"মটরশুটির কচুরী"

in hive-196725 •  4 years ago 

IMG_20210110_161850.jpg

প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার নিজের রান্না করা একটা রেসিপি শেয়ার করবো।

আমরা সকলেই জানি শীত কালে বিভিন্ন রকমের সব্জি পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে মটরশুটি অন্যতম। যদিও এখন বছরের অন্যান্য সময়েও সকল সব্জিই পাওয়া যায়। তবে সিজনের জিনিসের স্বাদই আলাদা।এই সময়ে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই বিভিন্ন রকমের খাবার বাড়িতে তৈরী করি।মটরশুটির কচুরি তাদের মধ্যে অন্যতম। আমার হাজব্যান্ড ও এই মটরশুটির কচুরি খুব ভালোবাসে। কাল তার ইচ্ছেতেই আমিও বাড়িতে বানিয়ে ফেললাম। যদিও রান্না করতে আমার যে ভীষণ ভালোলাগে এমন নয়,তবে মাঝে মাঝে স্পেশাল কিছু তৈরী করতে খুব খারাপ লাগে না।

আজ ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি আমার বানানো কচুরির রেসিপি।আসলে আমি আমার মতন তৈরী করেছি, আরও অনেকেই তাদের নিজেদের মতো তৈরী করেন,তাই আমি আমার মতন করেই আজ আপনাদের বলব-

প্রথমে বাজার থেকে আনা মটরশুটি গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি-
IMG20210108083525.jpg

খোসা ছাড়ানো মটরশুটি গুলো আর ২ টো কাঁচালঙ্কা একসাথে সেদ্ধ করে নিয়েছি-
IMG20210108084102.jpg

এই বার সেদ্ধ মটরশুটি গুলি আর লঙ্কা বেঁটে পেস্ট তৈরী করেছি। পাশাপাশি আমি অল্প এক টুকরো আদা,এক চা চামচ গোটা জিরে বেঁটে নিয়েছিলাম।

একটা ভাঁজা মশলা তৈরী করেছি (গোটা জিরে, ধনে, মৌরী একটা শুকনো লঙ্কা অর্ধেকটা তেজপাতা) শুঁকনো কড়াইতে গরম করে বেঁটে নিয়েছি-
IMG20210106213551.jpg

এরপর তেলের মধ্যে হিং ফোড়ন দিয়ে তার মধ্যে আদা বাটা, জিরে বাটা, মটরশুটির পেস্ট দিয়েছি,পরিমাণ মতো নুন,চিনি দিয়েছি। আমি এটারমধ্যে হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার করিনি,কারণ তাতে মটরশুটির সবুজ রং টা ফিকে হয়ে যায়।নামানোর আগে তৈরী করা ভাঁজা মশলা দিয়েছি।এইভাবে পুর তৈরী করেছি-
IMG20210108120420.jpg

অপরদিকে ময়দা মেখে নিয়েছি পরিমাণ মত ময়দা,সাদা তেল,নুন, চিনি দিয়ে।(ময়দা মাখার জন্য আমি একটু উষ্ণ গরম জল ব্যবহার করেছি)
IMG20210108203114.jpg

এরপর লেচি কেটে তার ভেতর পুর ভরে নিয়েছি-
IMG20210108203411.jpg

এক এক করে লেচি গুলো অল্প তেল দিয়ে বেলে নিয়েছি-
IMG20210108204410.jpg

কড়াইতে ভাঁজার জন্য পরিমাণ মত তেল দিয়েছি।
এরপর তেল গরম হলে,এপিঠ ওপিঠ করে এক এক করে তৈরী করা লেচি গুলো ভেঁজে নিয়েছি-

IMG20210108225413.jpg

গরম গরম পরিবেশন করেছি আলুর দমের সাথে-
IMG20210108225725.jpg

আলুর দমের রেসিপি নিশ্চয় অন্য একদিন শেয়ার করব। আমার হাজব্যান্ড এর ভালোই লেগেছে। জানিনা আপনাদের দেখে কতটা ভালো লাগবে।আসলে যত্ন করে, ভালোবেসে কিছু রান্না করলে সেটা খেয়ে যদি কেউ ভালো বলে সত্যি মনটা খুশীতে ভোরে যায়। আমার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। রান্না করতে ভালো না লাগলেও মাঝে মাঝে কিছু রান্না অনেক যত্ন করেই করি।

ভালো থাকবেন সবাই। ধন্যবাদ সবাইকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!