মুছাপুর ক্লোজার বাঁধ ভ্রমন (ভ্রমন-০৫)। ''বাংলায় তারার মেলা''।।১০%@btm-school

in hive-185999 •  2 years ago 

আসসালামুয়ালিকুম,
আজ আমি আপনাদের সাথে আরেকটি ভ্রমন এর গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি। দিনটা ছিল শুক্র বার। হঠাৎ আমার মন খারাপ দেখে আব্বু সিদ্ধান্ত নিল কোথায় ঘুরতে যাওয়া যাক। আমিতো মহাখুশি কেননা গত শুক্রবার আমরা পতেঙ্গায় গিয়েছিলাম এই শুক্রবার আবার ঘুরতে যাব। আমি আব্বু সবসময় ঘুরতে যেতে পছন্দ করি। দুপুরে খাওয়া শেষে আমরা সবাই মুছাপুর যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেই। বিকাল ৩টায় রওনা দিয়ে আমরা ৫ টার সময় পৌছাই । আমাদের যেহেতু হুটহাট প্ল্যান তাই আমাদের যেতে একটু লেট হয়ে গিয়েছিল।

302301617_1514564005650499_1157236869917210476_n.jpg
নোয়াখালী মুছাপুর ক্লোজার বাঁধ / নোয়াখালী মিনি কক্সবাজার

মুছাপুর ক্লোজার নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন এ অবস্থিত। প্রথমে দেখতে মনে হবে এটি একটি সৈকত । আসলে সেখানে গেলে আপনি উপভোগ করতে পারবেন নদীপাড়ে সমুদ্রের আবহ। এ কারনে একে ''মিনি কক্সবাজার'' বলা হয়। আবার অনেকে মুছাপুর সমুদ্র সৈকত হিসাবেও চিনেন। ফেনী নদীরে তীরে অবস্থিত মুছাপুর ক্লোজার অবস্থিত। স্থানীয়দের যখন আমরা বাঁধের জায়গাটি চিনিয়ে দেওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করছিলাম তারা আমাদেরকে বলছিল আপনারা কি সৈকতে যাবেন। আমি একটু হেসে বললাম ঐটা তো সমুদ্র সৈকত না। ওরা বলল গেলে বুজবেন। তারপর আমরা যখন বাঁধের কাছাকাছি যাই আমি সত্যি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম। আসলেই সমুদ্রের মতো অনুভুতি। তখন বুজলাম লোকেরা কেন সাগর বলল।

কেউ বাস এ করে, কেউ সি এন জি আবার কেউ প্রাইভেট কারে করে আসে। তবে ছেলেরা বেশি বাইকে করে আসে দলে দলে এতো সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য। বাঁধের একপাশে সাগর এবং আরেক পাশে খালি জমি। এই জমি বিশাল। সারাবছর এই জমি খালি থাকে। বৃষ্টির সময় কানায় কানায় ভরে উঠে। সেই দৃশ্য অপরুপ। মনে হয় দুইপাশে সাগর এবং মাঝখানে সরু লম্বা রাস্তা।

302322913_1042505846461717_3589492127584005708_n.jpg
এই সেই খালি জমি। আমরা বর্ষা মৌসুমে যাইনি বিধায় পানি ছিল না।

এবার আসল কথায় আসি এই বাঁধ নির্মাণে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। এই স্থানে শুধু যে সাগরের অনুভুতি তা নয় এইখানে ৩২৮২.৮২ একর বনবিভাগের জমি জুড়ে বনাঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে মুছাপুর ফরেস্ট বাগানটি অন্যতম। এই বাগানে রয়েছে ঝাউ, কেওড়া, পিটালি, গেওয়া, আকাশমণি ইত্যাদি প্রজাতির গাছ। কয়েক কিলমিটার প্রস্থের এই ক্লোজারের যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্য উদয় এবং অস্ত যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বাঁধের ছবি তুলতে পারিনি কারন তখন বাঁধের কাজ চলছিলো। ভারি খাবার সেখানে না পাওয়া গেলেও আমরা নতুন একটি খাবার ট্রাই করেছি। মুছাপুর এটি কমন একটি খাবার। সেটি হল মহিষের দুধের দই। শুধু যে সমুদ্রের অনুভুতি পেয়েছি তা কিন্তু নয় আমরা নদীর অপর একটি পাশে তরমুজের বিশাল খেত দেখতে পেয়েছি। শতশত মহিষ, ভেড়ার পাল দেখতে পেয়েছি। আমি জীবনে প্রথমবার তরমুজ খেত এবং এতো মহিষ আর ভেড়ার পাল দেখতে পেয়েছি। মানুষজন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে যায়। আমি অনেক আনন্দ পেয়েছি এবং এত সুন্দর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করেছি। আশাকরি আমার গল্পটি পড়ে আপনারাও এতো সুন্দর স্থানটি ভ্রমনে আসবেন।
ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার ভ্রমণের লাখাটা ভালো হয়েছে, নতুন একটা বেড়ানোর জায়গা সম্পর্কে আমরা জানতে পেলাম।

কিন্তু যে কারণে আপনার ঘুরতে যাওয়া, ঠিক কি কারণে আপনার মন খারাপ হয়েছিল সেটা কিন্তু আমাদেরকে বলেননি! 🤪

এমনি মন খারাপ ছিল ভাইয়া!!

আচ্ছা, বুঝলাম!

আপনার মনখারেপ ব্যাপারটা জানতে চাই আমার নিষ্পাপ মন? না বললে ধরে নেবো আমি যেটা ভাবছি সেটার জন্যই মন খারাপ।😜

স্টিমিট এ ইমুজি নেই বলে আমি মন খারাপের কারন জানাবো না।