বাংঙ্গালী এমন একটি জাতী, যে জাতীর বিবেক ঘুমিয়ে কেটে দিলো।
কেননা আমার বিবেক যদি ঘুমিয়ে না থেকে, যেগে থাকত তাহলে নিশ্চয় আমাকে ঘুস খেয়ে বা অন্যায় পথে অর্থ উপার্জন করতে দিতো না। আমার স্ত্রী- সন্তানদের বিবেক যদি যেগে থাকতো, তাহলে নিশ্চয় তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করতো যে, তোমার বেতন বা আয় করো তার চেয়ে অনেক বেশি আমাদের জন্য খরচ করছো এই টাকা গুলো তুমি কোথায় পেলে? তুমি কোথাও থেকে ধার বা কর্জ করেছো?
ইস্ কি কষ্ট আমি আজ বুকে হাত রেখে বলতে পারিনা, আমি আমার স্ত্রী- সন্তান ও মা-বাবাকে সৎপথে উপার্জিত অর্থ দিয়ে খাওয়াতে পরাতে পারছি না।
আমার সন্তানরা কখনো গর্ব করে বুকে হাত রেখে বলতে পারবে না, আমার বাবা একজন সৎ মানুষ, আর আমি একজন সৎ মানুষের সন্তান। বরং সবসময় হিনমন্নতায় ভুগবে এই ভেবে যে সে একজন ঘুসখোর , সুদখোরের সন্তান।
সারাজীবন অন্যায় পথের উপার্জিত অর্থ আজ আমার দিকে তাকিয়ে কান্না করে বলে, ধিক তোর শিক্ষা-দিক্ষায়, ধিক তোর জীবনকে। যে জীবনটাকে ইচ্ছে করলই সততার কাটিয়ে দিতে পারতি সেই জীবনটাকে শুধুমাত্র কটা টাকার জন্য পাপে ভরিয়ে তুলেছিস।
একটি ঘুসখোর পরিবারের কোন ছেলে বা মেয়ের সাথে আর একটি ঘুসখোর পরিবার তার ছেলে বা মেয়ের বিয়ে দিবে বা সম্পর্ক করবে। সৎ, ধার্মিক কোন পরিবার তা করতে চাইবে না। তাই সন্তানদের ভালো পরিবারে বিয়ে দিতে পারছি না।
যে অবৈধ আয়ের জন্য দুই চোখের ঘুম হারাম করেছি, সবসময় ভেবেছি আরো টাকা চাই আরো টাকা টাই। সেই টাকা দিয়ে লিভার ক্যন্সারের চিকিৎসা করতে এসে ডাক্তার বলছেন, সময় শেষ আর চিকিৎসা করে লাভ হবে না। এখন সৃষ্টিকর্তা ডাকুন। ডাক্তার সাহেব তো জানেন না, যে আমি জীবনে কোনদিন সৃষ্টিকর্তাকে ডাকিনি শুধু টাকার পেছনে ছুটেছি। শুধু টাকার জন্য এহেন অন্যায় কাজ নেই যা আমি করিনি। সেই টাকা আজ আমার কোন কাজে আসলো না।
সবশেষে আমাদের বিবেকটাকে জাগিয়ে তুলি, অন্যায় নয় সৎপথে থাকবো জীবনের যেকোন পরিস্থিতে।