হচ্ছে জাপানের বিখ্যাত মনস্টার যার মুখমণ্ডল দেখতে বানরের মত, ঠোঁট কচ্ছপের মত এবং মাথায় প্লেট আকৃতির টাক রয়েছে। তার চামড়া দেখতে সবুজ রঙ্গের ব্যাঙের চামড়ার মত এবং পিঠে কচ্ছপের মত খোল আছে। তার বাহু ও পা অবিশ্বাস্য ভাবে লম্বা হতে পারে এবং হাত ও পায়ের পাতা জালিকাকার। এক কথায় তাকে দেখতে ভীষণ রকমের কুশ্রী।
কাপ্পা সাধারণত বাচ্চাদের মত কৌতুক করে, যেমন জোরে শব্দ করা, দুর্গন্ধ তৈরি এবং মহিলা ও কুমারীদের জামাকাপড় চুরি করা। যাইহোক, সে অনেক ভয়ংকর অপরাধ ও করে, যেমন ছোট বাচ্চাদের অপহরণ করা এবং মানুষ খুন করে তাদের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভক্ষণ করা।
কাপ্পা স্রোতস্বিনী পানির নিচে লুকিয়ে থাকে এবং তার শিকারের জন্য অপেক্ষা করে। আগের দিনে জাপানের লোকজন প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার জন্য নদীর ধারে যেত। কাপ্পা পানির নিচ দিয়ে সাঁতরে তাদের কাছে যেত এবং অপ্রত্যাশিত ভাবে আক্রমণ করতো।
কাপ্পা তার শিকারের পশ্চাৎদেশ ধরে এবং তারপর এটাকে টেনে পানির নিচে নিয়ে যায়। মাঝেমমাঝে, কাপ্পা শিকারকে পানির নিচে ধরে রাখে যতক্ষণ না সে মারা যায়। অন্য সময়, কাপ্পা তার চিকন হাতটি শিকারে পশ্চাৎদেশ দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে নাড়ীভুঁড়ির ভেতর দিয়ে উপরের দিকে উঠাতে থাকে এবং শেষে মুখ দিয়ে বের করে জীভ টেনে ধরে। তারপর কাপ্পা তার হাতটি জীভ ধরে টেনে নিচের দিকে নামাতে থাকে এবং মাথা ও পেটের নাড়ীভুঁড়ি সহ পাশ্চাৎদেশ দিয়ে বের করে আনে। এক কথায় শিকারকে পলিথিনের মত উল্টিয়ে ফেলে।
শিকারের উল্টানো চামড়া যুক্ত দেহ এক জায়গায় এবং ভেতরের নাড়ীভুঁড়ি ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আরেক জায়গায় আলাদা করে রাখার পর, কাপ্পা শিকারের কলিজাটি নেয় এবং খাওয়া শুরু করে।
যেহেতু লোকজন এখন টয়লেট ব্যবহার করে তাই কাপ্পা পয়ঃনিষ্কাশন পাইপ এবং বাথরুমের পাইপে লুকিয়ে থাকে। সে তার চিকন বাহু লম্বা করে কমোড পর্যন্ত এনে অপেক্ষা করতে থাকে কখন শিকার কমোডে বসবে। তাই কমোডে বসে আরামসে হালকা হওয়ার আগে ভালো করে দেখে নিন। অথবা বসার পরে কোন নড়াচড়া অনুভব করলে তাড়াতাড়ি লাফ দিয়ে উঠে পরুন। তাহলে হয়তো আপনি কাপ্পার হাত থেকে রেহাই পাবেন।