কলকাতার বিভিন্ন সড়কে জিয়াউর রহমানের ছবি
ব্রিটিশ ভারতে সবচেয়ে অভিজাত ও জগত্খ্যাত বিদ্যাপীঠ হেয়ার স্কুল তাদের প্রতিষ্ঠার দুইশত বার্ষিকী উদযাপনের প্রাক্কালে স্কুলের বিখ্যাত প্রাক্তন ছাত্রদের আলোকচিত্রের ফেস্টুন, ব্যানারে সাজিয়ে তুলেছে মহানগরী কলকাতাকে। সেখানে মিত্র, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, রমেশ চন্দ্র দত্ত, রামতনু লাহিড়ীসহ মহাকীর্তিমানদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমানের ছবি।তার আলোকচিত্র এখন শোভা পাচ্ছে কলেজ স্ট্রিট, বিদ্যাসাগর স্ট্রিট, বউবাজার, পিয়ারী সরকার স্ট্রিট, প্রেসিডেন্সি কলেজ স্কয়ার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোহনায়। মূলত স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন ‘হেয়ার স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’ তাদের স্কুলের স্বনামধন্য প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে নানা আয়োজন রেখেছে। খোলা হয়েছে-(http://www.hareschoolalumni.com/alumni.php) নামের একটি ওয়েব পেজ। সেই ওয়েব পেজে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর পাশে রাখা হয়েছে জিয়াউর রহমানকে। একই সঙ্গে হেয়ার স্কুলের উইকিপিডিয়াতে জিয়াউর রহমানসহ প্রখ্যাত প্রাক্তন ১৬ জন ছাত্রের নাম ও তাদের অবদান উল্লেখ করা হয়েছে। জানা যায়, স্কটিশ ঘড়ি ব্যবসায়ী ডেভিড হেয়ার ১৮১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তার নামে হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার বাগবাড়ীতে জিয়াউর রহমানের জন্ম। জিয়াউর রহমানের পিতা মনসুর রহমান কলকাতার এক সরকারি দফতরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জিয়াউর রহমান শৈশবে কিছুকাল বগুড়ার গ্রামাঞ্চলে এবং কিছুকাল কলকাতায় অতিবাহিত করেন। জিয়াউর রহমানের স্কুলজীবন শুরু হয় কলকাতায় ‘হেয়ার স্কুলে’। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তার পিতা করাচিতে বদলি হলে জিয়াউর রহমান কলকাতার হেয়ার স্কুল ছেড়ে করাচির একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে তিনি দ্বিতীয় বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন করাচিতে ‘করাচি একাডেমি স্কুল’ (বর্তমানে তাইয়েব আলী আলভী একাডেমি) থেকে। ম্যাট্রিক পাসের পর তিনি ভর্তি হন করাচির ‘ডি জে কলেজে’। ১৯৫৩ সালে ‘পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে একজন অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, জিয়াউর রহমানের নামে অনেক আগেই তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১.৮ কিমি দীর্ঘ একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরেও জিয়াউর রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।
kub valo akta news
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit