যেকোনো দেশের জাতীয় পশু, পাখি, ফল, ফুল ইত্যাদি বাছাই করার আগে সাধারণত দুটি বিষয় খুব ভালো করে দেখা হয়। প্রথমটি হলো—যে দেশের জাতীয় ফুল, ফল ইত্যাদি নির্বাচন হচ্ছে, সে দেশে সেই জিনিসটি অনেক বেশি পরিমাণে আছে কি না। অনেক বেশি থাকার অর্থ হলো সেই জিনিসটির সঙ্গে সবাই পরিচিত। যেমন—শাপলা ফুলের কথা বলা যায়। আমাদের দেশে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে খালে-বিলে সাদা শাপলা ফুল ফোটে। ছেলে-বুড়ো সবাই খুব ভালোভাবে ফুলটিকে চেনে ও জানে। এরপর আসে আশপাশের অন্য কোনো দেশ সেটিকে আগে থেকেই তাদের জাতীয় কোনো কিছুর মর্যাদা দিয়ে ফেলেছে কি না। যেমন—আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েল। আমাদের পাশের দেশ ভারত যদি দোয়েলকে আগেভাগেই নিজেদের জাতীয় পাখি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফেলত, তাহলে সেটি বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হতে পারত না। এবার আসা যাক কাঁঠালের কথায়। কাঁঠালকে আমাদের দেশে চেনে না এ রকম একজনকেও পাওয়া দুষ্কর। আবার কাঁঠালগাছের প্রতিটি অংশই ব্যবহারযোগ্য। পাকা কাঁঠাল তো দারুণ সুস্বাদু। কাঁচা কাঁঠালও রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁঠালগাছের পাতা ছাগলের সবচেয়ে পছন্দের খাদ্য। কাঁঠালগাছের কাঠও বেশ উন্নতমানের। এসব কারণে কাঁঠালের পরিচিতি সুপ্রাচীন কাল থেকে। এ জন্যই কাঁঠালকে জাতীয় ফলের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে আমের কথাও আসতে পারত। কিন্তু আগে থেকেই আম ভারতের জাতীয় ফল হিসেবে থাকার কারণে এই প্রস্তাব আর আলোর মুখ দেখেনি।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Fresh juice, re-shared! 💃🍡🥤
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit