ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা নিয়ে আমার একটি রিভিউ

in hive-191303 •  2 years ago 

image.pngimage source

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাহী এবং খুবই জনপ্রিয় খেলা হল লাঠি খেলা বা শরকি খেলা। এটি বাঙ্গালি জাতির মার্শাল আর্ট। লাঠির দ্বারা একযুদ্ধ ধরনের লড়াই যা ভারত এবং বাংলাদেশে খেলা বা অনুশীলন করা হয়।লাঠি খেলা অনুশীলন কারীকে বলা হয় লাঠিয়াল । এছাড়া ও, লাঠি চালনায় দক্ষ কিংবা লাঠি দ্বারা মারামারি করতে পটু কিংবা লাঠি চালনা করে জীবিকা অর্জন করে, তাদের লেঠেল বা লাঠীয়াল বলা হয়।

image.png

image source

খেলোয়াড় : দুই জন বা তার অধিক
খেলার যন্ত্র পাতী
লাঠী মগুর, গদা বা ভান্ডা বিশেষ, এটি সাধারনত শক্ত বাঁশ দিয়ে তৈরি। কখন লোহার ও হয়ে থাকে।লাঠিখেলার আসরে লাঠির পাশাপাশি বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ঢোলক, কর্নেট, ঝুমঝুমি, কাড়া ইত্যাদি ব্যবহূত হয় এবং সঙ্গীতের সাথে চুড়ি নৃত্য দেখানো হয়।

image.png
image.source

উৎপত্তি দেশঃ ভারত ও বাংলাদেশ।
লাঠি খেলার ইতিহাস
এটি প্রায় ১৫০-২০০ বছর আগে ব্রিটিশ শাষন আমলে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অন্চলে খেলা হত। বিশেষ করে নিজেকে আত্বরক্ষার জন্য এআবিষ্কার হয়। মহরম ও পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানে এই খেলাটি তাদের পরাক্রম ও সাহস প্রদর্শনের জন্য খেলা হয়ে থাকে।এ খেলা প্রথমে শুধু যুবকেরা খেলত। এখন বৃদ্ধ, শিশু যুবক সবই অংশ নেই।
লাঠি খেলার বিভিন্ন নামঃ
(১)লাঠিয়াল বাহিনী সড়কি খেলা (২) ফড়ে খেলা, (৩)ডাকাত খেলা (৪)বানুটি খেলা (৫) বাওই জাক (গ্রুপ যুদ্ধ) (৬)নরি বারী (লাঠি দিয়ে উপহাস যুদ্ধ) খেলা (৭) দাও খেলা (ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপহাস যুদ্ধ) খেলা দেখায়।
লাঠি খেলার বর্তমান অবস্থা
একসময় অনেক জনপ্রিয় ছিল খেলা। কিন্তু বর্তমানকাল আস্তে আাস্তে এই খেলা অনেক কমে গেছে। ঈদ উপলক্ষে লাঠিখেলার আয়োজন সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, নড়াইল প্রভৃতি জেলায় ভিন্ন নামে দেখা যায়। লাঠি খেলা নিয়ে বর্তমানে নতুন দল তৈরি হচ্ছে না। এছাড়া পৃষ্ঠপোষকতার অভাবেও লাঠি খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে।
সর্বপুরি আমার মতামত
ঐতিহ্য হিসেবে★★★★★৫/৫
খেলা হিসেবে★★★★৪/৫
জনপ্রিয় হিসেবে★★★★★৫/৫

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!