গবাদি পশুর Anthrax বা তড়কা রোগ

in hive-191311 •  3 years ago 

IMG_20210530_131851.jpg

বেসিলাস এনথ্রাসিস ( Bacillus Anthracis ) নামক ব্যাকটেরিয়া এ রোগের জন্য দায়ী। এটি অতি তীব্র ও মারাত্মক ধরনের রোগ। সাধারণত খাবারের সাথে এই রোগের জীবাণু দেহে প্রবেশ করে। এ রোগের জীবাণু মাটিতে বহু বছর বেঁচে থাকতে পারে। বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই গরু-মহিষ সহ অন্যান্য প্রাণীর এ রোগ দেখা যায়। সাধারণত বর্ষাকালের প্রথমদিকেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়।

তড়কা রোগের লক্ষণ সমূহঃ
অধিকাংশ সময় কোন প্রকার লক্ষণ প্রকাশ এর পূর্বেই গবাদিপশু হঠাৎ করে মারা যায়।

1=শরীরের তাপমাত্রা অধিক বেড়ে যায় 104 থেকে 107 ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়।

2= শ্বাস-প্রশ্বাস এবং নাড়ির গতি বেড়ে যায়।

3= পেট ফুলে যায় শ্বাসকষ্ট হয় এবং পরশু নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

4= খিঁচুনি হয় এবং অবশেষে মারা যায়।

5= মৃত পশুর নাক-মুখ ও পায়ুপথ দিয়ে ফেনাযুক্ত রক্ত বের হতে দেখা যায়।

চিকিৎসাঃ

তরড়কা রোগ তীব্র প্রকৃতির হলে পেনিসিলিন 40 লাখ ইনজেকশন এর সাথে 10 মিলি ডিস্টিলওয়াটার মিশিয়ে প্রতি 100 কেজি দৈহিক ওজনের জন্য 5 মিলি হিসেবে মাংসপেশিতে 24 ঘন্টা পর পর ইনজেকশন দিতে হবে। প্রথম মাত্রা 10 মিলি হিসেবে দিলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।

ব্যথানাশক হিসেবে কিটোপ্রোফেন ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে।

এছাড়াও সাথে এন্টিহিস্টামিন দিতে হবে

প্রতিকারঃ
তড়কা রোগের মৃত গবাদিপশুকে মাটির গভীরে পুতে ফেলতে হবে এবং সুস্থ গবাদিপশুকে এক বছর অন্তর অন্তর তড়কা রোগের টিকা দিতে হবে।

Imrankhanrang

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thanks