ফজরের নামাযে আটটি লাভ।
প্রথম লাভ:
ফজরের নামাযে দাঁড়ানো, সারা
রাত দাঁড়িয়ে নামায
পড়ার সমান:
= যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ঈশার
নামায আদায়
করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে
নামায পড়লো। আর
যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের
সাথে পড়লো, সে
যেন পুরো রাত জেগে নামায পড়লো
(মুসলিম)।
.
দ্বিতীয় লাভ:
সে দিনের পুরোটা আল্লাহর যিম্মায়
থাকার দুর্লভ
সৌভাগ্য। ফজরের নামায পড়লেই শুধু এ-
ঈর্ষণীয় সৌভাগ্য
লাভ করা যাবে।
= যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়বে, সে
আল্লাহর যিম্মায়
থাকবে (মুসলিম)।
.
তৃতীয় লাভ:
ফজরের নামায কেয়ামতের দিন নূর
হয়ে দেখা দিবে।
= যারা রাতের আঁধারে মসজিদের
দিকে হেঁটে যায়,
তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ
‘নূর’ প্রাপ্তির
সুসংবাদ দাও (আবু দাউদ)।
.
চতুর্থ লাভ:
সরাসরি জান্নাত প্রাপ্তি। শুধু ফজরের
নামাযটা পড়লেই
হবে।
= যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামায) পড়বে,
জান্নাতে প্রবেশ
করবে। আর দুই শীতল (নামায) হলো ফজর
ও আসর (বুখারী)।
.
পঞ্চম লাভ:
রিযিকে বরকত আসবে। ফজর নামাযটা
পড়লেই হবে।
আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন:
-সকাল বেলার ঘুম ঘরে রিযিক আসতে
বাধা দেয়। কেননা
তখন রিযিক বন্টন করা হয়।
.
ষষ্ঠ লাভ:
ফজরের নামায পড়লে, দুনিয়া
আখেরাতের সেরা বস্তু
অর্জিত হয়ে যাবে।
= ফজরের দুই রাকাত নামায, দুনিয়া ও
তার মধ্যে যা কিছু
আছে, সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ
(তিরিমিযি)।
.
সপ্তম লাভ:
সরাসরি আল্লাহর দরবারে নিজের
নাম আলোচিত হবে।
= তোমাদের কাছে পালাক্রমে
দিনে ও রাতে
ফিরিশতারা আসে। তারা আসর ও
ফজরের সময় একত্রিত
হয়। যারা রাতের কর্তব্যে ছিল তারা
ওপরে উঠে যায়।
আল্লাহ তো সব জানেন, তবুও
ফিরিশতাদেরকে প্রশ্ন
করেন:
-আমার বান্দাদেরকে কেমন রেখে
এলে?
-আমরা তাদেরকে নামাযরত রেখে
এসেছি। যখন
গিয়েছিলাম, তখনো তারা নামাযরত
ছিল (বুখারি)।
.
অষ্টম লাভ:
ফজরের নামায দিয়ে দিনটা শুরু
করলে, পুরো দিনের
কার্যক্রমের একটা বরকতম সূচনা হবে।
= হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্যে,
তার সকাল বেলায়
বরকত দান করুন (তিরমিযী)।
.
.
এজন্যই দিনের শুরুটা ভাল কিছু দিয়ে
শুরু করা মানেই
হলো, ফজর নামাযটা পড়া। আরও ভাল
হয় যদি তাহাজ্জুদ
দিয়ে শুরু করা যায়।
(সংগৃহিত)
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!