শ্রীলংকান সৌন্দর্য তাদের ঐতিহ্য। ১০% carepoint70

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কমিউনিটি বাসী আশাকরি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন।

আজ তো এশিয়া কাপ ২০২২ ফাইনালের ম্যাচ সবাই উপভোগ করলেন। কি চমৎকারভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সম্প্রতি দেউলিয়া হওয়া একটি দেশ।

আজ আপনাদের সাথে কথা বলবো তাদের এই ফাইনালে জয়ী হওয়ার আত্মবিশ্বাসের গল্প নিয়ে।
শ্রীলংকা এমন একটি দেশ তাদের অর্থনৈতিক প্রায় ৬০% পর্যটন নির্ভর।

তাদের এই দেশ পর্যটন শিল্পের জন্য এশিয়ার অন্যতম বিখ্যাত রাষ্ট্র। তাদের যে, সম্প্রতি দেউলিয়া হওয়ার কাহিনী আমরা কম বেশি সবাই জানি।

তাদের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরে পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে।
সম্প্রতি যেই ভয়াবহ একটি পরিস্থিতি তাঁরা মোকাবেলা করছে,তা বিশ্ববাসীর জন্য ভয়ংকর বার্তা বহণ করে।

তারা এশিয়া কাপ শুরু করেছে আফগানদের কাছে পরাজয় দিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের দৃঢ় মনোবল আর সংকল্প কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে তারা জয় করে নিলো,এশিয়ার সেরা মুকুট।

মূলত বলতে চাচ্ছি মানসিক শক্তি নষ্ট না করে,সেটাকে কাজে লাগিয়ে বেশ ভালো একটা আউটপুট চাইলে আমাদের দেশও পারতো। কিসের অভাব ছিলো তাদের। হ্যাঁ অভাব ছিলো দৃঢ় মনোবল আর কর্ম ক্ষমতার।

এতে করে আমরা এক কপাল পুড়া জাতীতে পরিণত হয়েছি। আমাদের যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে ভরপুর, শ্রীলংকাও তেমন একটি দেশ,কিন্তু তাদের সেই শিল্প ঠিকিয়ে রাখতে তারা খুবই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

যেই জাতী যতো পরিশ্রমী সেই জাতী ততোই সফল। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ আজকের শ্রীলংকান ক্রিকেট টিম। অথচ তাঁরা পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভর একটি জাতী তাঁরাও আজ এশিয়ার রাজত্ব শুরু করছে।

এই লংকানদের প্রায় প্রত্যেক পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস সে দেশের পর্যটন শিল্প। এঁদের চিন্তা চেতনা এই শিল্পকেই ঘিরে।

আমাদের দেশেও একটি বিশ্ববিখ্যাত সমুদ্র সৈকত রয়েছে,অথচ অন্যান্য দেশের তুলনায় এটি বেশ বড়সড় হলেও আমাদের অসচেতনতা আর অবহেলায় খুবই জরাজীর্ণ অবস্থা। এটার দায় আমাদের নিতেই হবে। এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।