বাংলায় তারার মেলা `ডায়েরির পাতা থেকে` - ৮ “শান্তির প্রতীক ও গৃহস্থ বাড়ির ঐতিহ্য কবুতর”

in hive-185999 •  2 years ago  (edited)

india-3887561_1920.jpg
Source

শান্তির প্রতীক ও গৃহস্থ বাড়ির ঐতিহ্য কবুতর

হাঁস-মুরগির তুলনায় কবুতরের বাজার মূল্য বেশি এবং কবুতর পালন সর্বক্ষণই লাভজনক। পারিবারিক পর্যায়ে বসত বাড়ির ঘরের আশপাশে অনেকটা অপরিকল্পিত অবস্থায় শুধুমাত্র ছোট একটা খোপে খাদ্য-পানির সরবরাহের মাধ্যমে কবুতর লালিত পালিত হয়ে থাকে। গম, ধান, সরিষা দানাসহ অন্যান্য শস্যকণা খেয়ে কবুতর বেঁচে থাকে। তুলনামূলকভাবে কবুতরের রোগবালাই অনেক কম। তবুও পারিবারিক পর্যায়ে কিংবা বৃহৎ পরিসরে বাণিজ্যিক পর্যায়ে লাভজনক কবুতর পালন।

বিগত কয়েক দশক আগেও কবুতর পালনের প্রচলন ছিল গ্রামে। তবে ইট-পাথরে ঘেরা জনবহুল শহরের ছাদে বা জানালার কার্নিশে এখন কবুতর পালনের দৃশ্য খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এটা পরিবারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অর্থিক সমৃদ্ধির সম্ভাবনা কবুতর পালনে কবুতর প্রতিপালন এখন শুধু শখ ও বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং শহর-গ্রাম সর্বত্র এটি লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে পরিণত হয়েছে। দেশব্যাপী মানুষের অর্থনৈতিক অভাব পূরণে সহযোগিতা করছে। শহর কিংবা নগরের বহুসংখ্যক পরিবার এখন অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কবুতর পালনে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।

২০২০ সাল। করোনা পরিস্থিতিতে আমরা সবাই তখন বাড়িতে। হঠাৎ একদিন কবুতর পালন করার ইচ্ছে জাগল। অনাদিকাল থেকেই “শান্তির দূত” হিসেবে কবুতর বাংগালীর তথা বাংলার সর্বত্র খ্যাত। গৃহপালিত সব পাখিদের মধ্যে বাংলাদেশের সর্বত্র জনপ্রিয় একটি পাখি ‘কবুতর’। ‘কপোত’ নামেও পরিচিত। এ জন্য সব সময় বলা হয় “ভালোবাস কপোত কপোতীর মত” কারণ কবুতর অতি শান্তিপ্রিয়। অতি অল্প সময়ে কবুতর বংশ বিস্তার করে। প্রতি ১২ (বার) মাসে প্রায় তের জোড়া বাচ্চা প্রদান করে যা অতি অল্প সময়ে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর মাংসের উৎস হিসেবে মানুষের খাদ্য উপকরণের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। কবুতরের মাংস রুগীকে পথ্য হিসেবে খাওয়া হয় এবং খুব উপকারীও।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অসাধারণ একটা কবিতা পরলাম

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

সত্যিই দুর্দান্ত একটি কবিতা ।
চালিয়ে যান মামা।

সাথে সাথে আর পাশাপাশি থেকো ভাগনে। এক সাথে যেতে হবে অনেক দূর।

আপনার প্রতিটা লেখা প্রাণ প্রাচুর্যপূর্ণ। অসাধারণ। ভবিষ্যৎ আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

ধন্যবাদ ম্যাডাম। দোয়া করবেন প্লিজ

ভাইয়া অসাধারন !!!

ধন্যবাদ আপু।

এক কথায় অসাধারণ।
সমাজের আসল রূপ্টা তুলে ধরেছেন।

ভাইজান আপনার লেখা গুলো বারবার পড়তে মন চাই কারণ আপনার লেখার হাত অনেক ভালো।

ধন্যবাদ ভাইজান। দোয়া করবেন যেন আরও ভালো ভালো লেখা দিতে পারি।

অবশ্যই ভাইজান❤️❤️