"নামাজ পড়ার সময় যদি পেছনের সারি থেকে বাচ্চাদের হাসির আওয়াজ না আসে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাপারে ভয় করুন "।
এই কোটেশন তুর্কীর মসজিদে দেয়ালে লেখা থাকে।
ওমানের মসজিদে নামাজ আদায় করার সুযোগ হয়েছে আমার, প্রায় সবখানে দেখলাম বাচ্চারা মসজিদে মোটামোটি উপস্থিথ থাকে।তাদের যেখানে ইচ্ছা খেয়াল খুশী মতো কাতারে দাড়ায়।বড় রা কিছু বলেনা,এমনকি অনেক সময় দেখলাম নামাজের সময় বাচ্চারা পেছনে বা সামনে কোন কাতারে হইহুল্লোড় করছে,নামাজ শেষে ইমাম,মুসল্লি কেউ কিছু বলেনা।আমি একদিন একজন রে জিজ্ঞেস করলাম এর কারন কি???তো তিনি বললেন বাচ্চারা হলো ফেরেস্তার মতো এরা এখানে আসবে একটু দুষ্টামি করবে কিন্তু দেখতে দেখতে এটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।দুষ্টামির ব্যপারটা বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে সেটা কোন ব্যাপার না।কিন্তু এখন যদি ওরে মসজিদে হুমকি দামকি দেওয়া হয়,মারা হয় তাহলে সে তো আর এইখানে আসতেই চাইবেনা,একটা ভয় নিয়ে বেড়ে উঠবে এটা তো ঠিক না।
রাসুল (সঃ) এর সালাত আদায়কালে যখন সিজদায় যেতেন তখন তার দুই নাতি ইমাম হাসান এবং হোসাইন তার দুই কাধে উঠতেন। রাসুল (সঃ) এতে মোটেই বিরক্ত হতেন না বরং যতক্ষন তারা পিঠ থেকে না নামতেন ততক্ষন তিনি সিজদায় থাকতেন।
কি সুন্দর অনুকরনীয় উদাহরন। আর ঠিক উল্টো চিত্র দেখবেন আমাদের বাংলাদেশে। আমি এমনও দেখেছি নাতী কে মসজিদে নিয়ে আসার কারনে নানার সাথে আরেকজনের মারামারি লেগে গিয়েছিলো।আর এলাকার সিজনাল মুরব্বিরা তো মসজিদে গেলে বড় বড় মোল্লা হয়ে যায়,সামনের কাতারে ছোটদের দাড়াতে দেই না,বাচ্চারা আওয়াজ করলে চড় থাপ্পর এসব তো আছেই।হুজুরেরাও এটাকে এড়িয়ে যায় বা বাচ্চাদের মসজিদে আনতে না বলে।
তো এই ব্যাপারে তরুনদের সতর্ক হওয়া দরকার।মুরব্বিদের কে তাদের এইসব বুঝানো দরকার।আমাদের হুজুরদের বয়ানে এইসব স্পষ্ট করা দরকার।তাহলে বাচ্চরা মসজিদমুখি হতে আগ্রহী হবে।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://us.norton.com/
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit