শেষ হয় না। ডিপ্লোমা প্রায় শেষ করে ফেললাম কিন্তু জব লিখা এখনও বন্ধ হলো না। এই তো আবারও দিয়েছে অষ্টম পর্বের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাস্টমেন্ট এর রিপোর্ট লিখতে। এতো পরিমাণ লিখা বলে বোঝানো যাবে না। সারা দিন ধরে লিখলেও পূরো একটা দিন লেগে যাবে৷

আমি আমার খাতাটা দুই দিন ধরে লিখেছে৷ লিখতে গিয়ে হাতটা ব্যাথা হয়ে গিয়েছে৷ এটা জমা দেওয়া সবার জন্য বাধ্যতামূলক। ২৫ তারিখের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা ছিল। এজন্য আমি লিখা শেষ করে আজকে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জমা দিয়ে আসলাম। বর্তমানে সবাই এখন রিপোর্ট লেখা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতেছে। এই খাতাটা লিখা শেষ করে প্রশিক্ষণ সংস্থাতে জমা দিতে হবে। তারপর তারা খাতাটা সাইন করে দিলে সেটা নিয়ে পূর্ণরায় কলেজে জমা দিতে হবে। আগামি মাসের ১ তারিখের পর আমাদের কলেজে যেতে হবে এজন্য এই খাতাগুলো সাথে নিয়ে যেতে হবে।

মেটামুটি এই সব কার্যক্রম গুলো শেষ হলোই ডিপ্লোমা জীবনের ইতি টানা হয়ে যাবে৷ তারপর ছুটতে হবে ডুয়েটের প্রতিযোগিতায়। যেটা সারা বাংলাদেশের ডিপ্লোমা ছাত্রদের জন্য একটা বড় চ্যালেন্জ এবং স্বপ্ন৷ সারা দেশ থেকে প্রতিটা ডিপার্টমেন্ট মাত্র ১২০ জন ছাত্রকে নেওয়া হয়৷ যেখানে ভর্তি পরিক্ষা দেয় ২/৩ হাজার ছাত্র। অনেকে মেধাবী হয়েও ভাগ্যের কাছে নিজেকে হার মানিয়ে দেয়। শত কষ্ট করে নেওয়া প্রস্তুতি যেনো সবই বৃথা চলে যায়।

যাই, আমাদের প্রত্যেকটা মানুষেরই জীবনের প্রতিটা স্তরে পৌছাতে কষ্ঠোর পরিশ্রম করতে হয়। পরিশ্রম ছাড়া সফলতা আশা করা যায় না। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

ধন্যবাদ।