বেকারত্ব বেকারত্ব হলে একটা খারাপ দিক। বেকারত্ব কাকে বলে? সেটা আজকে আমরা জানবো, আর এদের সম্পর্কে আমি আজ আলোচনা করব।

যখন একটা ছেলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কর্মজীবনে ঢুকতে না পারে, টাকা ইনকাম না করতে পারে, তখন সেই ছেলেকে বেকারত্ব বলে। বাংলাদেশে শিক্ষার হার অনেক বেশি কিন্তু কর্ম জীবনের হার অনেক কম এখানে বেশি মানুষ তাই অভিজ্ঞতা শিক্ষার কোন দাম নেই।

বাংলাদেশে গণহারে এসএসসি এইচএসসি অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করছে অনেক ছেলেরা। কিন্তু চাকরি করতে গেলে দেখা যাচ্ছে ভাইবা বোর্ডে তাকে বলছে, তোমার কি অভিজ্ঞতা আছে? সে বলছে নাই, তাহলে চাকরিও নাই। আসলে অভিজ্ঞতার আসবে কোথা থেকে, আমরা কি কখনো কর্মক্ষেত্রে গেছি? যাই নাই, আমরা তো চাকরি পাওয়ার পরে অভিজ্ঞতা অর্জন করবো বুঝতে হতো বাংলাদেশকে।

ঠিক তেমনি ভাবে লেখাপড়া শেষ করতে করতে একটা ছেলের প্রায় ২৮ বছর শেষ করে ফেলে। তার জীবনে অর্ধেক সময় লেখাপড়া করতে করতে চলে যায়। কি করবে কিছু করতে পারেনা যখন সে চাকরি পায় না। পরিবার থেকে তাদের মাথার উপরে প্রেসার আসে এবং পরিবারের মা-বাবারা তাদেরকে খারাপ নজরে দেখতে থাকে। তখন দেখবে তো অবশ্যই, কারণ ২৮ বছর বাবা-মা খেতে দিছে তাদের পড়তে দিছে কিন্তু ছেলেমেয়েদের এখন তাদের খাওয়ানোর কথা। কিন্তু পারেনা কারণে বেকার মানুষেরা পরিবারের জন্য সমাজের জন্য অভিশপ্ত জীবন কাটাই। না পারে কোন কিছু করতে না পারে রিক্সা চালাতে আবার না পাই চাকরি করতে।

আবার শেষ মেশে যদি একটা চাকরি হয়ে যায় তখন তাদের বেতন হয়ে যায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। 8 থেকে 10 হাজার টাকা নিয়ে কিভাবে চলবে ভেবে উঠতে পারা যায় না। যেখানে বাজার করতে গেলে টাকার দুই হাজার টাকার নিচে বাজার হয় না। সেখানে ৮-১০ হাজার টাকার বেতনে কিভাবে চলে, আমাদের সমাজে বেকারত্ব মানুষদের সমবয়সী মানুষেরা লেখাপড়া না শিখে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে প্রবাস থেকে ব্যবসা থেকে, তাহলে বলা যায় লেখাপড়া শিখার চেয়েও কর্মজীবী হওয়াটাই প্রত্যেকটা মানুষের জন্য দায়িত্ব। তাহলে বাংলাদেশকে কেন শিক্ষা নিয়ে এত উতলা হতে হবে। বাংলাদেশকে যদি শিক্ষা নিয়ে যদি ঊতলা এত হতে হবে তাহলে এত মানুষ কেন বেকারত্ব থাকবে। চাকরি যদি দিতে না পারবে সম্মানী যদি দিতে না পারবে লেখাপড়া শিখে কি লাভ, দরকার নেই লেখাপড়া শেখ।সবাই কর্মজীবনে লেগে পড়।

পরবর্তীতে লিখবো আবার কালকে।