আমার স্বপ্নের পর্যটনকেন্দ্র হচ্ছে হিমছড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটনস্থল। এটি দেখতে অনেক সুন্দর। এটি আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। কি সুন্দর যে প্রকৃতি যেন হারিয়ে যায়। এটি বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত।
কক্সবাজার থেকে এটি ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[১]হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। হিমছড়িতে একটি জলপ্রপাত রয়েছে যা এখানকার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। যদিও বর্ষার সময় ছাড়া অন্যান্য অনেক সময়ই ঝরণায় পানি থাকে না বা শুষ্ক থাকে। তবুও প্রাকৃতিক পরিবেশ হিসেবে হিমছড়ি(Himchari), পর্যটকদের অনন্য এক আকর্ষণ।পর্যটকরা হিমছড়িতে গিয়ে দারুণভাবে উপভোগ করতে পারে
জেলা সদর হতে ৯ কিঃমিঃ দূরে হিমছড়ি অবস্থিত। পাহাড়, সমুদ্র ও ঝর্ণা সমন্বিত হিমছড়ি অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এক পর্যটন স্পট। পর্যটন মৌসুমে এখানে পর্যটকদের আনাগোণা বেশি পরীলক্ষিত হয়। এখানে কয়েকটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা (প্রসবণ) রয়েছে। কক্সবাজার জেলায় পিকনিক করতে আসলে হিমছড়ি ঝর্ণা পর্যটকদের একবার দেখা চায়। ২৯ এপ্রিল, ১৯৯১ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে হিমছড়িসহ আশে পাশে অনেক পর্যটন স্পট দারুণভাবে ক্ষতিসাধন হয়। বর্তমানে হিমছড়ি এলাকাটি অনেক সংস্কার করা হয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে উঁচু পাহাড়ে উঠে সাগর, পাহাড় ও কক্সবাজারের নৈসর্গিক সৌর্ন্দয অতিসহজে উপভোগ করা যায়। হিমছড়ি যাওয়ার পথিমধ্যে দরিয়ানগরসহ (ভাংগামোড়া) অনেক পিকনিক স্পট আছে। ছোট ছোট সুরেলা ঝর্ণার পানি প্রবাহ অবলোকন করতে চাইলে পর্যটকদের ভরা পর্যটন মৌসুম ব্যতীত বর্ষা মৌসুমে আসতে হবে।এজন্য বর্ষাকালে এই পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করা উচিত। এতে পর্যটকরা ভীষণ ভাবে উপভোগ করতে পারবে বলে আমি মনে করি
যারা হৈ হুল্লুর পছন্দ করেন, বন্ধুদের নিয়ে উল্লাস করতে ভালবাসেন তাদের জন্য খোলা ছাদের জিপ উত্তম বাহন হিমছড়ি যাবার জন্য। ক্ষিপ্র গতিতে যখন জিপ ছুটে চলে খোলা জিপের উপর দাড়িয়ে দুপাশে তাকালে মনে হবে যেন স্বপ্নে দেশে ভেসে যাচ্ছেন। এটি হতে পারে আপনার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা। আর যারা একটু শান্ত, ভদ্রভাবে পরিবার কিংবা স্ত্রীকে নিয়ে যেতে চান হিমছড়ি তাদের জন্য রিক্সাই উত্তম বাহন। দুপুরের রোদ কমে গেলে রওনা হতে হবে। পথ চলতে হবে কক্সবাজারের নানা চিংড়ি হ্যাচারীর মাঝখান দিয়ে । পথে লাল রংয়ের স্কুল ড্রেস পরা ছেলেমেয়েদের দেখবেন। আর দুপাশে থাকবে সাগর পারের গাছপালা। এরপর বেশ উচু একটা ব্রীজপার হয়ে শুরু হবে হীমছড়ির রাস্তা। রাস্তার একপাশে থাকবে উচু পাহাড় আরেক পাশে সাগর। নানা রকম পাখির কলতান শুনতে শুনতে আপনি রোমাঞ্চিত হবেন। এই রাস্তাটি সেনা বাহিনীর তৈরি করা। যাবার পথে সেনাবাহীর একটি ক্যাম্প। পাহাড়ে নানা রকম ঝোপঝারের সাথে সাথে সমুদ্র সৈতক পাড়ে দেখা যায় সুদুর ঝাউ গাছের সারি। মাঝে মাঝে নারিকেল গাছের এক পায়ে দাড়িয়ে থাকা সৌন্দর্যের ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করে। জায়গায় জায়গায় দেখবেন পাহাড়ী ছোট ছোট ঝড়না। শুকনা মৌসুমে হয়তো সবটাতে পানি দেখবেন না। পথে রিক্সা বা গাড়ী থামিয়ে ঝড়নার পারে ঘুরে আসতে পারেন। রাস্তার ওপর পাশে সাগর। মাঝে মাঝে দেখবেন জেলে নৌকা বালির উপর সারি করে রাখা আছে।এই বালি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। অনেক পর্যটক আসছে নৌকা দিয়ে নিজেরাই ঘুরে আসে চারপাশে। এজন্য অনেকে হিমছড়ি কে স্বপ্নরাজ্য বলে মনে করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit