দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছেন যে ভদ্রলোক, সাধারণ পোশাকে খালি পায়ে, হাতে কমদামী ঘড়ি ও তিন টাকা দামের পেন নিয়ে, কী যেন সব লিখে চলেছেন !!
আসুন, পরিচয় পর্বটা সেরে ফেলা যাক...
ইনি কর্ণাটক রাজ্যের মন্ডয়া-র একজন কৃতী সন্তান, নাম :-- শংকর গৌড়া। ডিগ্রী :-- এম.বি.বি.এস,,,, এম.ডি। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডিগ্রী প্রাপ্ত।
নিজস্ব কোনো চেম্বার নেই। একটা অত্যাধুনিক চেম্বার বানাতে, কয়েক লাখ টাকা খরচ, এতো টাকা পাবেন কোথায়??
তাছাড়া, নিজের পৈত্রিক ২ কামরার ঘর থেকে বহু দূরে। পেশেন্ট আসবেন কী করে?? যাতায়াতের খরচই বা পাবেন কোথা থেকে??
প্রতিদিন সকাল ৮ টায় পৌঁছে যান, একটা ফাস্ট-ফুডের দোকানের রকে। সেখানে বসেই রোগী দেখা,, যতক্ষণ না রোগীর লাইন শেষ হয়। ওষুধও লেখেন সস্তা দামের সহজলভ্য !!
ওষুধে কাজ হয় কিনা,, সেটা লাইন দেখেই প্রমাণ পাওয়া যায় !!
ডাক্তার বাবুর ভিজিট কত জানেন??
হাসবেন না, প্লিজ...
৫ টাকা মাত্র। হ্যাঁ,, ঠিকই শুনেছেন,, ৫ টাকা !!
আজকের যুগে, যেখানে চিকিৎসার নামে, গরীবের পকেট লুটপাট করা হচ্ছে... যেখানে অসহায় রোগীর পরিবারকে পথের ভিখারী করে দেওয়া হচ্ছে,,
এই যুগে ডক্টর শংকর গৌড়া,, গরীবের কাছে আশার বাতিঘর
FB_IMG_17166696380628962.jpg
স্বরূপ !!
এমন একজন মানুষের জন্যে মানবতা গর্বিত। আপনি দীর্ঘজীবি হন স্যার.....✊❤️
আর সেখানে বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা সত্যিই আমাদের আশাহত করে। উপরওয়ালা আমাদের ও এই রকম মানব দরদী ডাক্তার আরো বেশী বেশী প্রেরণ করুন।