বাকী কবরস্থানের যিয়ারত

in islam •  2 years ago 

বাকী কবরস্থানের যিয়ারত

1280px-Bagicemetri2.jpg

প্রথমতঃ বাকী কবরস্থানের পরিচয়ঃ

এটি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম)- এর যুগ থেকে বর্তমান যুগ পযর্ন্ত মদীনাবাসির কবরস্থান।(ওফাউলঃ ২/১১৫৪ ইত্যাদি গ্রন্থ)।

দ্বিতীয়নতঃ বাকী কবরস্থানের ফযীলতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) বাকীউল গরকাদ (যা ভূলবশত: জনসাধারণের নিকট জান্নাতুল বাকী নামে প্রসিদ্ধ) যিয়ারত করতেন ও বাকী কবরবাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম)-এর পক্ষ হতে যখনই তাঁর রাত হত, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) শেষ রাতে বাকীর দিকে বেরিয়ে যেতেন ও বলতেন:

অর্থ: “হে (কবরের) মুমিন সম্প্রদায়! তোমাদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক, তোমাদের নিকট প্রতি সালাম বর্ষিত হোক, তোমাদের নিকট এসেছে যা তোমাদেরকে ওয়াদা দেয়অ হয়েছিল, কাল কিয়ামত পযর্ন্ত তোমরা অবশিষ্ট থাকবে এবং ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব। হে আল্লাহ! তুমি বাকীউল গারকাদ বাসীদেরকে ক্ষমা করে দাও।” (মুসলিম:৯৭৪)

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে অপর এক দীর্ঘ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ “নিশ্চয়ই আপনার রব আপনাকে নির্দেশ দেন যে, আপনি বাকী বাসীদের নিকট আসবেন ও তাদের জন্য ক্ষমা চাইবেন।” (মুসলিম:৯৭৪)

পক্ষান্তরে যে সব হাসীদে পাওয়া যায় যে, বাকী কবরস্থানে সত্তর হাজারের একটি দল পুনরুত্থিত হবে যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন বা তার অধিবাসীগণ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) এর সাথে পুনরুত্থিত হবেন ও তার সাথেই হাশর হবে এবং তারা কবরের আযাব হতে নিরাপদ থাকবেন, এর কোন কিছুরই বিশুদ্বতা নেই।

তৃতীয়ত: বাকী যিয়ারতের শরীয়তসম্মত বিধান ও যিয়ারতকারী সেখানে যা বলবেঃ

কবর যিয়ারত প্রত্যেক স্থানেই শরীয়তসম্মত, কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) বলেন:

অর্থ: “তোমরা কবর যিয়ারত কর, কেননা তা তোমাদের স্মরণ করিয়ে দিবে।” (মুসলিম:২২৫৬)

পুরুষের মধ্যে যারা মদীনায় অবস্থান করবে তাদের জন্য অবশ্য শরীয়তসম্মত। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) হতে বাকী কবরবাসীদের জন্য যিয়ারত ও দু”আ প্রমাণিত। যেমনটি অতিবাহিত হয়েছে; কিন্তু মহিলাদের জন্য বিশুদ্ধ মত হল তাদের ক্ষেত্রে তা শরীয়ত সমর্থিত নয়। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) বলেন:

অর্থ: “আল্লাহ বেশি বেশি কবর যিয়ারত কারীনিকে প্রতি লা’নত করেন।” (তিরযিমী: ৩/৩৭২)

কবর যিয়ারতের হাদীদগুলি দ্বারা যিয়ারতের ব্যাপারে স্পষ্ট হয় যে, কবর যিয়ারতের দ্বারা মুসলমান তিনটি তিনটি উপকার পেয়ে থাকে।

(১) কবর দেখে মৃত্যুকে স্মরণ হয়, তাতে মুসলমান যেন সৎ আমল করে এমন স্থানের জন্য প্রস্তুতি নেয়। আর এটি কবর সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম)- এর বাণী দ্বারা স্পষ্ট:

অর্থ: “সুতরাং তোমারা কবর যিয়ারত কর কেননা তা পরকালকে স্মরণ করিয়ে দিবে।” (তিরমিযী:১০৫৬)

(২) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) এর অনুসরণ। কেননা কবর যিয়ারত একটি সুন্নাত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) যিয়ারত করেছেন। সুতরাং মুসলমান নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম)- এর অনুসরণের সওয়াব অর্জন করবে এবং (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম)- এর হুকুমে সাড়া দেওয়ার সওয়াব অর্জন করবে যেমন: তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) বলেন: “তোমরা কবর যিয়ারত কর।”

(৩) যিয়ারতকারীর মুসলমান ভাইদের প্রতি দু’আ করে ইহসান ও সহানুভূতি প্রদর্শন। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) হতে সহীহ ভাবে যিয়ারতের যে সব দু’আর শব্দমালা সাব্যস্ত হয়েছে ও তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) তার সাহাবীদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা মুসলমানদের মৃতদের জন্য দু’আ যুক্ত, যা তাদের জন্য উপকারী এবং তারা ইনশাআল্লাহ তা হতে উপকৃত হবেন। আর কবর যিয়ারতকারী তার ভাইয়ের জন্য দু’আ ও তাদের প্রতি ইহসান করার সওয়াব অর্জন করবে।

মুসলমান যখন কবরস্থান যিয়ারত করবে, তার উচিত সে সেন শরীয়তসম্মত বৈধ সীমায় অবস্থান করে কবর যিয়ারত করে। সুতরাং সে মৃতের জন্য শরীয়তে বর্ণিত দু”আ দ্বারাই যিয়ারত করবে। অতএব বলবে:

অর্থ: “হে মু’মিন কবরবাসীগন আপনাদের প্রতি সালাম, নিশ্চয়ই আমরাও ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথে মিলিত হব। আপনারা যারা আগামী হয়েছেন ও যারা পরবর্তীতে আসবেন, আল্লাহ তাদের প্রতি রহম করুন! আমরা আমাদের ও আপনাদের জন্য নিরাপত্তা চাই।” (মুসলিম:৯৭৪)

উল্লেথিত ও ইতিপূর্বে অতিবাহিত আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণিত হাদীসের শব্দমালায় মৃতের জন্য দু’আ এসেছে।

চতুর্থত: বাকীউল গারকাদে কবরস্থ কারো কারো স্থান নির্ধারণ সম্পর্কিত বিষয়:

এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে, বাকী হল, মদীনা বাসীদের কবরস্থান। এজন্য সেখানে সাহাবা, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) এর স্ত্রীগন, তাবেয়ীগণ ও যে সময় ইমাম সেখানে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদেরকে দাফন করা হয়েছে। সুতরাং বলা হয সেখানে রয়েছে দশ হাজার সাহাবী। (তাহকীকুন নুসরা:১২৫ পৃষ্ঠা)

সর্বজনবিদীত নিশ্চয় শরীয়ত কোন কবরকে চিনে স্বতন্ত্র মর্যাদা দিতে উৎসাহিত করেনি; বরং শরীয়ত কোন আলামত দ্বারা চিহিৃত করা। তবে তাতে কিছু নির্মাণ করা, তার উপর লেখা-লেখি করা নিষেধ। যেমন: জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণিত হাদীসে আছে তিনি বলেন; রুসূল (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম)-কে আমি কবরে বসতে, কবরে নির্মাণ কাজ, প্লাস্টার করতে ও তার উপর লিখতে নিষেধ করতে শুনেছি।” (আবু দাউদ:৩২২৬, তিরমিযী:১০৫২, নাসায়ী:২০২৭ ও হাকেম:১/৫২৫ তিনি সহীহ বলেছেন।)

উল্লেখিত আলামত স্থাপনের অর্থ বুঝায় কিছুকাল অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায় পর তা অবশ্য নিশিহৃ হয়ে যেতে পারে; কেননা কবর চেনা-জানার ব্যাপারে শরীয়তের কোন বিধি-বিধানের সম্পর্ক নেই। এ জন্যই বাজী কবর স্থানের চিহৃগুলি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তাই নিশ্চিতভাবে তা চেনা বা জানা যায় না।

ফিরোজাবাদী বলেন; নিসন্দেহে এ কবরস্থান বহু সংখ্যক মুহাজির ও আনসারদের দ্বারা পরিপূর্ণ ও গাদানো, তা সত্বেও সালফে সালেহীনের কবরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে বাড়াবাড়ি ও তা পাকা-প্লাস্টার করা হতে বিরত থাকায় একান্ত অল্প সংখ্যাক ব্যতীত তাদের কবরের স্থান নির্ধারিতবাবে চেনা যায় না।”

(আল-মাগানিমুল মুতাবাহ:২/৫০৮)

পক্ষান্তরে কোন কোন ঐতিহাসিক কতিপয় কবরের নির্ধারণ সম্পর্কে যা কিছু উল্লেখ করেছেন তা নিছক ধারণাপ্রসুত। আর তা মদীনার বাকী কবরস্থানটি মুসলিম জনসাধারণ সবার জন্য হওয়ার কারণেই। তারপর সেখানে এমন কোন অংশও কারো জন্য খাস নেই যে, সেখানে এত এত দাফন করার পরও তা সংরক্ষিত থাকবে। এতকাল অতিবাহিত হওয়ার পরও তা সম্ভব পর নয়, অনুরুপ বন্যা-বৃষ্টিও ভূ-পৃষ্ঠের অবস্থাকে পরিবর্তন করে ছেড়েছে। বিশেষ করে মাটি যুক্ত এলাকা যেমন: বাকী কবরস্থান এলাকা। এ এলাকা দিয়ে সেই মাহযুর ছোট নদীও অতিবাহিত যা হতে মদীনাবাসী ডুবে তলিয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করত।’’ (তারিখুল মদীনা:১/১৬৮)

এতদসত্ত্বেও সাহাবা, তাবেয়ী ও তাবেয়ীগণের সে সব দলীলের প্রতি গুরুত্ব প্রদান, যেগুলি কবরের উপর নির্মাণ-প্লাস্টার লেখা-লেখি ইত্যাদি নিষেধের প্রমাণ বহন করে। মুসলমান যদি বাকীর যিয়ারত করে বা সেখানে দিয়ে অতিবাহিত হয়, তবে সেখানকার কবরবাসীদের জন্য দু’আ ব্যতীত কবরের সাথে কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতা শরীয়তে প্রমাণিত নয় এবং এতে শরীয়তের দৃষ্টিতে বিশেষ কোন উপকারও অর্জন হবে না।

এজন্য মুসলমানের জন্য জরুরী হল, সে যখন বাকী যিয়ারত করবে তখন সে আমভাবে তার অধিবাসীদের জন্য দু’আ করবে। কোন নির্ধারিত অংশের এমন করে উদ্দেশ্য করবে না যে, লোকদের মাঝে এটি অমুকের কবর। কেননা এর প্রমাণ করা অসম্ভব। যদিও তা কোন নিকটাত্মীয়ের কবর হয় বা তা অল্প সময়ের ব্যবধানে চিনে যিয়ারত করবে সে যেন এমন বিশ্বাস করে যে, নিশ্চিতভাবে কারো কবর জানা সম্ভব নয়।

পঞ্চমত: বাকী কবরস্থানে যে সমস্ত বিদ’আত সংঘটিত হয়:

যিয়ারতকারীর জন্য জরুরী হল, সে যেন তার যিয়ারতের মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নতি পদ্ধতির সামঞ্জস্যতা অন্বেষণ করে এবং সে এমন শরীয়ত পরিপন্থী বিষয় থেকে সতর্ক হবে যা তাকে গুনায় লিপ্ত করবে বা তার নেকী কমে যাবে। নিম্নে এমন কতিপয় বিদ’আত ও কুসংস্কার উল্লেখ করা হয়, যাতে অনেক যিয়ারতকারীগণ সতর্ক হন:

১। কবরস্থানে গিয়ে মৃতদের উসীলা করা, তাদের নিকট ফরিয়াদ করা ও তাদের নিকট সুপারিশ তলব করা।

২। কবরস্থ ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি। যেমন: তাদের সামনে দন্ডায়মান। বিনয়- নম্রতা প্রকাশ ও নিরবতা অবলম্বন করে। এমন বিশ্বাস পোষণ করে যে, এমন করা শরীয়ত সম্মত আদবের অন্তর্ভূক্ত এগুলো হলো কবরবাসীদের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন ও বাড়াবাড়ি। যা কবরবাসীদের দ্বারা শিরকে পতিত হওয়ারা কারণ ও মাধ্যম।

৩। কবরবাসীর জন্য সিজদা ও রুকু করা, অথচ সিজদা ও রুকু ইবাদতের অন্তুর্ভূক্ত। সুতরাং তা আল্লাহ ব্যতীত কারো জন্য কারা জায়েয নয়।

৪। কবর স্থানের ভিতরে-বাইরে কবুতরের জন্য এমন বিশ্বাসে শস্য দানা নিক্ষেপ করা যে, তাতে রয়েছে নেকী ও প্রতিদান। বিশেষ করে তা কবুতরকে খাওয়ানোর মধ্যে বা তাতে বরকত রয়েছে এমন বিশ্বাস। এমন কর্ম নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) করেননি, না কোন সাহাবা করেছেন আর না কোন তাবেয়ী সালাফে সালেহীন। সুতরাং তা হলো দ্বীনের মধ্যে নব আবিষ্কৃত বিদ’আত। অনুরুপ এতে খাদ্যের অবমাননা ও পথিককে কষ্ট দেয়া হয় এবং মসজিদের চত্তর ময়লা করা। আর যে ময়লা মসজিদে নববীর ভিতর পযর্ন্ত পৌঁছে।

৫। সেখানে উচ্চস্বরে বিলাপ করা, মুখে মারা বা গাল চাপড়ানো ইত্যাদি। আর সর্বজনবিদীত এসব কর্ম হারাম; বরং কবীরা গুনাহর অন্তর্ভূক্ত। (আল-মাক্কীর আযযাওয়াজের:১/৩০৬)

৬। নামাযে বাকী কবরস্থানকে সামনে করা এবং এ নামাযেরে “সালাতে যিরারা” নামকরণ করা অথচ কবরের দিক নামায আদায় উলামায়ে কিরামের ঐক্যমতে হারাম।

৭। নারী-পুরুষের সংমিশ্রন, যা হারাম ও নাজায়েয।

৮। সম্মিলিতভাবে যেখানে দু’আ ও যিকির, অথচ তা এমন আমল যা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম) করেননি, না করেছেন তাঁর সাহাবাগন না তাবেয়ীগণ।

৯। কবর হতে চুম্বন-স্পর্শ করার জন্য বা বরকত বা রোগ মুক্তি কামনায় অন্য কিছুর সাথে মিশানোর জন্য মাটি গ্রহণ করা।

১০। কবরবাসীকে নিজের হাজত পূরণ ও তাদের দ্বারা বালা-মুসীবত দূর করার জন্য বিভিন্ন ম্যাসেজ প্রদান করা।

১১। কবরের সাথে বরকত হাসলের জন্য সুতা ও নেকড়া প্যাঁচানো এবং দরজা ও জানালায় তালা লাগান।

১২। অনুরুপ বরকত গ্রহণের জন্য কবরস্থানের দেয়াল, দরজা ও তার মধ্যে যে জিনিস রয়েছে তা স্পর্শ করা।

১৩। কোন কোন কবরে পয়সা দেয়া অথছ তা হল, আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে মান্নাতের অন্তর্ভূক্ত।

১৪। ফাতেহাখানী, কুলখানী, সুরা ইয়াসীন ও সূরা বাকারার শেষ দু’আয়াত পাঠ করে মৃতের রুহের জন্য বখশে দেয়া।

১৫। বরকত গ্রহণের আশায় নখ, চুল, দাঁত কবরে পুঁতে রাখা।

১৬। কবরবাসীর নৈকট্য অর্জনের জন্য কবরে আতর, গোলাপ জল ছিটানো। অথচ এটি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নৈকট্য অর্জন করার অন্তর্ভূক্ত যা হারমে জায়েয নয়।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...