কক্সবাজারে নিম্নচাপ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বৃষ্টি। সফরকারী দলগুলোর চিন্তার ভাঁজ খানিকটা কম। স্বাগতিক বাংলাদেশের চাওয়া এখন বাড়তি বৃষ্টি। কাদা মাঠে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে সুবিধা নেয়া।
অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ম্যাচের আগের দিন টিম হোটেলে ফিলিস্তিনকে এগিয়ে রাখলেন, ‘আমরা স্বাগতিক হলেও ওরা আমাদের চেয়ে র্যাংকিং ও শক্তিতে এগিয়ে।’ বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে’কে টিম হোটেলে বেশ নির্ভারই দেখা গেল। আগের দিনই বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ছিলেন। ইসিজিতে হৃদপিণ্ডের গতি একটু শুরুতে বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে কমেছে পরবর্তীতে। চিকিৎসকের পরামর্শ বিশ্রাম নেয়া, উত্তেজিত না হওয়া।
এরপরও টিম অনুশীলনে ছিলেন কাল। আজ ডাগআউটেও থাকবেন। ‘চিকিৎসক একটু বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তবে এখন সেই সময় কোথায় বলুন। এখন বেশ সুস্থ বোধ করছি সমস্যা নেই।’ সাফে সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে শেষ চারে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এখন প্রত্যাশা ফাইনালের।
২০১৫ সালে কোচ ক্রুইফের অধীনে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল। গত আসরে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল। ফাইনাল খেলা সম্পর্কে জেমির মন্তব্য, ‘আমরা সবাই ফাইনাল খেলতে চাই। ফাইনাল খেলতে হলে আগের দুই ম্যাচের চেয়ে ভালো খেলতে হবে।’ আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের মূল সমস্যা স্কোরিং। ফিলিপাইন ম্যাচে বাংলাদেশ অনেক সুযোগ মিস করেছে।
গোল ব্যর্থতাকে অনেকে ভাগ্যকে দুষলেও কোচ টেকনিকে ঘাটতিই বলছেন, ‘গোল টেকনিকের বিষয়। পজিশন সেন্স, প্লেসমেন্ট, পাওয়ার, সব কিছুর সমন্বয়।’ বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা খুব কম সময়ই এই সমন্বয় করতে পারেন। এরপরও আস্থা তাদের প্রতি কোচের, ‘খেলোয়াড়দের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। ওরা এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছে। সাফে দুই ম্যাচ জিতেছে।’
বাংলাদেশ শিবিরে যখন ফাইনাল খেলাই মূল ব্রত। সেখানে ফিলিস্তিন কোচ নূরউদ্দিনের মুখে অন্য কথা, ‘আমরা এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে আসছি। দল গঠনই মূল বিষয়। জিততে হবে, ফাইনাল খেলতে হবে এটা মুখ্য নয়।’
নূরউদ্দিনের এমন মন্তব্যের বিপরীতে জেমির প্রতিক্রিয়া, ‘কোনো ফুটবলারই মাঠে নেমে হারতে চায় না। এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য এলেও জিততে চাইবে।’ দুই ম্যাচে প্রথম একাদশে ১৮ জনকে খেলিয়েছেন নূরউদ্দিন। সেমিফাইনালেও দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আভাস, ‘একাদশ নিয়ে আমরা এখনও ভাবিনি। পরিবর্তন আসতেই পারে।’
নেপাল ফিলিস্তিনের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক কৌশলে ছিল। নেপালের রক্ষণ ভাঙতে ৭২ মিনিট লেগেছিল ফিলিস্তিনদের। বাংলাদেশ এমন কৌশল অবলম্বন করলে কেমন হবে? ফিলিস্তিন কোচের হাস্যরসাত্মক উত্তর, ‘তাহলে আমরা তিন গোল দেব।’
পরক্ষণেই বলেন, ‘ম্যাচটি কঠিন হবে আমাদের জন্য। বাংলাদেশ স্বাগতিক। হোম গ্রাউন্ড ও সমর্থকদের সমর্থন পাবে।’ বাংলাদেশ ৪-৪-২ ফরমেশনই বজায় রাখবে। একাদশে কক্সবাজারের খেলোয়াড়দের প্রাধান্য না দেয়ার বিষয়টি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন কোচ জেমি, ‘আমি সেরা এগারোজন ফুটবলারকেই মাঠে নামাব। কে কক্সবাজার কে সিলেট সেটা দেখব না।’
ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। দু’বার হেরেছে একবার ড্র। একমাত্র ড্রটি ২০০৬ সালে ঢাকায় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে। সর্বশেষ ম্যাচটি কাঠমান্ডুতে ২০১৩ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাইয়ে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ০-১ গোলে হেরেছিল।
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
http://showmypc.com/?ref=header
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has received a 1.56 % upvote from @drotto thanks to: @powerhd.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit